সমুদ্রযাত্রায়

in hive-129948 •  2 years ago  (edited)

23-06-2023

০৯ আষাঢ় , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ


আসসালামুআলাইকুম সবাইকে


ship-3401500_1280.jpg

copyright free image from pixabay

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভালো ও সুস্থ্য আছেন। ভালো থাকতে পারটাই হলো বড় কথা! সৃষ্টির শুরু থেকে মানুষ আসলে অদম্য কৌতুহল প্রেমী। নতুন কিছু সম্পর্কে জানতে সবসময় মুখিয়ে থাকে। আবার যখন যুগের পর যুগ সেটা পড়ে থাকে সাগরের তলদেশে সেটা সম্পর্কেও মানুষ জানতে চায় নতুন করে! নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন কি বলতে চাচ্ছি! টাইটানিক জাহাজ! পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ জাহাজ যেটি ছিল! কখনো ডুবে যাওয়ারও যে কোনো সম্ভাবনা ছিল না। কিন্তু সবকিছুরই ধ্বংস আছেই!

টাইটানিক মুভিটাও নিশ্চয় দেখেছেন। ১৯৯৭ সালে নির্মিত টাইটানিক মুভিতে সে দৃশ্যপটটাই সুন্দর করে তুলে ধরা হয়েছিল। মুভিটা দেখে জানতে পেরেছিলাম টাইটানিক জাহাজ সম্পর্কে। সে তো গেল অনেক আগের কথা! এবার বর্তমানে আসি। সবচেয়ে বিলাসবহুল জাহাজ এখন সমুদ্রের তলদেশে পড়ে আছে। কিন্তু কিভাবে আছে, কেমন আছে সমুদ্রের তলদেশে? তা জানতে এখনও যেন মানুষের আগ্রহের শেষ নেই! আগ্রহ থাকাটাও স্বাভাবিক। এমন বিশাল একটি জাহাজ কেনইবা বড়ফখন্ডের সাথে ধাক্কা লেগে ডুবে গিয়েছিল! এখনও ইতিহাস খুজঁছে বিজ্ঞানীরা।

সেই টাইটানিক জাহাজের অবস্থান জানতে সাগরের তলদেশে পারি জমায় পাচঁজন আরোহী! জলযানটির নাম টাইটান। আপনারা নিশ্চয় ইউটিউব এ দেখেছেন। আমি ভেবেছিলাম হয়তো প্রান নিয়ে ফিরে আসতে পারবে। কিন্তু ফাইনালি জানতে পারলাম সেই জলযানটির ধ্বংসাবশেষের দেখা মিলেছে। পাচঁজন আরোহীও যে নিখোঁজ ।

আমি যেটা বলতে চাচ্ছি, সেটা হলো এমন মৃত্যু ঝুকিরমতো শখ যেন আল্লাহ তায়ালা কাউকে না দেয়! যেখানে জীবনের মূল্যটা বেশি। শখের বদৌলতে জীবন চলে যায় তাহলে এমন শখ না হওয়ায় ভালো। আপনি একটু গভীর চিন্তা করলেই বুঝতে পারবেন বিষয়টি। কতটা আগ্রহ নিয়ে টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়োছিল। কিন্তু আফসোসের বিষয় হলো টাইটান সাবমেরিন টি দিয়ে এমন পরীক্ষা চালাতে আগেই নিষেধ করেছিল টাইটান বানানোর প্রতিষ্ঠানটি।

টাইটানে ৯৬ ঘন্টার অক্সিজেন বরাদ্দ রাখা হয়েছিল। কিন্তু ঘন্টা শেষ হওয়ার আগেই শেষ। আপনি একবার চিন্তা করে দেখেন! ধরুন, আপনাকে সমুদ্রের সবচেয়ে তলদেশে নিয়ে যাওয়া হলো। যে মোমেন্টে জানতে পারছেন অক্সিজেন, বের হওয়ার রাস্তা নেই তাহলে কেমন অবস্থা হবে তখন! আমার ভাবতেই কেমন লাগছে! এমন ঘটনা থেকে আমার শিক্ষা নেয়ার আছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যেন কোনো শখই আমরা না করি।

প্রত্যেক মানুষের জীবনেই কোনো না কোনো শখ থাকেই। সেটা ছোটবেলা থেকেই। তবে আমাদের শখগুলো আমাদের লিমিটেশনের ভিতরেই হওয়াই ভালো। এক জীবনে শখ বা আগ্রহের কারণে যেন কারো জীবন চলে না যায়। যাক, আর বেশি কথা বাড়ালাম না। আপনাদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ 🦋🌼



10% beneficary for @shyfox ❤️

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNzq2MSXKSji21JRspt4nqpkXPR5ea7deLzvmJtuzVBwdLJUpBqtgAZ5gHtHPbayD2jR3CWqjkJ.png

ধন্যবাদ সবাইকে



WhatsApp Image 2021-12-23 at 19.46.54.jpeg


VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png

আমি কে?

IMG20210908180509.jpg

আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।

</di

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

image.png

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

আমি শুধু ভাবি যে এই লোকগুলোর কি পরিমান সাহস। এভাবে সমুদ্রের তলদেশে চলে যায়। তার ওপর শুনলাম যে এক একজনের যেতে অনেক পরিমাণে টাকা খরচ করতে হয়েছে। আমাকে ফ্রি নিলেও আমি যেতাম না। খবরটি কয়েকদিন ধরে দেখে আসলেই অনেক কষ্ট লাগছে। কি আনন্দ নিয়ে গিয়েছিল আর কি হয়ে গেল।

Posted using SteemPro Mobile

জি আপু! আমি তো ভেবেছিলাম হয়তো ফিরে আসবে কিন্তু তা আর হয়নি

আসলে বেড়াতে যেতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে।বিশেষ করে নদী নালা খাল বিল এমন জায়গায় হলে তো কথাই নেই। আপনি তো দেখছি সমুদ্রের বেড়াতে গিয়েছেন এমন জায়গা হলে তো কোন কথাই নেই।ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি জায়গায় অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন।

ভাই, সুন্দর মুহূর্ত কাটানোর কথা কখন বললাম 🙂

টাইটানিক মুভি দেখেছি এবং সেখানে সবকিছু সাজানো থাকা সত্বেও আমার কাছে খুব খারাপ লেগেছে। কিন্তু বাস্তবে যখণ কিছু মানুষ সমুদ্রের তলদেশে গিয়ে অক্সিজেনের অভাবে মারা যায় সেটা শুনে খুব খারাপ লেগেছে। সাহসী হওয়া ভালো তবে দুঃসাহস দেখানো ভালো না কারণ পরিণাম খারাপই হয়।

জি ভাইয়া। সাহসী হলেও এতো দুঃসাহস দেখাও ঠিক নয়। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া