আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে বর্ষার দিনে গ্রাম বাংলা সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।
লিংক
আসলে বর্ষা কালটা বাঙালির একটা আবেগের কাল। কেননা এই বর্ষাকালে ঘরের জানালার পাশে বসে বাইরের দৃশ্যটা দেখতে আমাদের সবার খুব ভালো লাগে। এই বর্ষাকাল আসলে উপভোগ করতে হলে আমাদের সকলকে গ্রামবাংলায় চলে যেতে হবে। কেননা এই গ্রাম বাংলায় রয়েছে ছোট খাল এবং অনেক বড় বড় বিল। আসলে শহর অঞ্চলে বসে আমরা কিন্তু এই বর্ষা কালটাকে সম্পূর্ণ উপভোগ করতে পারি না। আমার মনে হয় যে যারা শহর অঞ্চলে বসবাস করে তারা ১০০ ভাগের ভিতরে প্রায় এক ভাগ বর্ষার আনন্দ উপভোগ করতে পারে। আর এই বর্ষার আনন্দ যদি পুরোপুরি উপভোগ করতে চান তাহলে একদম গ্রামবাংলায় চলে যেতে হবে। আসলে গ্রামবাংলায় বর্ষাকালে মাটির রাস্তায় হাঁটু সমান কাঁদা জমে। আর এই কাঁদার ভিতর দিয়ে খালি পায়ে হেঁটে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়।
কিন্তু শহর অঞ্চলে যতই বৃষ্টি হোক না কেন আমরা কিন্তু জুতো পায় দিয়ে পিচের রাস্তার উপর দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করি। আসলে বর্ষাকাল রাতে গ্রামবাংলায় একটু বেশি সমস্যা হয়। প্রত্যেকটা সমস্যার একটা সমাধান কিন্তু সব সময় থাকে। আসলে যে গ্রাম বাংলার পাশ দিয়ে ছোট খাল বয়ে যায় সেখানে আমরা ছোট বড় বিভিন্ন ধরনের নৌকা দেখতে পাই। আর এই বর্ষাকালে গ্রাম বাংলার মানুষের প্রধান যাতায়াতের মাধ্যম হল এই নৌকা। আপনি একটা জিনিস কখনো চোখ বুজে কল্পনা করে দেখেছেন যে এই বর্ষার সময়ে গ্রামের পাশ দিয়ে নৌকায় করে আপনি বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছেন। আসলে এই অনুভূতিটা যদি আমরা আমাদের অবচেতন মনে অনুভব করতে পারি তাহলে সত্যিই আমাদের খুব ভালো লাগে। কিন্তু মনের থেকে যখন বাস্তবে এই জিনিসটা আমাদের জীবনে পরিপূর্ণ করতে পারি তাহলে এর আনন্দ আমরা কারো সাথে শেয়ার করতে পারবো না।
আসলে বর্ষায় নদী, নালা, খাল, বিল সব ডুবে যায়। আর তখন গ্রাম বাংলার মানুষেরা এই ছোট ছোট নৌকায় করে বিভিন্ন ধরনের মাছ শিকার করতে চলে যায়। যেহেতু সকল মাছের পুকুর গুলো জলের নিচে ডুবে যায় তাই সেই পুকুরের মাছ আনন্দের সহিত চারিদিকে ঘুরে বেড়ায়। আর কিছু কিছু জেলে আছে যারা কিনা এই বর্ষাকালটাতে তাদের আয়ের প্রধান কাল হিসেবে ধরা হয়। কেননা তাদের সারা বছরটা অনেক কষ্টের ভিতর কাটালেও তারা কিন্তু বর্ষাকালটা অনেক আনন্দের সঙ্গে কাটানোর চেষ্টা করে। আসলে এমন গ্রাম-বাংলায় যদি আমরা বর্ষাকালে হারিয়ে যেতে পারি তাহলে সেখানেই কিন্তু আমাদের মনের পরিপূর্ণ শান্তি খুঁজে পাবো। এছাড়াও বর্ষার মাঝে আমরা গ্রামের সেই ছোট বাড়ির ছোট রান্না ঘরে বসে বিভিন্ন ধরনের পিঠা পায়েস তৈরি করে খাওয়ার অনুভূতিটাই আলাদা।
আর সবক্ষেত্রে কিন্তু বর্ষাকালটা গ্রামের জন্য শুভ নয়। কখনো কখনো অতিবৃষ্টির কারণে গ্রামের মানুষেরা অনেক বেশি সমস্যায় ভোগে। আসলে চারিদিক যখন জলে থৈ থৈ করে তখন কিন্তু গ্রাম বাংলার মানুষের কষ্টের কোন সীমা থাকে না। আসলে আপাতত দৃষ্টিতে আমাদের কাছে বর্ষাকালটা অনেক পছন্দের একটা কাল মনে হলেও গ্রাম বাংলার মানুষের কাছে এই বর্ষাকালটা তেমন একটা পছন্দের কাল নাও হতে পারে। আসলে এই কথাটা সত্যিই ঠিক যে বর্ষাকাল উপভোগ করতে হলে আমাদের গ্রাম অঞ্চলে যেতে হবে। কিন্তু মাঝে মাঝে গ্রাম বাংলার মানুষের কষ্টের কোনো সীমা থাকে না। কেননা শহর অঞ্চলের মানুষের মতো তাদের কোন ইট পাথরের বাড়ি থাকে না। এমন এমন বাড়ি রয়েছে যেখানে কিনা বর্ষাকালে বাড়ির চাল দিয়ে ফোঁটায় ফোঁটায় জল ঢোকে। তবুও গ্রাম বাংলা আমার কাছে সর্বশ্রেষ্ঠ মনে হয়।
আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
বর্ষাকালের সাথে প্রতিটি বাঙ্গালীর শৈশবকালের অসংখ্য সোনালী ইতিহাস জড়িত। আপনার লেখায় নিজেকে স্মৃতিবিজড়িত শৈশবকালে হারিয়ে ফেলেছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit