দৈনন্দিন জীবনের ঘটনা। পর্ব: ১৫

লিংক


আসলে আমাদের জীবনে প্রতিদিন এমন কিছু ঘটনা ঘটে যায় যার জন্য আমরা কখনো প্রস্তুত থাকি না। আসলে এই জিনিসগুলো আমরা চাইলেও কখনো আমাদের জীবন থেকে ভুলতে পারি না। কেননা জিনিসগুলো আমাদের জীবনকে একটা শিক্ষা দিয়ে যায় এবং এর পরবর্তীতে আমরা সেই ভুলগুলো যেন জীবনে না করি সেজন্য সবসময় আমাদের সেই জিনিসগুলোর কথা মনে পড়ে। আসলে জীবনে কখনো কখনো যদি বাইরে ছোটখাটো কেউ অন্যায় করে তাহলে তার জন্য যে তাকে মারধর করতে হবে এমন কোন কথা নেই। আসলে এখন আমরা বাইরে যতই লোকেদের সাথে কথা বলি না কেন মনে হয় যেন তারা কিছুটা গুন্ডা প্রকৃতির। কেননা তারা কিন্তু কখনো সোজা কথা বোঝেনা এবং মানুষকে সবসময় ভয় দেখানোর চেষ্টা করে।


আসলে কিছুদিন আগে আমি একটু বাইরে গিয়েছিলাম। কোন একটা কাজের জন্য যেহেতু আমাকে বাইরে যেতে হচ্ছিল তাই সঙ্গে করে আমি আমার বাইকটি নিয়ে এলাম। যেহেতু অফিস ছুটির সময় রাস্তায় সব থেকে বেশি জ্যাম থাকে। আসলে এই জ্যামের কারণে আমাদের গন্তব্য স্থানে যেতে প্রায় দ্বিগুণ সময় লাগে। যাইহোক কোন কিছু না বুঝে উঠতে পেরে রাস্তায় জ্যামের ভিতরে বসে সময় গুনছিলাম। আর বাইরের পরিবেশটাও তখন অনেক বেশি গরম থাকার জন্য খুব একটা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। আসলে এই বেশি গরমের কারণে ডিহাইড্রেশন হচ্ছে এবং এর ফলে শরীর অনেক বেশি দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। যাইহোক রাস্তার দুই পাশে গাড়িগুলো সমানভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে দেখলাম যে আমার ডান দিকের গাড়িগুলো আগের দিকে উঠে যাচ্ছে কিন্তু বাঁদিকের গাড়িগুলো অর্থাৎ আমি দাঁড়িয়েই রয়েছি। কেননা সামনে গাড়িগুলো আর সামনের দিকে এগোচ্ছে না।


যাই হোক আমি তখন ডান দিকে চেপে গিয়ে ওই গাড়িগুলোর সাথে সাথে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চেষ্টা করলাম। কিন্তু সামনে গিয়ে দেখলাম যে এক জায়গায় কিছু লোক জড়ো করে আছে রাস্তা জাম করে। আসলে তখন আবার হঠাৎ করে জ্যাম পড়ে গেল এবং আমি সেই গ্যাঞ্জামের কাছেই দাঁড়িয়ে রইলাম। আসলে গ্যাঞ্জামটি হওয়ার প্রধান কারণ হলো একটি ছেলে যখন এক পাশ দিয়ে বাইক চালিয়ে যাচ্ছিল তখন বাইকের জায়গাটি বালির জন্য স্লিপ করে একটা গাড়ির উপরে পড়ে গেছে এবং গাড়িতে সামান্য একটু দাগ হয়ে গেছে। আর এজন্য সেই গাড়ির ড্রাইভারটি গাড়ি থেকে বের হয়ে এসে লোকটিকে মারধর করছিল। তখন আশেপাশের লোকজন এসে ছেলেটিকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে গিয়ে সে গাড়ির মালিকটির উপরে চড়াও হয়ে গেল। কেননা ছেলেটি তো ইচ্ছা করে পড়ে যায়নি এবং এর জন্য মারার কোন দরকার ছিল না।


এরপর দেখলাম যে পাশে থেকে কয়েকজন লোক তাদের রাগ আটকাতে না পেরে পুনরায় সেই গাড়ির ড্রাইভারকে মারতে শুরু করল। এর পরবর্তীতে জ্যাম ছেড়ে দেওয়াতে আমি পুনরের সামনের দিকে চলে এলাম। আসলে রাস্তার আশেপাশে যদি বালি রাখা হয় তাতে কিন্তু সব থেকে বিপদ হয়। আর এজন্য সরকারের কাছে আমার অনুরোধে রাস্তার আশেপাশে যদি কেউ বালি ইট রাখে তাহলে এর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। কেননা এই রাস্তার পাশে যদি বালি থাকে তাহলে সেখান দিয়ে কোন গাড়ি অথবা বাইক যাওয়ার সময় বাইকের চাকা স্লিপ করতে পারে এবং যেকোনো সময় বড় ধরনের একটা দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। আসলে এখন দেখি যে প্রায় কিছু কিছু অসাধু লোক রাস্তার আশেপাশে বালি রাখে এবং এর ফলে সেই রাস্তা দিয়ে যেতে অনেক বেশি সমস্যা হয়। এজন্য আমাদের সব সময় সতর্ক হয়ে রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে হবে।

আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।


আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।