11-04-2024
২৮ চৈত্র , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
প্রথমেই সবাইকে জানাচ্ছি ঈদ মোবারক 🌸। হাসি-আনন্দে ভরে উঠুক আপনাদের জীবন। আজকের ঈদের দিনের মতো আজীবন যেন হাসি আনন্দে থাকতে পারেন সেই কামনাই করছি। তো ঈদের ফিলিংসটা পাওয়া যায় ঈদগাহ মাঠে গেলে। করোনার পর থেকে মসজিদেই ঈদের নামাজ হচ্ছে। কিন্তু মসজিদে ঈদের নামাজ হলেও আমার ইচ্ছে ছিল এবার আমাদের এলাকার ঈদগাহ মাঠে গিয়ে নামাজ আদায় করবো। আমাদের আচারগাওঁ ফাযিল মাদ্রাসাতে ঈদগাহের জামাত শুরু হওয়ার কথা ছিল সকাল দশটায়। বাড়িরে আশেপাশে দুই মসজিদে সকলা সাড়ে নয়টায় ছিল। যেহেতু ঈদগাহে গেলে বন্ধুদেরও পাওয়া যায় সেখানে তাই ভাবলাম সেখানেই যায়। রাতে অবশ্য ঘুমাতে একটু দেরি হয়ে যায়। তাই উঠতে উঠতে সকাল সাড়ে আটটা বেজে যায়।
ঘুম থেকে উঠে সোজা গোসলে কাজ সেরে নেয়। আমার মা পায়েস আর পিঠা ভাজছিল। বিশেষ করে নকশা পিঠা। নকশা পিঠা গ্রামের ঐতিহ্য বলা যায়। সেই ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি, ঈদ আসলেই এই পিঠা বানানোর হিড়িক পরে যায় গ্রামে। আমার মা যেহেতু এখন অসুস্থ তাই এবারের পিঠার আয়োজনটা আমার ছোটবোনই করেছিল। সে আর আমার এক খালাতো বোন মিলে এবার নকশা পিঠা বানিয়েছিল বিভিন্ন রকমের। তো গোসল করে এসে দেখি খাবারদাবার সব রেডি। যেহেতু ঈদের নামাজের আগে মিষ্টিজাতীয় কিছু খেয়ে যেতে হয় তাই আমি পায়েস আর নকশা পিঠা ভাজা খেয়ে নিলাম। বাহিরে পরিবেশ সকাল সকাল ভালো ছিল। তো নতুন পাঞ্জাবী আর পায়জামা পরে রেডি হয়ে গেলাম। তখনই আমার ভাতিজি সালামি নেয়ার জন্য হাজির।
আমার পকেটে ছিল পঞ্চাশ টাকা সেটাই দিয়ে দিলাম। সালামি পেয়ে আমার ভাতিজী মনিরা ভীষন খুশি হয়েছিল তখন। একটা সময় আমরাও এভাবে সালামি নিতাম। আর এখন আমাদেরকেই দিতে হয় সালামি। তারপর সোজা চলে গেলাম ঈদগাহে। সেখানে গিয়ে দেখলাম অনেক মুসুল্লি হুজুরের বয়ান শুনছে। আমিও গিয়ে বসে পরলাম। তারপর ঈদের নামাজ আদায় করে বের হয়ে গলাম। খারাপ লাগার বিষয় হলো, কোনো বন্ধুর সাথেই দেখা হয়নি। আসলে সবাই এখন মোটামোটি ব্যস্ত! তারপর ঈদগাহের পাশে কিছু দোকান বসেছিল। সেখান থেকে কিছু কেনাকাটা করে বাড়ি চলে গেলাম আসলে। বলতে গেলে ঈদের দিনের মজাটাই হলো বিকাল বেলা যখন বন্ধুদের সাথে দেখা হয়।
বিকালে বেশ কয়েকজন বন্ধুকে ফোন দিলাম ঠিকই কিন্তু কয়েকজন অসুস্থ আর কয়েকজন ব্যস্ত! তো আমার আরেকজন বেস্ট ফ্রেন্ড সালেহীনকে কল দিয়ে বললাম বিকালে যেন বের হয়। সালেহীনের সাথেই বেশি ঘুরাঘুরি হয় ঈদে! তো তাকে ফোন দিয়ে বললাম বিকালে যেন বের হয়। বিকালের দিকে ওয়েদারটাও একদম কোল ছিল। আমি ঘুমিয়ে গিয়োছিলাম কিছুক্ষণের জন্য। ঘুম থেকে উঠে দেখি সালেহীনের বেশ কয়েকটি মিসড কল। তো তারপর তাকে ফোন দিয়ে বললাম মাদ্রাসার এখানে চলে আসার জন্য। সেখান থেকে আমরা চলে গিয়েছিলাম কলিমার বন্দে। আসলে এ বন্দটি খুবই ভালো লাগে আমার কাছে। খোলামেলা পরিবেশ, বিস্তৃত ধানক্ষেত। ঠিক মাঝে ইটের তৈরি সরু একটি রাস্তা।
সেখানে গিয়ে দেখলাম আরও কিছু মানুষজন ঘুরতে এসেছে। মূলত এখানে এসে মানুষজন সময় কাটানোর জন্য। বিশেষ করে গরমের সময়ে এখানে বেশি মানুষ আসতে দেখা যায়। গিয়ে দেখলাম রাস্তার পাশের ধানের জমিগুলো বড় হয়ে গিয়েছে। বৈশাখ মাসের শেষর দিকে ধান কাটা শুরু করবে। সাথে মৃদ্যু হাওয়া। পরিবেশটা কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে গিয়েছিল। কারণ বৃষ্টি আসবে আসবে এমন মনে হচ্ছিল। এমন ওয়েদারই আসলে ভালো লাগে। সন্ধ্যার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত কোনো বৃষ্টি আসেনি। তারপর কিছুক্ষণ ফটোগ্রাফি করে চলে এলাম সেখানে থেকে।
Device | Oppo A12 |
---|---|
Photographer | @haideremtiaz |
Location | Nandail, Mymensingh |
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
twitter share
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে রাতের বেলায় দেরিতে ঘুমালেও সকালে তাড়াতাড়ি উঠে যাই আমি। আর যেহেতু কালকে ঈদ ছিল তাই তাড়াতাড়ি উঠতে হয়েছে। ছোট বড় সবাই ঈদগাহে গিয়ে নামাজ আদায় করে, এই বিষয়টা আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনারা যেখানে ঘুরতে গিয়েছিলেন এই জায়গাটা কিন্তু আসলে অনেক বেশি সুন্দর। এরকম প্রাকৃতিক পরিবেশ আমার অনেক বেশি পছন্দের। এরকম সুন্দর জায়গায় তো বেশিরভাগ মানুষ যাবেই। কারণ এরকম পরিবেশ বেশিরভাগ মানুষেরই পছন্দের। ঈদের দিনে কাটানো মুহূর্তটা সুন্দর করে আপনি সবার মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন, দেখেই তো অসম্ভব ভালো লেগেছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঈদের দিনে কলিমার বন্দে গিয়ে ভালোই সময় কাটিয়েছিলাম ভাইয়া। ওয়েদারও কোল ছিল একদম 🌼
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit