এখন প্রশ্ন হচ্ছে কেন ওই লিস্টে কোনো লিফট ম্যান ছিলো না? কারণ হাসপাতালে নিতে আসা সমস্ত রোগী এবং তাদের স্বজন তাদের যে লিফট চালানোর ব্যাপারে দক্ষ থাকবে হবে এমন কোন আইন কোথাও নেই। হাসপাতালে সাধারণত মানুষ জরুরী সমস্যা নিয়েই আসে। সে ক্ষেত্রে প্রতিটা লিফটে অবশ্যই একজন লিফটম্যান থাকা প্রয়োজন। সেই সাথে দীর্ঘক্ষণ যোগাযোগের পরেও কেনো তাদেরকে হাসপাতাল কতৃপক্ষ উদ্ধারের ব্যবস্থা করতে পারলো না? কেনো তাদেরকে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তা নিয়ে সেখান থেকে বের হতে হোলো? হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সময়ের ব্যাপারটাও অস্বীকার করছে। তারা বলছে তাদের মাত্র ১০-১৫ মিনিট সময় লেগেছে উদ্ধার করতে। এখান থেকেও তাদের মিথ্যাচারটা পরিষ্কার বোঝা যায়।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
কারণ লিফটের ভেতরের লোকজন প্রথমে লিফটের ভেতরে থাকা জরুরি নাম্বারগুলোতে ফোন দিয়ে চেষ্টা করেছে। সেখান থেকে ব্যর্থ হয়ে তারপর তারা ফায়ার সার্ভিসে ফোন দিয়েছে। তাদের ফোনপেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সেখানে আসতেও বেশ খানিকটা সময় লেগেছে। যার ফলে এখান থেকেই পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে হাসপাতালে কর্তৃপক্ষ তাদের দায় এড়ানোর জন্য মিথ্যা কথা বলছে। এখন তারা নিজেদেরকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য ওই হাসপাতালের লোকজন দিয়েই একটা তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। রোগীর স্বজনদের দাবী হচ্ছে একটা নিরপেক্ষ সংস্থার মাধ্যমে এই ঘটনার তদন্ত করা হোক এবং দোষী ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ সাজার ব্যবস্থা করা হোক। এটা শুধু ওই পরিবারের দাবি নয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়া আরো অন্য অনেকেই এই দাবির সাথে সহমত প্রকাশ করেছে।
আমি আশা করি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে যেনো একটা তদন্ত কমিটি করে দেয়া হয় এবং যারা দোষী তাদেরকে যেন কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়। তাহলেই হয়তো এই ধরনের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গুলোর জ্ঞান ফিরবে। না হলে তাদের এইরকম দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ডের জন্য আরো বহু মানুষকে ভোগান্তির শিকার হতে হবে। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে সবসময় প্রয়োজনের তুলনায় কম কর্মচারী নিয়োগ দেয়। এটা অল্প খরচে বেশি মুনাফা করার কারণে এই ধরনের কর্মকাণ্ড করা হয়। তা ছাড়াও বেসরকারি হাসপাতালগুলো আরো নানারকম অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িত। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বেসরকারি হাসপাতাল গুলোর ব্যাপারে আরো কঠোর অবস্থান নেয়া উচিত।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।