17-03-23
০৩ চৈত্র , ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভালো আছেন। কিছুদিন আগে গিয়েছিলাম ফেনী! হঠাৎ করেই জরুরি নোটিশ আসে কলেজে যেতে হবে। আসলে আমাদের ডিপ্লোমা লাইফের অধ্যায়টা শেষ। চার বছরের প্রাতিষ্ঠানিক অনেক জ্ঞানই অর্জন করেছি। তবে কলেজের কাজ কিছু বাকির রয়েই গিয়েছিল। আমাদের ৮ম সেমিস্টার পরে কলেজ থেকে টাকা দিয়ে থাকে এবং ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট দিয়ে থাকে।
ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট দিয়ে আবার শুনেছিলাম চাকরিতে আবেদন করা যায়। কলেজ থেকে বলে দিয়েছিল ১৩ তারিখের মধ্যে সংগ্রহ করতে। এরই মাঝে গাজীপুরে চলে আসি। কোচিং ও খোলা! একটা ঝামেলায় পড়ে যায় বলতে গেলে। কোচিং এ একদিন মিস দেয়া মানে অনেক কিছুই শেষ! একটা টপিক একদিনেই শেষ করিয়ে ফেলে। ক্লাস না করলে বুঝার চান্ড থাকে না।
কিন্তু কলেজের কাজটাও ইম্পর্টেন্ট! না গেলে পরে আবার ঝামেলা হতে পারে। পরে সিদ্ধান্ত নেয় যাবো। আগের বার ট্রেনে দাড়িঁয়ে গিয়েছিলাম! অনেকটা পথ দাড়িঁয়ে যাওয়া কতটা অস্বস্তিকর ব্যাপার আপনারা নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন। ইতোমধ্যে পোস্টে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। এবার গেলে শরীর নিয়ে আর উঠা যাবে না। তাই আগেই টিকেট কাটাটাই ভালো হবে। ফোন দেয় আমার বন্ধু শাওনকে! গাজীপুরেই বাসা! একসাথেই পড়ালেখা করেছি দুজন! শাওনকে অবগত করি যে, আমাদের কলেজে যেতে হবে। সিগনেচারও ও কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট দিবে। শাওন অবশ্য যেতে রাজি হয়ে যায়। শাওন নরমালি বাস দিয়ে ফেনী যেয়ে থাকে। আমাকে বলছিল ফেনী বাস দিয়ে যেতে! কিন্তু আমি আর স্বায় দেয়নি। পরে অবশ্য শাওনকে ফোন দিয়ে বলি ট্রেনের টিকেট আছে! আরামছে যাওয়া যাবে। শাওন এতে আপত্তি করেনি।
বারো তারিখের দুটো টিকেট পায়। দুটো টিকেট ই অনলাইনে বাকি ছিল। তাড়াতাড়ি করে টিকেট দুটি সংগ্রহ করি। চট্রলা এক্সপ্রেস এর টিকেট। ঢাকা থেকে চট্রগ্রামগামী ট্রেন! দুপুর এক টায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে আসবে। বিমান বন্দরে আসতে আসতে ১:৩০ মিনিটের মতো লেগে যায়। তো বারো তারিখে যথারীতি চট্রলা এক্সেপ্রেস দিয়ে ফেনীর উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কিন্তু ট্রেনের ভিতরে মানুষের ভীড় ছিল অনেক। আমার সিটে আমি নিজেই বসতে পারিনি। এক ভদ্র মহিলা বাচ্চা নিয় দাড়িঁয়েছিল। আমি তাকে বসতে দিয়েছিলাম। কিন্তু মানুষদের যে বেশি সুযোগ দিতে নেই সেটা সেদিন বুঝতে পেরেছিলাম। মহিলা বলেছিল নরসিংদী গিয়ে নেমে যাবে। কিন্তু অবাক হলাম যে, নরসিংদী স্টেশনে নামেনি। ভৈরব স্টেশনে নিয়ে নামবে। অলরেডি ১ ঘন্টার মতো দাড়িঁয়ে এসেছি তার উপর আরও কিছুক্ষণ দাড়িঁয়ে থাকতে হবে।
যাক, ভৈরব গিয়ে সিটটা খালি পেলাম। এবার তাহলে বসে যাওয়া যাবে । কিন্ত ট্রেনে একের পর এক যেন মানুষ উঠতেইছিল। মানুষের ভীড়ে সিটে বসেও শান্তি পেলাম। অবশেষে মনে হচ্ছিল অনেক কষ্টে ফেনী আসলাম। ফেনীতে পৌছি সন্ধ্যা সাতটার দিকে। রাত হয়ে গেছে। কলেজ বন্ধ থাকবে এখন। সকালে যেতে হবে কলেজে। ঘুম থেকে উঠেই চলে গেলাম কলেজে। অফিসকক্ষে গিয়ে সিগনেচার করলাম এবং প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র তুলে নিলাম। তারপর আবার ট্রেন ছিল। সকাল ১০:১৫ আবার চট্রলা এক্সপ্রেস ট্রেন। কিন্তু শাওন ট্রেন দিয়ে যাবে না! একবার ট্রেন দিয়ে এসেই ট্রেনের মজা বুঝে ফেলেছে। আর এখন টিকেট ছাড়া দাড়িঁয়ে যেতে হবে। সেটা আরও কষ্টের ব্যাপার। শাওন তখন বাস দিয়ে যাওয়ার কথা বললো! ফেনী থেকে সরাসরি আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত স্টারলাইন বাস যায়।
আমি বাস দিয়ে যাবো কি না বুঝতেছিলাম না। বাসের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো জ্যামে পড়লে কয়েকঘন্টা বসে থাকতে হয়। যেটা খুবই বিরক্তিকর ব্যাপার। ট্রেনে দাড়িঁয়ে গেলেও গায়ে লাগে না। এইবার শুধু শাওনের রিকোয়েস্টেই বাস দিয়ে আসার প্লেন করলাম। অবশেষে প্লেন করলাম একবার বাস দিয়ে গিয়েই দেখি কেমন হয়। ফেনী মহিপালে স্টারলাইন বাসের টিকেট কাউন্টার। সেখানে চলে গেলাম সিএনজি নিয়ে। স্টার লাইন বাসের রোলস আর সিস্টেম দেখে ভালো লাগলো। সব স্টাফ অনেক কুঅপারেটিভ! আমরা কাউন্টারে গিয়ে প্রথমেই এসি সিটের দুটি টিকেট সংগ্রহ করতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু এসি সিট সব বুকিং! নন-এসি খালি আছে। সেটাও আবার দুপুর ১:৩৫ এ। আবার জানতে পারি বিকাল ৩:১৫ মিনিটে এসি বাসের সিট ফাকাঁ আছে।
কিন্তু তিনটা পর্যন্ত বসে থাকবে কে! এতোক্ষণে অনেকদূর চলে যাওয়া যাবে। আমার ইচ্ছে ছিল এসি বাসে করে যাওয়ার। কিন্তগ তা আর হলো না। অবশেষে নন-এসির দুটি টিকেট সংগ্রহ করে শাওন। প্রতিটি টিকেটের মূল্য ছিল ৪৩০ টাকা। আর এসি বাসের প্রতিটি সিটের ভাড়া ৪৭০ টাকা। স্টার লাইনের বাস সার্ভিস আমার কাছে ভালোই মনে হলো। তবে একটা ব্যাপার আমাকে অবাক করেছে। লং জার্নির ক্ষেত্রে সবাই বাসই বেছে নিচ্ছে। বাস দিয়ে আরামছে যাওয়া যায়। স্টার লাইন বাস সিরিয়ালভাবে একটার পর একটা ছাড়ে। আমাদের বাস যেহেতু দুপুর ১:৩৫ মিনিটে! তাহলে অনেকক্ষন বসে থাকতে। ঘড়িতে তখন সকাল সাড়ে দশটা বাজে। তার মানে তিন ঘন্টা আরও বসে থাকতে হবে।
Device | Oppo A12 |
---|---|
Photographer | @haideremtiaz |
Location | w3w |
Date | 13 March, 2023 |
চলবে....
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
twitter share link
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit