18-02-2024
০৬ ফাল্গুন , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
একটা কথা আছে জানেন তো! মানুষ হলো অভ্যাসের দাস! তার মানে মানুষ একটা কাজ বারবার করার মাধ্যমেই সেটা তার অভ্যাসে পরিণত হয়। হতে পারে কাজটি ভালো অথবা হতে পারে কাজটি খারাপ। তবে ভালো খারাপ মিলিয়েই অভ্যাসের সংমিশ্রণ। আমাদের জীবনে কনসিসটেন্সি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি জীবনে সাফল্য পেতে চান কিন্তু কোনো কনসিসটেন্সি নেই আপনার মাঝে তাহলে সাফল্যের ধারে কাছেও আপনি যেতে পারবেন না। যেকোনো কাজে সাফল্য পেতে হলো ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আপনাকে এগিয়ে যেতে হবে। সাথে থাকতে হবে পরিশ্রম করার মানসিকতা। তবেই দেখা যাবে আপনি সাফল্যের চূড়ায় চলে যেতে পারছেন। কিন্তু আমাদের সমস্যা হলো কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারি না! একদিন ঠিকভাবে কাজ করলে পরেরদিন ঠিকভাবে করি না। এর ফলে হয় কি, একটা গ্যাপ তৈরি হয়ে যায়। আর সে গ্যাপটা পূরণ করবো করবো বলে সেটাও রেখে দেন অন্যদিনের জন্য। দিনশেষে আপনার লক্ষ্য থেকে কিন্তু অনেকটাই দূরে সরে যাচ্ছেন।
এক ছাত্রের কথায় বলি। তার টার্গেট বিশ্ববিদ্যালয় জয় করা। মানে তাকে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে একটি সিট তার দখলে নিয়ে আসতে হবে। এখন, আপনার যদি লক্ষ্য থাকে যে ভার্সিটিতে চান্স পাওয়া তাহলে আজকে থেকেই আপনাকে লক্ষ্য স্থির রেখে আগাতে হবে । আপনি আগে ভালোভাবে নাও পড়তে পারেন। তবে এখন থেকে আপনাকে পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। সেটা একদিনে মোটেও সম্ভব নয়। আপনি ভাবছেন আমি আজক ১৪ ঘন্টা পড়াশোনা করে ফেলবো। তাতে কোনো কাজ হবে না। যদি আপনি পরেরদিন ১৪ ঘন্টা পড়ার অভ্যাস না করেন। আর পড়াশোনা করাটা বরাবরই কঠিন কাজ। ধৈর্যের একটি বিষয়। সে ধৈর্যটা একদিনে আসবে না। তাই আপনাকে ছোট ছোট টার্গেট নিয়ে পড়াশোনা করতে হবে। তবে দেখা যাবে আপনি ভালো কিছু করছেন।
আমাদের জীবনের ছোট ছোট কিছু অভ্যাস যেগুলো আমাদের ভবিষ্যৎ জীবনে খুব কাজে দেয়। এই যেমন খুব সকালে ব্যায়াম করার অভ্যাস, খুব সকালে ঘুম থেকে উঠা, নিয়মিত নামাজ আদায় করা, সত্য কথা বলা, খারাপ অভ্যাসগুলো পরিহার ইত্যাদি ইত্যাদি। এই ছোট ছোট অভ্যাসগুলো আপনার জীবনে একটা সময় এসে বুঝতে পারবেন অনেক ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। আপনি পড়াশোনা শেষ করে জবে গেলেন। আপনার অফিস সকাল সাতটায়! এখন আপনার যদি রাত জাগার অভ্যাস থাকে তাহলে আপনি কখনোই সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে পারবেন না। তার ফলে আপনি চাকরিটাও হারাতে পারেন। আর সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠার অভ্যাসটা যদি থেকে থাকে তাহলে আপনার সবকিছুই সহজ মনে হবে। এজন্যই ছোট ছোট অভ্যাসগুলো বাস্তবায়ন করা।
অনেকেই আছে, ধূমপান করে থাকে। এই ধূমপান অভ্যাসটা এতো সহজে কেউ ছাড়তে পারে না। আপনি যদি একবার আসক্ত হয়ে যান তাহলে তিলে তিলে আপনাকে শেষ করবে সেটা আপনি বুঝতে পারবেন। খারাপ এ অভ্যাসগুলোও কিন্তু আপনি চাইলে একদিনে পরিত্যাগ করতে পারবেন না। আপনাকে ছোট ছোট পদক্ষেপ নিতে হবে এবং সেগুলো যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে। তবেই আপনি সে খারাপ অভ্যাস থেকে দূরে থাকতে পারবেন। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হলো রাত জাগা। আর রাত জাগার ফলেই আমাদের মাঝে ডিপ্রেশন তৈরি হয়। আমি নিজেও এ অভ্যাসের মধ্যে ছিলাম এবং নিজেকে খুব ডিপ্রেসড মনে হতো। বলতে গেলে মানসিক অশান্তির মাত্রাটা বেড়ে যাশ রাত জাগার কারণে।
আপনি হয়তো রাত জেগে ফেইসবুকিং করতে করতে এমন কিছু দেখলেন যেটা আপনাকে অতীতের কথা মনে করিয়ে দেয়। যেটা আপনার মস্তিষ্কে সমস্যা তৈরি করে। মানসিকভাবে ভালো থাকতে হলো রাত জাগা বন্ধ করাটাই ভালো। সকালের সূর্যোদয় দেখার অনুভূতিটাই অন্যরকম। তবে আপনি মাসের পর মাস রাত জেগে জেগে চোখের নিচে কালি বানিয়ে ফেললেন! এখন আপনি তাড়াতাড়ি ঘুমাবেন কি করে! এজন্য প্রথমে আপনাকে এলার্ম সেট করতে হবে। ধরুন, আপনি আগে ঘুমাতেন রাত দুইটায়। পরেদিন আপনি চাইলেই রাত বারোটায় নাও ঘুমাতে পারেন। আপনাকে পাচঁ মিনিট আগে এলার্ম সেট করতে হবে। এভাবে প্রতিদিন করে পাচঁ মিনিট করে করে আগাতে হবে। এই ধারাবাহিকতা যদি আপনি এক সপ্তাহ মেইনটেইন করতে পারেন আপনার ব্রেইনে সেটা সেট হয়ে যাবে যে, আপনাকে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে হবে। তাই জীবনের সাফল্যের জন্য আমাদের আগে ছোট ছোট অভ্যাস নিজেদের মাঝে তৈরি করতে হবে।
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Twitter share
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দারুণ একটি টপিক নিয়ে দারুণ কিছু কথা লিখেছেন ৷ আসলেই , আমরা প্রত্যেকেই অভ্যাসের দাস ৷ আমাদের অভ্যাসে যা থাকে তা আমরা খুব সহজেই করতে পারি ৷ এজন্য ভালো কিছু অভ্যাস আমাদের ধীরে ধীরে তৈরি করে নেওয়া প্রযোজন ৷ জীবনে ভালো কিছু করার ইচ্ছে থাকে ৷ আসলে পরিশ্রম ছাডা কখনোই ভালো কিছু সম্ভব নয ৷ যা আপনি খুবই সহজে ব্যাখ্যা করেছেন ৷ আপনার পোস্টটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো ৷ ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুবই ভালো লাগলো ভাই 🌼
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি৷ আসলেই আমরা সকলে অভ্যাসের দাস৷ অভ্যাস এমনভাবে আমাদের তৈরি করা উচিত যাতে করে সেই অভ্যাসের কারণে আমরা ভাল কিছু করতে পারি। এজন্য আমাদেরকে ভালো অভ্যাস গঠন করা উচিত এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে যদি আমরা আমাদের সাফল্য অর্জন করতে পারি তাহলে আমাদের জীবন অনেক মধুময় হবে। অনেক ভালো লাগলো আপনার কাছ থেকে পোস্ট পড়ে। অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পরিশ্রম করলে সফলতা ধরা দিবেই। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ 🌼
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অবশ্যই মানুষ অভ্যাসের দাস। আমরা যদি মন থেকে চাই, তাহলে যেকোনো ধরনের অভ্যাস তৈরি করতে পারবো। তবে হুট করে কিছু হয় না,বরং ছোট ছোট টার্গেট নিয়ে ধীরে ধীরে অভ্যাস করতে হয়। হুট করে বড় কোনো টার্গেট নিলে নিজের উপর চাপ পড়ে যায়। তখন আর বেশিদূর যাওয়া যায় না। তাই যেকোনো কাজে ছোট ছোট টার্গেট নিয়ে, ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আমাদের এগিয়ে যাওয়া উচিত। আর সফলতা অর্জনের জন্য পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই। যাইহোক পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একদম ভাইয়া পরিশ্রম ছাড়া সফলতা কখনো আসে না
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit