07-11-2022
২৩ কার্তিক,১৪২৯ বঙ্গাব্দ
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে
"মানুষ যত পায়, তত চায়! " মানুষের চাওয়ার যেন শেষ নেই! মানুষের চাওয়ার পরিমাণ যদি হিসাব করা হয় তাহলে সেটা অসীম! অল্প পেয়েই যেখানে সুখী থাকা যায়। সেখানে মানুষ চাই আরও হোক! আমার এখনও অনেক কম! এই চাওয়ার শেষ কোথায় আমার জানা নেই আসলে। আমি আজকে এসেছি কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করে নেয়ার। একটু খেয়াল করলেই দেখবেন। আমাদের চারপাশে অনেক মানুষ আছে যারা অন্যের উপর প্রভাব খাটাতে চায়! যেটা তার পাওয়ার কথা না সেটা নিয়েই মাথা ব্যথা! আর সেখান থেকেই শত্রুতার সৃষ্টি!
বর্তমানের দিকে যদি একটু তাকাই তাহলে বুঝা যাবে ব্যাপারটা। বর্তমানে কেউ কারো ভালো দেখতে পারে না। ধরেন, আপনি খুব সুখী মানুষের মধ্যে একজন। আপনি সুখী জীবনযাপন করতেছেন। কিন্তু আপনার প্রতিবেশী আপনার মতো সুখী নেই! সে চেষ্টা করবে কিভাবে আপনার মতো সুখী হওয়া যায়, ভালো থাকা যায়! সে প্রতিবেশী আপনার ভালো কখনই চাইবে না। বরং চাইবে আপনার ক্ষতি হোক। আপনি যেন সুখী থাকতে না পারেন সে চিন্তায় করবে। যখনই দেখবে আপনি ভালো নেই তখনই আপনার প্রতিবেশি হাসি আনন্দে মেতে উঠবে। মূলত হিংসা ব্যাপারটা সেখান থেকেই চলে আসে! সহজ কথায় যদি বলি, অন্যের ভালো দেখতে না পারা। রাগ ও ক্ষোভের কারণে হিংসার জন্ম হয়। আর সেটা ভয়ংকর রূপও ধারণ করতে পারে।
আসলে ফেনীতে বেশ কয়জন ফ্রেন্ড সার্কেলের সাথে চলাফেরা করেছি। এখানে আসার পর এখন আর তেমন কথা হয়না। হলেও সেই আগের মতো না! দেড় বছর যাদের সাথে থেকেছি তারাই এখন সমালোচনা করে! আসলে অন্যের খারাপ সমালোচনা করে কি অর্জন করতে পারে? স্যারদের কাছে আমার নামে খারাপ কথা বলা! এতেই বা তাদের লাভ কিসের! আমি বুঝিনা। এসবই তো হিংসা। মানে হচ্ছে আমার ভালোটা তারা দেখতে পারে না। আমি ছাত্র হিসেবে আলহামদুলিল্লাহ ভালো। ডিপ্লোমা লাইফে এখন পর্যন্ত ভালো রেজাল্ট করে আসছি। কিন্তু আমার দূর্বল জায়গা হলো প্র্যাকটিক্যাল কাজ। এই প্র্যাকটিক্যাল কাজটা তেমন করতে পারি না। তবে আশুগঞ্জ পাওয়ার প্লান্টে আসার পর অনেক কিছু শিখেছি । ইলেকট্রিক্যাল এর প্র্যাকটিক্যাল কাজগুলো করতে পারি। কিন্তু কথা হলো যখনই কোনো একটা কাজ পারি না। তখনই আমার বন্ধুরা হেল্প করতে আসে না! অথচ আমি তাদেরকে সবসময় হেল্প করেই আসছি! এখন ভাবতে পারেন, আমি তাদের নামে বদনাম করছি? না, বদনাম করছি না। জাস্ট কথাগুলো শেয়ার করছি।
আমি যদি কাজ শিখে যায় তাহলে তাদের হয়তো লস! কিভাবো লস তাদের? আমার রেজাল্ট ভালো এখন প্র্যাকটিক্যাল কাজটাও ভালো করে শিখতে পারলে ভালো জায়গায় চাকরি পাওয়ার চান্স থাকবে। বাকিদের রেজাল্ট খারাপ কিন্তু প্র্যাকটিক্যাল কাজে এক্সপার্ট। সো তারা চাইনা আমি কাজ শিখে তাদের থেকেও এক ধাপ এগিয়ে থাকি । আসলে সেখান থেকেই তো হিংসার জন্ম হয়! তবে একটা কথা বুঝতে পারি এখন, "মানুষ স্বার্থ ছাড়া আপনাকে চার আনার মূল্য দিবে না! " আপনি যেখানেই যান না কেন! আগে নিজের স্বার্থ তারপর অন্য কিছু। দিনশেষে কিন্তু এই স্বার্থপর মানুষগুলোই ভালো থাকে। কারণ নিজের স্বার্থের জন্যই যে এতোকিছু।
অথচ নিরন্তর ছুটে চলা এ জীবনে আমরা শুধু সুখের পিছনেই পড়ে আছি। সুখ বলতে আদৌ কি কিছু আছে? আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,"তোমরা অল্পতেই সন্তুষ্ট থাকো, এতেই সুখ "। আমরা যেন তা ভুলেই যাচ্ছি। সুখের পিছনে ছুটতে ছুটতে আমরা যেন কেমন স্বার্থান্বেষী মানুষ হয়ে যাচ্ছি। সবাই যেন এক অসুস্থ প্রতিযোগিতা নিয়ে ব্যস্ত! দিনশেষে কিন্তু কেউই সুখী নয়! আপনি এমন একজনকেও পাবেন না যে সুখী মানুষ! দুনিয়াতে সুখ বলতেও তেমন কিছু নেই। তবে যায়হোক, কোথা থেকে কোথায় চলে গেলাম।
আমাদের অন্যের ক্ষতি কামনা করে অসুস্থ মানসিকতার পরিচয় না দেয় সেটাই প্রত্যাশা করি। সবার সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করি যেন আমরা। একে অপরের সুখেদুঃখে যেন এগিয়ে আসতে পারি। ক্ষণস্থায়ী এ জীবনে আমাদের চিন্তাভাবনা যেন থাকে পজিটিভ! মানুষের পরোপকারে যেন এগিয়ে আসতে পারি এমনটা কামনা করছি। যায়হোক, অনেক নীতি কথায় বলে ফেললাম। আমি আসলে কাউকে আঘাত দিয়ে কথাগুলো বলেনি! ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং আমি কোনো মোটিভেটরও নয়! মনের কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিলাম। সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ 🌼
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Link
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া বর্তমান সমাজে পরশ্রীকাতর লোকের অভাব নেই। আপনি যদি ভালো কিছু করেন তাতে করে অন্যদের ভালো লাগবেনা তাদের ঈর্ষা হবে এটাই হলো বাস্তব চিত্র, তাই অন্যের কথা না ভেবে নিজের লক্ষ্যে অটুট থাকুন তাহলে একদিন দেখবেন ওরা এমনিতেই সমালোচনা করে থামিয়ে দিয়েছে। আপনার মনের কষ্ট গুলো শেয়ার করেছেন পড়ে অনেক খারাপ লাগলো। আপনি যাদের সহযোগিতা করেছেন অথচ তাড়াই আপনার বদনাম করে এটা খুবই দুঃখজনক। যাই হোক এগুলো নিয়ে ভাবেন না নিজের কাজ নিজের মতো করে চালিয়ে যান। ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুক এই প্রার্থনা করি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি দিদি! আসলে মাঝে মাঝে তো একটু খারাপ লাগেই। তবে তাদেরকে এরিয়ে চলতে পারলেই বেটার! ধন্যবাদ আপনাকে দিদি 🌼
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাইয়া বর্তমান যুগে কেউ কারো ভালো দেখতে চায় না। কেউ একজন উপরে উঠতে চাইলে বাকিরা তাকে কিভাবে নিজের নামানো যায় সেই চিন্তা করে। আপনার বন্ধুরা যেহেতু আপনাকে কোন কাজে হেল্প করে না তাহলে এরা আপনার প্রকৃত বন্ধু নয়। এরা বন্ধু হলে অবশ্যই বন্ধুর বিপদের সাহায্য করত। এমন বন্ধু থেকে দূরে থাকাই ভালো বলে আমি মনে করি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি আপু আপনি একদম ঠিক বলেছেন! দূরে থাকাই বেটার হবে। ধন্যবাদ আপনাকে 🌼
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit