09-04-23
২৬ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভালো আছেন। রমজানের সময়গুলো ভালোভাবেই অতিবাহিত করছেন আশা করছি। তাপমাত্রা বাড়ছে। স্বভাবতই বাহিরে গেলে একটু সাবধানে চলাফেরা করবেন। দেখতে দেখতে ১০ রোযা শেষ হয়ে গেল! আর কদিন পরেই ঈদের প্রস্তুতি । শহরের মানুষগুলোর চোখে এখন শুধু স্বপ্ন, কখন গ্রামের বাড়িতে যাবে? পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপন করবে! ইতোমধ্যেই ট্রেনের টিকেট পাওয়া যাচ্ছে। ঈদকে উপলক্ষ করে দশদিন আগেই ট্রেনের টিকেট ছেড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ রেল লাইন কর্তৃপক্ষ। অনেকে ট্রেনের টিকিট অগ্রীম সংগ্রহ করে নিচ্ছে! তবে প্রিয় জনদের সাথে যেন ভালো ভাবে সবাই ঈদ উদযাপন করতে পারে এমনটাই প্রত্যাশা করছি।
সারাদিন রোযা রেখে শরীর দূর্বল হয়ে যায়। সন্ধ্যায় এক গ্লাস ঠান্ডা শরবত পেলে মনে হয় জীবনের তৃষ্ণা মিটেছে। কদিন ধরে রোদ বেশি আপনারা হয়তো লক্ষ্য করছেন। রোযার দিন কোচিং থেকেও চাপ দিচ্ছে! ইঞ্জিনিয়ারিং এ যারা পড়াশোনা করেছেন তারা নিশ্চয় জানেন এ ক্যাটাগরির পড়াশোনাটা কেমন! বলতে গেলে ম্যাথে একদম দক্ষ থাকতে হবে। মানে হচ্ছে যার যত বেশু প্রবলেম সলভ করার ক্ষমতা বেশি, সে তত এগিয়ে থাকবে এ সেক্টরটাতে।
দুপুর দুইটায় কোচিং ছিল! বাহিরে তখনও রোদও ছিল। নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ রেস্ট নিতেই দেখি দুইটার কাছাকাছি বেজে গেছে। তাড়াহুড়ো করে কোচিং এ গেলাম! কোচিং আবার বাসা থেকে কাছেই। হেটেঁ গেলে ১০ মিনিটের মতো লাগে। দুপুর টাইমটাতে একটু অলসতা কাজ করেই। কারন এই টাইমে বেশিরভাগই ঘুমাই! আমাদের কোচিং এর স্যাররা পর্যন্ত বলেছিল এই টাইমে ঘুম পায় খুব! কিন্তু শিক্ষকতা যখন পেশা তখন তো করতেই হবে।
ক্লাস হয়েছিল তিন ঘন্টা যাবৎ! কোচিং শেষ হতেই আসরের আযানও দিয়ে দেয়। তাই আমি বের হয়ে আমার বন্ধু তারেককে নিয়ে চলে গেলাম ডুয়েট ক্যাম্পাসের মসজিদে! এ ডুয়েট ক্যাম্পাসের একজন ছাত্র হওয়ার জন্যই যে এতোকিছু! কতো শত ভাঙা গড়ার স্বপ্ন লুকিয়ে আছে এখানকার প্রতিটি বেঞ্চে! চেষ্টা ও পরিশ্রমের ফলেই আমি মনে করি জীবনে সফল হওয়া সম্ভব! আমি আর তারেক কথা বলতে বলতে মসজিদের কাছে চলে গেলাম! মসজিদের সামনে কিছু বড় ভাইয়েরা ক্রিকেট খেলছে। অথচ সেই কবে ব্যাট হাতে নিয়েছে মনেই নেই!! কিন্তু ক্রিকেট খেলতে বড্ড ইচ্ছে করছিল।
এদিকে নামাজের সময়ও হয়ে গিয়েছিল! মসজিদে নামাজ আদায় করে নিলাম! আসরের নামাজের পর ইফতারের এক ঘন্টার মতো সময় থাকে। সেটা যেন দেখতে দেখতে চলে যায়। মাঠের প্রাঙ্গণে এসে কিছুক্ষণ খেলা দেখলাম! আকাশ একদম নীলরঙা ছিল। ডুয়েট ক্যাম্পাসের ছাত্রাবাস যেন আকাশের সামনে মাথা উচুঁ করে দাড়িঁয়ে আছে। আল কাদীর ছাত্রাবাস ছিল সামনেই! বড় ভাইয়েরা একে একে নামাজ আদায় করে যে যার মতো চলে যায়। কেউ কেউ আবার বিকেলের সময়টাতে মাঠের প্রাঙ্গনে এসে বসেই কাটিয়ে দেয়।
ঠিক কিছুক্ষণ পর দেখা হয়েছিল শান্ত ভাইয়ের সাথে! ফেনী পলিটেকনিক এর প্রাক্তন ছাত্র! ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভার্সিটিতে পড়াশোনা করছে! শান্ত ভাইয়ের সাথে আমার পরিচয় ছিল। ফেনী থাকতে কথা হয়েছিল। আসলে সু-পরামর্শ পেলে বরাবরই ভালো লাগে। যোহেতু তিনি কিভাবে এখানে এডমিশনে সিলেক্ট হয়েছিল, কিভাবে পড়াশোনা করেছিল উনার অভিজ্ঞতার আলোকে অনেক কথাই জানতে পারি।
পরিশ্রম! পরিশ্রম ছাড়া সাকসেস হওয়া সম্ভব না! লক্ষ্য ঠিক রেখে পুরোদমে পরিশ্রম করে যেতে হবে। সব থেকে বড় কথা হলো পজিটিভ থিংকিং! শান্ত ভাইয়ের কথাগুলো শুনে ভালোই লাগছিল। এছাড়াও প্রশ্নের প্যাটার্ন সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও জানতে পারি। এডমিশন লাইফটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সময়ের সঠিক ব্যবহার নিশ্চত করতে হবে। যাক, অনেকদিন পর শান্ত ভাইয়ের সাথে কথা বলতে পেরে ভালোই লাগছিল। আর কোনো সমস্যায় পড়লে জানাতেও বলেছিল। আসলে আপনার এলাকার যদি কেউ থাকে তখন দেখবে অন্য এলাকার মানুষের চাইতে আপনাকে একটু অন্যরকম চোখে দেখবে।
Device | Oppo A12 |
---|---|
Photographer | @haideremtiaz |
Location | w3w |
Date | 08 April, 2023 |
যাক, সবার কাছে দোয়া চাই। সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। যেখানেই থাকুন ভালো ও নিরাপদে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ 🌼
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে ঠিকই বলেছেন দেখতে দেখতে ঈদও চলে যাচ্ছে। কয়েকদিন পর সবাই ঈদের প্রস্তুতি নিবে। আর শহরের মানুষদের গ্রামে আসার জন্য আনাগোনা শুরু হয়ে যাবে কয়েকদিন পরেই। সবাই নিজেদের ফ্যামিলির সাথে ঈদ উদযাপন করবে এর জন্যই সবাই অনেক খুশি। ঠিকই বলেছেন কয়েকদিন ধরে রোদ বেশি পড়তেছে। যার জন্য একেবারে বেশি ক্লান্তি লাগে। যাইহোক আপনার বিকেলের সময়টাতে এই পোস্ট পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে আমার কাছে। ভালোই লিখেছেন সম্পূর্ণটা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি আপু! শহর থেকে এখন মানুষ ছুটছে গ্রামের দিকে। প্রিয়জনদের সাথে ঈদ উদযাপন করার জন্য 🌼
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দেখতে দেখতে এই রমজান মাস চলে এসেছিল। এখন দেখতে দেখতে রমজান মাস চলেও যাচ্ছে। কয়েকদিন পরেই ঈদের ছোঁয়া পাওয়া যাবে। আপনি আজকে এমনিতে খুবই সুন্দর একটা পোস্ট লিখেছেন আমার কাছে পড়ে এমনিতে ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনারা তাহলে মাঠের প্রাঙ্গনে এসে কিছুক্ষণ খেলাও দেখেছিলেন। যাইহোক পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো আমার কাছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি ভাইয়া! সময় তো চলে যায়। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ 🌼
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit