গ্রামীণ জীবন (পর্ব -৬) || আমার বাংলা ব্লগ।

হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার পোস্ট শুরু করছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব গ্রামের কিছু প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং মানুষের জীবনযাত্রা সম্পর্কে। আশা করি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।

গ্রাম বাংলার আমার স্মৃতিতে গ্রাম একটা জীবন্ত সকাল। প্রতিদিনের ভোরের আলোর মত, নতুন দৃপ্তি দেয় সবসময় গ্রামের দিনগুলো। প্রতিদিনের দক্ষিণা বাতাস যেমন শরীরে সতেজতা নিয়ে আসে, তেমনি গ্রামীন জীবনেরর, আবেক আমার মনের কোনায় একটা সুনিবিড় আবহ তৈরি করে। গ্রামের মেঠ পথ, সুশীতল গাছের সারি, আঁকাবাঁকা পথঘাট, সবুজ প্রন্তর, নদীর শান্ত ধারা, সহজ সরল, লোক-লোকালয়ের প্রান্তর ঘেষে বাঁশঝাড় , দৈনন্দিন কৃষকের ব্যস্ততা, হাটবাজার , মেলা সবই যেন এক আনন্দময়।গ্রামের সেই ঐতিহ্যবাহী স্মৃতি গুলো কখনো ভুলার মত নয়।গ্রামের সেই কর্মজীবী মানুষগুলো সব সময় তাদের কর্মের সাথে সারাদিন ব্যস্ত থাকে।উপরে দুটি ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, প্রতিটি মানুষ তাদের কর্ম এবং পেশার সাথে সময় তারা নিয়োজিত থাকে।কিছু মানুষ এখানে পুকুরের মধ্যে জাল দিয়ে মাছ ধরতেছিল এবং কিছু মানুষ তারা হেঁটে যাচ্ছিল জঙ্গলের ভিতর দিয়ে।

গ্রামের চারদিকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে আমি অত্যন্ত মনোমুগ্ধ হয়েছি।আমি যখন গ্রামের ভিতরে প্রবেশ করেছিলাম তখন আমি এই মুহূর্তে ছবিগুলো তুলেছিলাম। উপরে ছবিগুলোর দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, গ্রামের চারপাশে প্রকৃতির সৌন্দর্য।প্রথমে আমি কিছু ফসলে জমির ভিতরে প্রবেশ করেছিলাম। ফসলের জমির চারপাশে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের গাছপালা। গাছপালা প্রাকৃতিক সবুজ সমারো দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি।এখানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছ। বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র তৈরি করার গাছ এবং বিভিন্ন ধরনের লাড়কি তৈরি করার গাছ।উপরে দুটি ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় এ ধরনের প্রাকৃতির দৃশ্যগুলো। আমি যখন গাছপালাগুলোর ভিতরে প্রবেশ করেছিলাম। আমি লক্ষ্য করেছিলাম এখানে রয়েছে কাঁঠাল গাছ।আমি কিছু গাছপালা এবং কাঁঠাল গাছের ফটোগ্রাফি করেছিলাম।

আমি যখন গ্রামের ভিতরে মেঠো পথ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম। তখন আমি লক্ষ্য করেছিলাম। রাস্তার পাশে রয়েছে বিশাল ফসলের জমিনে এবং এক পাশে রয়েছে গাছপালা এবং ঘরবাড়ি। যদিও ফসলে জমিতে এখন কোন ফসল দেখা যাচ্ছে না। কারণ কিছু বর্ষার পানিতে এ ফসলের জমিগুলো পানির নিচে ছিল।কিছুদিন পরে এসব ফসল জমিগুলোতে কৃষকরা ফসল ফলানোর জন্য কাজ করে যাবে।আমি যখন ধীরে ধীরে আরও সামনের দিকে হেঁটে যাচ্ছিলাম। আমি লক্ষ্য করেছিলাম রাস্তার পাশে রয়েছে একটি কচুগাছের জমিন।আমি লক্ষ্য করেছিলাম এই জমিনের মধ্যে রয়েছে প্রচুর কচু গাছ।
এটি একপ্রকারের সবজি যা মানুষের অত্যন্ত জনপ্রিয় খাবার।

আমি ধীরে ধীরে গ্রাম বাংলার কিছু বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করেছিলাম। সেখানে আমার কিছু আত্মীয়র বাড়িও ছিল। আমি বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করার পর আমি লক্ষ্য করেছিলাম। মানুষেরা বিভিন্ন ধরনের খাবার রান্না করতে ছিল তখন বিকেলবেলা।একটি ছোট্ট রান্না ঘরের ভিতরে এ ধরনের কাজগুলো করা হচ্ছে। আমি প্রবেশ করেছিলাম আমার আত্মীয়ের বাসার ভিতর। সেখানে আমি লক্ষ্য করেছি আমার এক আত্মীয় সেখানে রান্না ঘরের ভিতর পিঠা তৈরি করতে ছিল। পিঠা গুলো তৈরি করতে ছিল তালের রস দিয়ে। অত্যন্ত সুস্বাদু পিঠা, আমিও খেয়েছিলাম।

এখানে উপরেরর ছবিগুলোর দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, গ্রাম বাংলার কর্মজীবী মানুষের অবস্থা।এসব খেটে খাওয়া মানুষগুলো প্রতিদিন তাদের পেশায় নিয়োজিত। উপরের দুটি ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, দুইজন মানুষ তার দুটি পেশায় নিয়োজিত।
তারা প্রতিদিনই পরিশ্রম করা যাচ্ছে উপার্জন করার জন্য।এটি হলো এসব কর্মজীবী মানুষদের জন্য জীবন যুদ্ধ। আজকের জন্য এখানে সমাপ্ত। পরবর্তী আবার গ্রামীণ জীবন নিয়ে হাজির হবো। ধন্যবাদ!

আমার ব্লগ পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

ফোনের বিবরণ!

ক্যামেরা	VIVO Y81i
ক্যমেরা মডেল	vivo 1812
ক্যাপচার	@hanif3206
অবস্থান	সদর উপজেলা,নোয়াখালী

Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন