শেষ পর্বঃ মুঠোফোনে প্রেম

---

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন 🌼। কয়েকদিন ধরে ভালোই কুয়াশা পরছে দেখছি। আশা করছি সবাই শীতের সময়টাতে ভালো থাকার চেষ্টা করছেন! যদিও এই সময়টাতে ঠান্ডার কারণে অনেক সমস্যা হয়ে যায়। তাই একটু সাবধানে থাকাই ভালো! যায়হোক, আপনাদের সাথে ইতিমধ্যে একটি গল্প শেয়ার করেছিলাম। যাক, আজকে গল্পের শেষ পর্বটি লিখলাম। আগের পর্বটি না পড়ে থাকলে লিংকে প্রবেশ করে পড়ে আসতে পারেন।

_{copyright free image from pixabay}

৬ষ্ঠ পর্বের পর

নীলা এখন মেডিকেলে পড়াশোনা করছে! বাবা মায়ের অনেক স্বপ্ন ছিল নীলা ডাক্তার হবে! বাবা মায়ের আশাটুকু নীলা বাচিঁয়ে রেখেছে! সেটা সম্ভব হতো না, যদিনা আবির নীলার পাশে থাকতো! আবির সবসময় নীলাকে সাপোর্ট দিয়েছে। আবির আর নীলার সম্পর্কটা সেই আগের মতোই আছে। দুজনের অগাধ বিশ্বাসের কারণে সম্পর্কটা এতোদূর গড়িয়েছে। আবিরও ভার্সিটিতে পড়াশোনা করছে! রসায়ন সাবজেক্ট নিয়ে ঢাকা ভার্সিটিতেই পড়াশোনা করছে! এই চারবছরে তাদের সম্পর্কের মাঝে অনেক উত্তান পতন হয়েছে। কিন্তু তারা কেউ কাউকে ছেড়ে যায়নি। বিপদে একজন আরেকজনের পাশে ছিল! আবিরে ফ্যামিলি এতোটাও স্বচ্ছল ছিল না! নীলা তাকে সবসময় সাপোর্ট দিয়ে গেছে।

নীলার পরিবার এখন রাজি আবিরের কাছে বিয়ে দেয়ার জন্য! আবিরের পরিবারও রাজি তাদের বিয়েটা হোক! নীলার মেডিকেল পড়া শেষ হলে পারিবারিকভাবেই বিয়ে হবে। আজ ভ্যালেন্টাইন ডে! সাদা কালারের একটা পাঞ্জাবী পড়ে আবির দাড়িঁয়ে আছে। হাতে টকটকে লাল গোলাপ! নীলাকে দেয়ার জন্য। নীলার ফুল ভীষণ প্রিয়। নীলা নীল শাড়ি পড়ে বেরিয়েছে। আজ আবিরের সাথে দেখা করবে। সাদা পাঞ্জাবী আর নীল শাড়ির কম্বিনেশনে তাদের দুজনকে অনেক ভালো দেখাবে! এই আইডিয়াটা নীলার! শহরের অলিগলি দুজনে ঘুরে বেড়াবে! তাদের স্বপ্নগুলো পূর্ণতা পাবে। বেশ কিছুক্ষণ ধরেই আবির দাড়িঁয়ে আসছে। এখনও নীলা আসছে না। কিছুটা টেনশন হচ্ছে আবিরের। অপেক্ষা অনেক কষ্টের! আর সেটা যদি প্রিয় কোনো কিছুর জন্য তাহলে আরও বেশি কষ্টের! যতক্ষণ না তাকে দেখতে পাওয়া ততক্ষণ মন শুধু উতলা থাকবে।

আবির নীলাকে ফোন দেয়! ফোনেও নীলাকে পাওয়া যাচ্ছে না। এতোদিন পর তাদের দেখা হচ্ছে, এখন নীলাকে পাওয়া যাচ্ছে না! আবিরের টেনশন যেন আরও বেড়ে গেল। আবির কয়েকবার কল দেয়। কিন্তু না! ফোন ধরছে না নীলা! ঠিক কিছুক্ষণ পর, নীলা এসে হাজির! এতো লেইট হলো যে! রাস্তায় জ্যাম ছিল এজন্য একটু লেইট হয়েছে! আর ফোন সাইলেন্ট ছিল! আজ নীলাকে অনেক সুন্দর লাগছে। চার বছরে নীলার সাথে শুধু ফোনেই কথা হয়েছে! দেখা হয়নি এতোদিন! নীলা আগের থেকেও সুন্দর হয়েছে। ঠিক যেন নীল পরির মতো! নীল শাড়িতে নীলাকে মানিয়েছে! আবির ঠিক আগের মতোই রয়ে গেছে! লাজুক স্বভাবের! প্রিয় মানুষের সামনে গিয়ে এখনও লজ্জা পায়! নীলার জন্য আবির লাল গোলাপ নিয়ে এসেছিল! নীলাকে দেয় আবির! নীলা ফুল পেয়ে অনেক খুশি। আবিরের অল্প কিছুতেই নীলা অনেক খুশি হয়। নীলা, আবিরের কাছে কখনও দামী গিফট চায়নি!

রিকশা দিয়ে শহরের অলিগলি ঘুরতে থাকে দুজন! প্রিয় মানুষের সাথে সময় কাটালে সময় যেন দ্রুত ফুরিয়ে যায়! বিয়ের পরও সময়গুলো এভাবে চলে যাবে দুজনের! সামনের মাসে নীলা আর আবিরের বিয়ে! আজীবনের জন্য প্রিয় মানুষটাকে পেয়েই যাবে আবির! সেই মুঠোফোনের কথা বলা! আর আজ নীলা তার জীবনের একটা পার্ট হয়ে গেছে। বাকিটা জীবন যেন একে অপরের হাতে হাত রেখে কাটিয়ে দিতে পারে সেই প্রত্যাশা দুজনের! পারিবারিকভাবেই বিয়ে হচ্ছে! অতঃপর নীলা আর আবিরের বিয়ে হয়েই গেল! ভালোবাসা একটুকুও বদলায়নি, আগের মতোই রয়ে গেছে। দুজনের স্বপ্নগুলো এখন এক!

_শেষ

---

---

10% beneficary for @shyfox ❤️

ধন্যবাদ সবাইকে

---

---

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

আমি কে?

^{আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।}