২য় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ || অস্ট্রেলিয়া বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ

---

🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো ভালো থাকতে পারাটাই হলো বড় বিষয়। আপনারা জানেন যে আমি মাঝে মাঝে খেলা দেখে থাকি। তবে ইদানিং সময় সুযোগ কম হচ্ছে বলতে গেলে। তারপরেও চেষ্টা করি খেলার সাথে সম্পৃক্ত থাকার। খেলা দেখলে আলাদা একটা ভালো লাগাই কাজ করে। কিছুদিন আগে আপনাদের সাথে অস্ট্রেলিয়া বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের ১ম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ শেয়ার করেছিলাম। তো আজকে ২য় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ শেয়ার করতে চলে এলাম। ১ম ম্যাচে অবশ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ হেরেছিল। তবে যথেষ্ট চেষ্টা করেছিল খেলাটাকে শেষ অবধি নিয়ে যাওয়ার জন্য। তো গত ১১ই ফেব্রুয়ারী এডিলেডে ২য় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আমার মনে হয় এটা তাদের জন্য ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। কারণ ১ম ম্যাচে পরে ব্যাটিং করেও জিততে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

_{^{screenshot from Fox Sports}}

তো শুরুতেই ব্যাটিং করতে নামে জস ইংলিশ ও ডেভিড ওয়ার্নার। আগের ম্যাচেও জশ ইংলিশ তেমন ভাবে দাঁড়াতে পারেনি । তবে ২য় ম্যাচে দেখার বিষয় ছিল দাঁড়াতে পারে কি না। ডেভিড ওয়ার্নারের ব্যাটিং আমার কাছে ভালোই লাগে। পাওয়ার প্লের শুরুতেই অস্ট্রেলিয়া উইকেট হারিয়ে বসে। জশ ইংলিশ ৪রান করেই আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। তারপর মাঠে আসে ক্যাপ্টেন মিচেল মার্শ! টি-টোয়েন্টিতে আগে অস্ট্রেলিয়ার ক্যাপ্টেন ছিল পেট কামিন্স। এখন মিশেল মার্শকে ক্যাপ্টেন দেয়া হয়েছে। মিচেল মার্শ নেমে মারমুখী ভঙ্গিতে ব্যাটিং করতে থাকে। মাত্র ১২ বলেই ২৯ রানের এক চমৎকার ইনিংস খেলে আউট হয়ে যায়। মাঠে তখনও ডেভিড ওয়ার্নার রয়েছে। তারপর মাঠে আসে পাওয়ার হিটার ম্যাক্সওয়েল। ম্যাক্সওয়েল যদি একবার দাঁড়াতে পারে মাঠে তাহলে বোলারদের রক্ষা নেই। কিন্তু ম্যাক্সওয়েল কে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেনি ডেভিড ওয়ার্নার। দলীয় সংগ্রহ যখন ৬৪ রান তখন ওয়ার্নার আউট হয়ে যায়। সেফার্ডের স্লোয়ার ডেলিভারিতে ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হয় ওয়ার্নার। তারপরে মাঠে আসে স্টইনিস!

_{^{screenshot from Fox Sports}}

স্টইনিস চেষ্টা করেছিল ম্যাক্সওয়েল এর সাথে একটা পার্টনারশিপ বিল্ড আপ করার। ম্যাক্সওয়েলের ব্যাটিং তান্ডব যখন শুরু তখন স্টইনিসও মারতে গিয়ে আউট হয়ে যায়। তারপর মাঠে আসে টিম ডেভিড। টিম ডেভিড বিপিএল ও খেলেছিল আগেরবার। আর আই পি এল খেলারও অভিজ্ঞতা রয়েছে। সে হিসেবে টিম ডেভিড অভিজ্ঞ একজন ব্যাটার। টিম ডেভিডকে সাথে নিয়েই ম্যাক্সওয়েল ব্যাটিং তান্ডব চালাতে থাকে। এদিকে টিম ডেভিডও শুরু করে তান্ডব। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের নাস্তানাবুদ করে ছাড়ে! ম্যাক্সওয়েল নিজের ব্যক্তিগত সেঞ্চুরি তুলে নেয়। এদিকে টিম ডেভিডও নিজর ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়। দুজনের রানের সুবাধেই অস্ট্রেলিয়া বড় একটা টোটাল রান সংগ্রহ করতে পারে। ২০ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ দাড়াঁয় ২৪১ রানের।

_{^{screenshot from Fox Sports}}

টি-টোয়েন্টিতে ২৪১ রান চেইস করা টাফ। রান রেইট সবসময় ১১ করে নিতে হবে। যেটা সম্ভব ছিল না। বলতে গেলে এতো রান চেইস করতে গিয়ে ব্যাটাররাই চাপের মুখে পরে যায়। শুরুর দিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটাররা চেষ্টা করেছিল স্ট্রাইক রোটেইট করে খেলে খেলাটাকে চালিয়ে যাওয়ার। কিন্তু উইকেট পরে যাওয়াতে সেটাও পারেনি। আন্দ্রে রাসেল ও রাভমান পাওয়েল ছাড়া কেউ ভালো খেলতে পারেনি। রাভমান পাওয়াল অবশ্য জয়ের আশা বাঁচিয়ে রেখেছিল। কিন্তু শেষ অবধি সেও ব্যর্থ হয়। শেষ অবধি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৯ উইকেট হারিয়ে ২০৭ রান সংগ্রহ করতে পারে। উইকেট না পরলে খেলার ফলাফলটা অন্যরকম হতে পারতো। তবে টি-টোয়েন্টিতে এমন খেলাই তো চাই দর্শক। ম্যান অফ দা ম্যাচ নির্বাচিত হয় ম্যাক্সওয়েল।

---

---

10% beneficary for @shyfox ❤️

ধন্যবাদ সবাইকে

---

---

আমি কে?

^{আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।}