৩য় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ || ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া

---

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো আমরা যারা খেলাপ্রেমী মানুষ আছি সবসময় খেলাধুলার খবর রাখি আর সেটা আপনাদের সাথেও শেয়ার করি। আপনাদের সাথে ইতোমধ্যে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ শেয়ার করেছি। আজে তৃতীয় ম্যাচ নিয়ে আলোচনা শুরু করবো। গত দুটি ম্যাচে ভারতই জিতেছে এবং পাচঁ ম্যাচের সিরিজে তারা এগিয়েও আছে। তো তৃতীয় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় ভারতের ভারসাপরা স্টেডিয়ামে। সেদিন পিচ দেখে মনে হয়েছিল ব্যাটিং পিচ হতে পারে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। হয়তো ভেবেছিল যে ভারতকে কম রানে আটকাতে পারলে ম্যাচটি জিততে সহজ হবে। তো শুরুতেই ব্যাটিং এ নামে জাইসওয়াল ও গাইকওয়াদ! ইনিংসের শুরুটা ভালোভাবে করলেও আগের দুই ম্যাচে ভালো খেলা জাইসওয়াল সেদিন ৬রান করে আউট হয়ে যায়। আসলে জাইসওয়ালের ব্যাটিং স্টাইল পুরাই আউটস্ট্যান্ডিং! স্লোয়ার বলগুলোকেও খুব সহজে বাউন্ডারি আ ছক্কা হাকিয়ে দেয়। তারপর মাঠে নামে ইশান কিশান।

_{Screenshot from Sports TV}

ইশান কিশান আগের ম্যাচে ভালো খেলেছিল। কিন্তু ইশান কিশান ভুল শট খেলতে গিয়ে আউট হয়ে বসে। ০ রান করেই মাঠ ছাড়তে হলো। ভারত তখন চাপে পড়ে যায় কিছুটা। মাঠে নামে সুরিয়াকুমার যাদব। এদিকে গাইকওয়াদ বাউন্ডারি আর ছয় মেরে খেলতে থাকে। আগের ম্যাচে এতো ফ্রিলি খেলতে পারেনি। সেদিন দেখলাম একদম ফ্রিভাবে খেলছে। সুরিয়াকুমার ও তার সাথে দারুণ ছন্দে ব্যাটিং করতে থাকে। কিন্তু হার্ডির বলে ২৯ বলে ৩৯ রান করে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় সুরিয়াকুমারকে। মাঠে নামে তিলক ভার্মা। তিলক ভার্মার খেলা আইপিএলে দেখেছি কিন্তু জাতীয় দলের জার্সিতে দেখা হয়নি। বাহাতি এ ব্যাটার নেমেই ভালো খেলতে থাকে। এদিকে গাইকওয়াদ হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলে। হাফ সেঞ্চুরি করার পর গাইকওয়াদ আরও বিধ্বংসী হয়ে উঠে। মাত্র ৫৭ বলে ১২৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকে গাইকওয়াদ। ভারতের সংগ্রহ দাড়াঁয় ২০ ওভার শেষে ২২২ রানের!

_{Screenshot from Sports TV}

বিশাল একটি রানের টার্গেটকে সামনে রেখে ব্যাটিং এ নামে অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার ট্রাভিস হেড ও হার্ডি! ইনিংসের শুরুটা দারুণভাবে করে দুজন মিলে। রান রেইটও ঠিক রেখে একের পর এক বাউন্ডারি মারতে থাকে। কিন্তু হার্ডি ইনিংসের ৫ম ওভারে এসে আরশডিপ সিং এর বলে আউট হয়। তারপর মাঠে নামে জস ইনংগলিশ। ইনিংসের ৬ষ্ঠ ওভারে এসে হেড আউট হয়ে যায়। দলীয় সংগ্রহ তখন ৬৬ রান। তারপর মাঠে আসে গ্ল্যানম্যাক্সওয়েল! আসলে ম্যাক্সওয়েল মাঠে থাকতে পারলে বিশাল রান তাড়া করাও সহজ হয়ে যায়। আপনারা সবাই হয়তো দেখেছেন ম্যাক্সওয়েলের বিধ্বংসী ব্যাটিং আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। একাই শেষ পর্যন্ত লড়ে গিয়ে খেলাটাকে জিতেয়েছিল। যাক, ম্যাক্সওয়েল স্ট্রোক প্লেয়ার! সিঙ্গেল নেয়ার থেকে বাউন্ডারি আর ছক্কা মেরে খেলতে পছন্দ করে বেশি। এদিকে জস ইনংগলিশ আউট হয়ে যায় ১০ রান করে। তারপর খেলার দায়িত্বটা ম্যাক্সওয়েলের উপরই পরে।

_{Screenshot from Sports TV}

স্টইনিস ও টিম ডেভিড এসে বেশিক্ষণ মাঠে থাকতে পারেনি। এদিকে ম্যাক্সওয়েল রান রেইট ঠিক রেখে ব্যাটিং করতে থাকে। ব্যাটিং এ নামে ম্যাথিউ ওয়েড। কিন্তু ম্যাক্সওয়েল একাই ব্যাটিং চালিয়ে যায়। একের পর এক বাউন্ডারি আর ছক্কা মারতে থাকে। ম্যাথিউ ওয়েড শুধু তার পাশে ছিল। আবারো কম বলে ঝড়ো ইনিংস খেলে সেঞ্চুরির দেখা পায় ম্যাক্সওয়েল। এবং শেষ অবধি অস্ট্রেলিয়া দারুনভাবে জয়লাভ করে সিরিজে ২-১ থেকে সিরিজ জয়ের আশা বাচিঁয়ে রাখে। প্লেয়ার অফ দা ম্যাচ নির্বাচিত হয় ম্যাক্সওয়েল।

---

---

10% beneficary for @shyfox ❤️

ধন্যবাদ সবাইকে

---

---

আমি কে?

^{আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।}