আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আজকে হুট করেই কেনো যেনো মৃত্যুর কথা মাথায় চলে এসেছিলো। এটা এমন একটা ব্যাপার, যেটা যেকোনো সময় যে কোনো মানুষের মস্তিষ্কে চলে আসতে পারে এবং আমি মনে করি এই ব্যাপারটি অর্থাৎ জীবনের এই মূল ব্যাপারটি নিয়ে আমাদের প্রতিদিন একটু একটু হলেও চিন্তা করা প্রয়োজন। আসলে চিন্তা করা এই কারণেই প্রয়োজন যে, আমরা এই পৃথিবীতে যেহেতু সারা জীবন থাকবো না। তাই পরকালের জন্য আমাদের অবশ্যই কিছু ভালো কাজ করে যাওয়া উচিত এবং আমাদের যদি মৃত্যুর কথা স্মরণ না হয়। তাহলে কখনোই সেই ভালো কাজগুলো করতে পারবো না।
তাই আজকে ভাবছিলাম যে, আমাদের যখন শেষ যাত্রা হবে। অর্থাৎ আমরা যখন পরলোক গমন করবো। তখন আসলে আমাদের একমাত্র সাথী কি হবে? তখন আমার মনে হলো যে, নিজের ভালো কাজ ছাড়াও যেটা একমাত্র সাথী হবে। সেটা হলো মানুষের দোয়া। দোয়া শব্দটি খুব ছোট একটি শব্দ। কিন্তু এই দোয়ার পিছনে যে কতো বড় নেয়ামত, কতো বড় শক্তি লুকিয়ে আছে। এটা আমরা হয়তো অনেকেই টের পাইনা এবং টের পাইনা বলেই আমরা প্রতিনিয়ত অন্যদের সাথে খারাপ ব্যবহার এবং অন্যদের ক্ষতি করে যাই।
কিন্তু আমাদের যখন এই জীবন ত্যাগ করতে হবে। তখন কিন্তু আমাদের শুধুমাত্র কাজে লাগবে, এই যে আমাদের ভালো কাজের জন্য যারা আমাদের জন্য দোয়া করবে সেসব। কারণ দোয়া ব্যাপারটি একেবারে সরাসরি আল্লাহর কাছেই যায়। অর্থাৎ আমরা যদি কারো জন্য আমাদের মন থেকে সত্তিকারের দোয়া করি। তাহলে সেটা সৃষ্টিকর্তা কখনোই ফেলে দেন না। কারণ দোয়া হলো মানুষের ভালো চাওয়া আর মানুষের ভালো চাওয়া সৃষ্টিকর্তার অনেক বেশি পছন্দের। আর একটা মানুষ যখন অন্য মানুষের জন্য ভালো চায়। তখন অবশ্যই সেখানে ওই মানুষের ভালো কাজ থাকে। অর্থাৎ ওই মানুষ ভালো কাজ করেছে বলেই কিন্তু কিছু কিছু মানুষ তাদের জন্য মন প্রাণ ভরে দোয়া করে। তাই অন্তত আমার মনে হয় যে, শেষ যাত্রার সাথীর জন্য হলেও আমাদের জীবনে অল্প কিছু ভালো কাজ করা উচিত।