হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন। আমিও বেশ আছি এবং বেশ থাকার চেষ্টা করছি। আসলে আমরা কোন কিছুই নিশ্চিত করে বলতে পারি না, কারন পৃথিবীতে কোন কিছুরই নিশ্চিয়তা নেই, হুট করেই যে কোন কিছু ঘটতে পারে। দেখুন আমরা আজকাল সবকিছুতে একটা নিশ্চয়তা খুঁজি এবং সেটার ভবিষ্যৎ নিয়েও বেশ সন্তুষ্ট থাকতে চাই, কিন্তু এটা ভুলে যাই যে, যেখানে আমার জীবনের কোন নিশ্চয়তা নেই সেখানে এসব কৃত্রিম জিনিষের নিশ্চয়তা আসবে কোথা হতে। যাইহোক আজকে কলকাতা ভ্রমণের ১৫তম পর্ব শেয়ার করবো এবং সেটা হলো ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামের ফটোগ্রাফি।
যদিও বিশাল এই মিউজিয়াম দেখে আমরা যতটা না মুগ্ধ হয়েছি এর বিশালতা দেখে আমরা ততটাই অবাক হয়েছি। তবে এখানে পরবর্তীতে পুনরায় আসার ইচ্ছা তখনই প্রকাশ করেছি। কারণ সময়ের স্বল্পতার কারনে আমরা যেদিন সব কিছু ঠিক মতো দেখতে পারি নাই এবং ফটোগ্রাফিও করতে পারি নাই। তবে প্রতিটি রুমে ঢুকার চেষ্টা করেছি এবং কোথায় কি আছে সেটা বুঝার চেষ্টা করেছি। শুধুমাত্র অতিরিক্ত ভালো লাগার বিষয়গুলোকে ক্যামেরা বন্দি করার চেষ্টা করেছি স্মৃতি হিসেবে ধরে রাখার জন্য। পরবর্তীতে গেলে সেটা অবশ্যই বড় একটা এ্যালবাম তৈরী করার সুযোগ নিবো, হি হি হি পয়সা উসুল করতে হবে তো?
দেখুন একটা মিউজিয়াম শুধুমাত্র একটা মিউজিয়াম না বরং এখানে অনেক কিছুর শেকড় যেমন থাকে ঠিক তেমনি একটা সেটা গ্রহণযোগ্যতাও থাকে। যদিও আমরা ধীরে ধীরে সবকিছুর মাঝে রাজনীতিকে ঢুকিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছি এবং অতীত ইতিহাসকে নিদারুণভাবে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করার চেষ্টা করছি। যার কারনে অতীত ইতিহাস যেমন নষ্ট হচ্ছে, ঠিক তেমনি নষ্ট হচ্ছে আমাদের শেকড়। আমরা বুঝে হোক কিংবা না বুঝে হোক, সেই শেকড় হতে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করছি, যা হয়তো আমাদের ভবিষ্যৎকে আরো বেশী অন্ধকারাচ্ছন্ন করে দিবে। হয়তো ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সঠিক ইতিহাস হতে ভিন্ন কিছু খুঁজে পাবেন। যা নিশ্চয় আমাদের জন্য সুখকর হবে না।
চিত্রঃ শীর্ষ প্রস্তর সহ তিনটি স্তম্ভ- ষক্ষিণীদের পদানত অশুভ শক্তি।
চিত্রঃ মদিরাসক্ত দৃশ্য- অশোক বৃক্ষের নিচে মিথুন মূর্তি
চিত্রঃ ধ্যানমগ্ন বুদ্ধ
তারপর সেই রুমে আমরা আরো বেশ কিছু দৃশ্য দেখি বুদ্ধের মূর্তির, সত্যি সবগুলোই ইতিহাসের অতীত স্বাক্ষ্য বহন করছে। যদিও সবগুলোর বিস্তারিত তথ্য আমাদের মনে নেই, কারন দ্রুত দৃশ্যগুলো দেখে আমরা পরের রুমে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। যার কারনে সবগুলো মূর্তির বিস্তারিত তথ্যও সংরক্ষণ করতে পারি নাই। যদিও মূর্তিগুলোর নিচে সে সম্পর্কে ছোট আকারে কিছু তথ্য ছিলো।
সত্যি বলতে আমাদের কাছে মনে হচ্ছিল আমরা অতীতের সেই সময়ের মাঝে হারিয়ে গিয়েছি। যতোই ভেতরের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছি ততোই যেন অবাক হচ্ছি। বিশাল সাইজের ইমারতের মতো কিছু পাথর খন্ড দেখেছি আমরা, সেগুলোও বেশ আকর্ষণীয় ছিলো।
তারিখঃ মার্চ ২৬, ২০২৩ইং।
লোকেশনঃ ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম, কলকাতা।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
এই ক্ষুদ্র জীবনে নিশ্চয়তার বড্ড বেশি অভাব। তবুও আমরা একটু ভালো থাকতে চাই। যাই হোক ভাইয়া কলকাতায় গিয়ে এই মিউজিয়ামে গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। মিউজিয়ামের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক কিছুই জানতে পারলাম এবং দেখলাম। হয়তো কখনো যাওয়ার সুযোগ হবে না। তবে আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সত্যি ভাইয়া কলকাতায় গিয়ে এত চমৎকার একটি মিউজিয়াম পরিদর্শন করে টাকা উসুল হয়নি? আমার বিশ্বাস হয় না। হাহাহাহা... আমি মনে করি আপনি মিউজিয়ামের গেটে ঢুকেছেন তো আপনার টাকা ওসুল হয়ে গিয়েছে কারণ আপনি অনেক সৌভাগ্যবান যে এত চমৎকার একটি মিউজিয়াম ঢুকতে পেরেছেন। আমরা তো সে দিক থেকে কল্পনাও করতে পারতেছি না যে কখনো যেতে পারবো কিনা। যাইহোক খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন যদিও সময় সল্পতার জন্য পুরোটা সেভাবে দেখতে পারেননি কিন্তু যতটুকই দেখেছেন তা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া আজ তো দেখছি আপনি আপনার অনুভূতির গল্পে কলিকাতা মিউজিয়ামের বেশ কিছু প্রাচীন মূর্তি ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। কয়েকদিন আগে আমি ও আমাদের দেশে দুটো মিউজিয়াম ভ্রমনে বের হয়েছিলাম। আসলে মিউজিয়ামে ঢুকলে এ জিনিস গুলো দেখলে কেন যেন মনে হয় সেই প্রাচীন যুগে জন্ম হলেই ভালো হতো। হি হি হি
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া কলকাতা মিউজিয়াম গিয়ে সবটা ঘুরে দেখার সময় হয়নি, এটা খুবই দুঃখজনক।আমি মনে করি কোথাও যাওয়া হলে সময় নিয়েই যাওয়া উচিত।এসব জায়গায় ঘুরতে গেলে রিলাক্স মুডে যাওয়া ভালো। যাক
যতটুকু দেখেছেন তাই আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সত্যি এসব হলো ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখা একটি দেশের জন্য খুব দরকার।অতীতের অনেক কিছুই রয়েছে এখানে সাক্ষী হয়ে।খুব ভালো লাগলো দেখে ফটোগ্রাফি গুলো।ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Congratulations, your post has been upvoted by @scilwa, which is a curating account for @R2cornell's Discord Community. We can also be found on our hive community & peakd as well as on my Discord Server
Felicitaciones, su publication ha sido votado por @scilwa. También puedo ser encontrado en nuestra comunidad de colmena y Peakd así como en mi servidor de discordia
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হৃদয়ের টানে কলকাতা গিয়ে মিউজিয়ামে খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন। বিভিন্ন ধরনের কিছু প্রস্তর মূর্তি দেখলাম। মূর্তি গুলো অনেক পুরাতন মনে হচ্ছে। টাকা উসুল হয়েছে,হা হা হ। ধন্যবাদ ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit