শীতের সকালের প্রথম অনুভূতি!

in hive-129948 •  last year 

12-11-2023

২৮ কার্তিক , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ


আসসালামুআলাইকুম সবাইকে


কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য থাকার চেষ্টা করছেন। আসলে এ সময়টাতে ভালো থাকাটা একটু কঠিন। কারণ গরমের পরে হঠাৎ করে যখন আরেকটা ঋতুর আগমন ঘটে তখন সে ঋতুর সাথে মানিয়ে নিতে একটু কষ্ট হয় শুরুর দিকে। তবে আমাদের বাংলাদেশে, আমরা সবাই সব ওয়েদারেই মানিয়ে নিতে শিখে গেছি বলতে গেলে। আসলে শীতকালের অনুভূতিটা অনেক আগেই টের পেলাম। গ্রামে সবার আগে শীতের দেখা পাওয়া যায়। শীত আসলেও গ্রামের চিত্রটা পুরোপুরি পরিবর্তন হয়ে যায়। তো এ সময়ে ঠান্ডাজনিত সমস্যাটা সবারই লেগে থাকে। এজন্য একটগ সাবধানে থাকাই ভালো হবে।

IMG20231111065815.jpg

IMG20231111065824.jpg

আসলে আমার অভ্যাস হলো সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পড়ি। ঘুম থেকে উঠে পড়াশোনা করি কিছুটা সময়। কিন্তু বাহিরে হাটাঁ হয় না। এজন্য আমার মায়েরও বাণী অনেক শুনতে হয়। সারাদিন বসে থাকলে এসব বলবেই। আসলে ভারী কাজ করাও নিষেধ দিয়েছে ডাক্তার! এজন্য বাড়িতে কোনো কাজও করতে পারি না। আমার আবার বসে থাকতে একটুও ভালো লাগে না। নিজেকে যতটা সম্ভব চেষ্টা করি ব্যস্ত রাখার জন্য। কারণ অলস মস্তিষ্ক কিন্তু শয়তানের কারখানা! একবার ভর করলে খুব সহজে ছাড়ে না।

গতকাল ডাক্তার দেখালাম আপনারা সবাই জানেন। গত পোস্টে সে বিষয়ে লিখেছিলাম। ডাক্তার বলেছিল প্রতিদিন এক ঘন্টা হাটাঁর জন্য। হাটঁলে নাকি ভালো হবে ব্যথাটা। তো আজ সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে গেলাম। যদিও সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পরাটা আমার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তবে গ্রামে যেহেতু ঠান্ডাটা বেশি এজন্য ঘুম ভাঙলেও বিছানা থেকে উঠতে মন চাই না। রাতে প্লেন করেই শুইছিলাম যে সকালে হাটঁতে বের হবো।

সকাল সকাল ফোন হাতে নিয়েই বের হয়ে গেলাম। আমাদের বাড়ির সামনেই রাস্তা। গ্রামের মানুষ খালেক নওয়াজ খান সড়ক দিয়েই যাতায়াত করে। এখন যেহেতু শীতকাল এজন্য সকাল সকাল মানুষজনকে তেমন দেখা যায় না। আমি যখন হাটঁতে বের হলাম তখন মোটামুটি ভালোই কুয়াশা ছিল আশেপাশে। বেশিদূরের ধানের জমিগুলো দেখা যাচ্ছিল। কুয়াশায় ঢেকে গিয়েছিল ধানের জমিগুলো। ধানের জমির রঙগুলোও সোনালী বর্ণ ধারণ করেছে। আসলে এ বছর বন্যা হওয়াতে ধানের জমির অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বলতে গেলে সারাদেশেই এমন হয়েছে অবস্থা আসলে। এ বছর চালের দামটাও পারতে পারে এমনই আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

IMG20231111065837.jpg

IMG20231111065829.jpg

আমাদের এখানে শিবলী একটা নার্সারী আছে, হাটঁতে হাটঁতে সে পর্যন্ত চলে গেলাম। শিবলী নার্সারি নিয়ে অন্যকোনো পোস্টে লিখবো আপনাদের সাথে। তো একদিনেই তো আর বেশিদূর পর্যন্ত হাটাঁ যাবে না। প্রতিদিন হাটঁতে পারলে শরীরের জন্যও ভালো হবে। আসার সময় অবশ্যই সূয্যিমামার দেখা পেয়ে গেলাম। কুয়াশা ভেদ করে আমার পর্যন্ত আলো তখনও আসেনি। শীতের এই সময়ে এই দৃশ্যগুলো দেখতেও ভালো লাগে। আর কিছুদিন পর হয়তো কয়েকদিনের জন্যও সূয্যিমামার দেখা পাওয়া যাবে না।

IMG20231111065858.jpg

সূর্যের আলোর তীব্রতা যখন রাস্তা পর্যন্ত আসতে থাকে তখন মানুষজনদের আনাগোনাও বাড়তে থাকে। সকাল সকাল ব্যাগ কাধেঁ নিয়ে বেরিয়ে পরেছে কয়েকজন প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্য। শীতের সব বাধা উপেক্ষা করে যেতে হচ্ছে। আসলে আমরাও একটা সময় ঠিক শীতের সময় এভাবেই ব্যাগ কাধেঁ করে প্রাইভেটে চলে যেতাম। একটু দেরি করে প্রাইভেটে গেলে খেতে হতো স্যারের হাতের মার! শীতের সময় এই মারের ভয়ে অনেকে আগেই প্রাইভেটে চলে আসতো। আসলে সময়গুলো খুব তারাতাড়িই চলে গেল! দিনগুলো এখন বড্ড মিস করি! কতদিন হয়ে গেল ব্যাগ কাধেঁ করে প্রাইভেটে যাওয়া হয়না, স্যারের হাতে মাইর খাওয়া হয়না!

DeviceOppo A12
Photogrpher@haideremtiaz
Locationw3w

যাক, আজ এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে শীতের অনুভূতি কেমন লাগছে জানাবেন আশা করছি। সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লা
হাফেজ 🦋🍀



10% beneficary for @shyfox ❤️

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNzq2MSXKSji21JRspt4nqpkXPR5ea7deLzvmJtuzVBwdLJUpBqtgAZ5gHtHPbayD2jR3CWqjkJ.png

ধন্যবাদ সবাইকে



WhatsApp Image 2021-12-23 at 19.46.54.jpeg

আমি কে?

IMG20210908180509.jpg

আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

জি ভাইয়া গ্রামে সবার আগে শীতের দেখা পাওয়া যায়। শীত আসলে মনের ভিতরে একটা আনন্দ কাজ করে। গ্রামের চিত্রটাও পুরোপুরি পরিবর্তন হয়ে যায়। সকালে কুয়াশাচ্ছন্ন প্রথম ফটোগ্রাফিটা আমার ভীষণ ভালো লাগলো ভাইয়া। এই ফটোগ্রাফিটার জন্য আপনি প্রশংসার দাবিদার। অনেক ভালো ছিল অনেক সুন্দর লাগতেছে। খুবই ভালো কাজ করেন ভাইয়া। সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা। আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকার এবং পড়াশোনা করেন হাটাহাটি করেন এগুলো খুবই ভালো। আপনি সকাল সকাল ফোন হাতে নিয়ে বের হলেন এবং গ্রামের প্রকৃতির সৌন্দর্য তুলে ধরেছেন এবং ডাক্তার আপনাকে হাঁটতে বলেছেন আপনি নিয়ম করে হাঁটবেন। যতই কষ্ট হোক সকালে উঠবেন। আমিও ভাই শীতের সকালে অনেক ভোরে প্রাইভেটে যেতাম দেরি হলে মার খেতাম। কি সুন্দর ছিল শৈশবের মুহূর্তটি। আপনি দারুন মুহুর্তে শেয়ার করেছেন ভাইয়া

আসলেই ভাই শীত আসলে গ্রামের চিত্রটা পুরোপুরি পরিবর্তন হয়ে যায়। সকাল সকাল হাটাঁর অভ্যাসটাও চেষ্টা করছি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে 🍀

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

শীতের সকালের অনুভূতির গল্প পড়ে খুবই ভালো লাগলো। সত্যিই বাসায় বসে থাকতে খুব একটা বেশি ভালো লাগে না আর যেহেতু আপনি অসুস্থ তাই কোন কাজও করতে পারছেন না। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে একটু হাটাহাটি করলে নিজের কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে এবং আপনার ব্যথাটাও সেরে যাবে বলে মনে হয় যেহেতু ডাক্তার বলে দিয়েছে। এখন প্রায় শীত চলে এসেছে আর এই শীতের সময় সকালবেলা কুয়াশার মধ্য দিয়ে হাঁটাহাঁটি করতে বেশ ভালই লাগে। শীতের সকালে সুন্দর এই মুহূর্তটা আমাদের সকলের মাঝে চমৎকার ভাবে তুলে ধরার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

Posted using SteemPro Mobile

আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাই শীতের সকালে একটু হাঁটাহাঁটি করতে পারলে অনেক ভালো লাগে। অসুস্থতার কারণে হাটা হয়নি কিন্তু ডাক্তার বলেছে হাঁটতে হবে এখন থেকে রেগুলার

শীতের সকালে কুয়াশা মাখার দৃশ্য আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাধ্যমে প্রকাশ করলেন। আসলে এই কুয়াশা মাখার দৃশ্য গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো, ফটোগ্রাফি ও বর্ণনা অসাধারণ ছিল।

Posted using SteemPro Mobile

আপনাকে ধন্যবাদ ভাই চমৎকার মন্তব্য করার জন্য 🦋

আপনার সকালে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস হয়ে গেছে যেন ভালো লাগলো। আর হ্যাঁ একটু হাঁটাহাঁটি করা ভালো কারণ একেবারেই যদি বসে থাকা যায় তাহলেও শরীর অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে শীতের সকালে ঘোরাঘুরি করার অনুভূতিটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

একদম ঠিক বলেছেন ভাই, বসে থাকলেই সমস্যা! এজন্য হাটাঁহাটিঁর অভ্যাসটা শুরু করেছি

সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে একটু হাঁটাচলা করা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। শীতের সকালে যদিও এভাবে বাইরে হাটাটা একটু কষ্টের তারপরও শরীরের কথা চিন্তা করে হাটা প্রয়োজন। আসলে এবার বন্যার কারণে ফসলের অনেক ক্ষতি হয়ে গিয়েছে।

আসলেই ভাই এবার বন্যার কারণে অনেক ক্ষতি হয়েছে সব জায়গায়। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে 🍀

আপনার গত পোস্ট টা পড়া হয়নি সেজন্য আপনার অসুস্থতা সম্পর্কে সেরকম কিছু জানি না। যাইহোক আশাকরি আপনি দ্রুতই সুস্থ‍্য হয়ে যাবেন। আপনার বসে থাকতে ভালো লাগে না। এবং আমার এমন অবস্থা যে আমার হাঁটতেই ইচ্ছা করে না। শীতের সকালের এইরকম সৌন্দর্য এইরকম প্রকৃতি ধানক্ষেত বেশ অনেক মিস করছি ভাই।

Posted using SteemPro Mobile

আসলেই ভাই বসে থাকলে বেশিক্ষণ কেমন লাগে! ডাক্তার বললো রেগুলার হাটাঁর জন্য

সকালে ঘুম থেকে উঠে হাঁটাহাঁটি করলে মনটা যেমন ভালো হয়ে যায় তার পাশাপাশি শারীরিক দিক দিয়ে যে সমস্যাটা থাকে সেটাও ভালো হতে থাকে। সেজন্য সকালের এই সুন্দর ফ্রেশ মুহূর্তটা উপভোগ করা সবারই উচিত । শীতকালীন সময়ে কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশটা অনেকবার উপভোগ করেছি। শীতের শুরুতে দারুন কিছু মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করেছেন ভালো লাগলো।

Posted using SteemPro Mobile

জি ভাই, শীতের সকালের মুহূর্তটা উপভোগ করার মতো। সকাল সকাল হাটঁলেও রিফ্রেশমেন্ট কাজ করে।

গ্রামে শীতের আমেজ কিছুটা হলেও পাওয়া যাচ্ছে।আপনি সকালে উঠে হাঁটাহাঁটি করলেন।আসলে এতে খুব ভালো ও লাগে।আপনি চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি ও শেয়ার করেছেন। আপনার অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।