অযুহাত

in hive-129948 •  last year 

28-09-2023

১৩ আশ্বিন , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ


আসসালামুআলাইকুম সবাইকে


result-3236280_1280.webp

From pixabay

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তবে দুদিন ধরেই বেশ গরম অনুভূত হচ্ছে। এমন রোদে বাহিরে যাওয়াও কঠিন। অনেকেই অসুস্থ হয়ে পরেছে। এমন তাপমাত্রা আরও কয়েকদিন থাকতে পারে হয়তো। রোদ দেখে মনে হচ্ছে এখন গ্রীষ্মকাল! অথচ আর এক মাস পরেই শীতকাল পরবে। কিন্তু শীতকাল শুরু হওয়ার পূর্ব মুহূর্তটা এখনও বুঝা যাচ্ছে না। ছোট বেলায় দেখতাম শীতে এক বা দুই মাস আগেই সকাল সকাল ধানের জমিতে শিশির জমে থাকতে। এখন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবকিছুই পাল্টেছে। শীত আসলেও যেন বুঝা যায় না।

আচ্ছা আমি যদি আপনাকে বলি, মানুষের হাত কয়টা? আপনি নিশ্চয় বলবেন দুইটা। এক ডানহাত দুই বামহাত! কিন্তু আমি বলবো মানুষের হাত তিনটি। ডানহাত, বামহাত ও অযুহাত! ধরুন, আমি আপনাকে বললাম, রেগুলার মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করার জন্য। আপনি যদি ভালো রেজাল্ট করেন আপনাকে পুরষ্কার স্বরূপ একটা আইফোন দেয়া হবে। সময় মাত্র দু মাস। দু মাসের মধ্যে ভালো পড়াশোনা করে ভালো রেজাল্ট করতে হবে। আপনি কি করবেন? আপনি রেগুলারই মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করবেন। একদিন পড়াশোনা মিস দিলেই আর আইফোন পাবেন না। আপনার যত সমস্যাই হোক, আপনি চাইবেন দুইটা মাসই মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করার। আপনার টার্গেট কিন্তু আইফোন সেই সাথে ভালো রেজাল্ট।

আপনি কাজটি গুরুত্ব দিয়ে করেছেন। তার মানে সেখানে কোনো অযুহাত ছিল না। আমরা কখন অযুহাত দেয় সেটা নিশ্চয় এতোক্ষণ এ বুঝে গেছেন। আসলে অযুহাত ব্যাপারটা নির্ভর করে আপনার প্রায়োরিটি লেভেলের উপর। কাজটি কতটা প্রায়োরিটি দিয়ে করেছেন সেটার উপর। আমরা স্বভাবতই অযুহাত দিয়ে ফেলি যেকোন কাজে। অযুহাত কিন্তু এক প্রকার মিথ্যা বলা যায়। মিথ্যাটাকে ডাকা হয় অযুহাতের মাধ্যমে। তো যখন মিথ্যাটা চলে আসে আপনার মাঝে সেটার ভবিষ্যৎ কিন্তু ভালো হয় না।

board-3240465_1280.jpg

From pixabay

অযুহাতের ফলে আমাদের মাঝে মিথ্যা বলার মতো একটা অভ্যাস তৈরি হয়ে যায়। ইনিয়ে বিনিয়ে বলতে শিখে যায়। বিশেষ করে প্রাইভেটে বা স্কুলে স্যার বা ম্যামরা যখন বাড়ির কাজ দেয় তখন অনেকেই করে নিয়ে আসে আবার অনেকেই করে নিয়ে আসে না। তারা স্যার বা ম্যামকে মিথ্যা বলার মাধ্যমে কনভেন্স করার চেষ্টা করে। আবার সবাই যে মিথ্যা বলে এমনটাও নয়। অনেকের সমস্যাও থাকতে পারে। তবে যারা এ কাজটি করে তারা কিন্তু পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে পারে না। স্যার বা ম্যামদের বাড়ির কাজ না করার কারণে একটা অভাব তৈরি হয়ে যায় পড়াশোনার মাঝে। তাই অযুহাত বা মিথ্যে কথা না বলাটাই ভালো।

যেকোনো কাজে আমাদের উচিত গুরুত্ব সহাকারে। হোক সেটা ছোট অথবা বড় কোনো কাজ। অনেকেই কোনো কাজকে ছোট মনে করে ফেলে রেখে দেয়। কিন্তু একটা সময় সেই ছোট কাজটিই অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাড়াঁয়। কাজে কোনো অযুহাত দেয়া মানে নিজের সাথেই অযুহাত দেয়া। আমি এডমিশনে এসে ব্যাপারটা ভালোভাবে উপলব্ধি করেছিলাম। একটা মিনিট সময় ব্যয় করা মানে নিজের ক্ষতি নিজেই করা। কেন হলো না এমন অযুহাত যেন না দিতে হয়। সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করলে ভালো ফিডব্যাক আসবেই।

যাক, আর বেশি কথা বাড়ালাম না। আপনাদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ 🦋☘️



10% beneficary for @shyfox ❤️

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNzq2MSXKSji21JRspt4nqpkXPR5ea7deLzvmJtuzVBwdLJUpBqtgAZ5gHtHPbayD2jR3CWqjkJ.png

ধন্যবাদ সবাইকে



WhatsApp Image 2021-12-23 at 19.46.54.jpeg

আমি কে?

IMG-20211205-WA0092.jpg

আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

আসলে আমরা কাজটাকে গুরুত্ব না দিয়ে অজুহাত দিয়ে থাকি। আবার যে কাজটা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকি সেটা ঠিকই ভালোভাবে করে ফেলি। আর অজুহাত দেয়ার ফলে বিভিন্নভাবে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে থাকি। আমাদের অজুহাত বাদ দিয়ে সঠিকভাবে কাজ করা উচিত।

Posted using SteemPro Mobile

জি ভাইয়া আপনি ঠিক বলেছেন। অযুহাত না দিয়ে বরং কাজটাকে গুরুত্ব দিলেই ভালো ☘️

আসলে অযুহাত মিথ্যার সামিল। আমরা যখন কোনো কাজকে ভালোবাসি না এবং গুরুত্ব দেই না,তখন সেই কাজটা করা হয় না। তারপর আমরা বিভিন্ন ধরনের অযুহাত দিতে থাকি। কিন্তু অযুহাত দিয়ে তো কোনো লাভ হয় না। কারণ যে কাজের জন্য অযুহাত দেই আমরা, সেই কাজটি কিন্তু পেন্ডিং অবস্থায় রয়ে যায়। সুতরাং অযুহাত দিয়ে নিজের ক্ষতি না করে, সময়মতো কাজ করে নেওয়া উত্তম। এতে করে নিজেরই লাভ। যাইহোক এতো গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।