সম্পর্কের ভিত্তি

আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।

আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

আজকে আমি এমন একটি ব্যাপার নিয়ে লেখালেখি করতে এসেছি। যে ব্যাপারটি হয়তো অনেকের কাছেই ক্লিয়ার থাকেনা কিংবা অনেকের কাছেই একটু কনফিউজড মনে হয়। তাই ভাবলাম যে, সেই ব্যাপারটি নিয়ে একটু কথা বলা যাক। আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সম্পর্কে জড়িয়ে পরি।আমি এখানে শুধুমাত্র একজন ছেলে, একজন মেয়ে। অর্থাৎ একজন নারী ও পুরুষের মধ্যকার সম্পর্কের কথা কিন্তু মোটেও বলছি না। আমি প্রতিটি সম্পর্কের কথা ই বলছি। এবং আমার কাছে যেটা মনে হয়। প্রতিটি সম্পর্কে একটি মূল ভিত্তি থাকতে হয় এবং ঐ ভিত্তিটা যদি শক্ত না হয়। তাহলে আসলে ওই সম্পর্কটা খুব একটা বেশি দিন টিকে থাকে না।

প্রতিটি ঘর যেমন একটি ভিত্তির উপর টিকে থাকে। অর্থাৎ আপনি যতো কিছু দিয়েই আপনার ঘরটি সাঁজিয়ে রাখুন কিংবা আপনার ঘরটি যেভাবেই তৈরি করেন না কেনো। যদি আপনার ঘরটির ভিত্তিটা মজবুত না হয়। তাহলে দেখবেন যে সামান্য একটা ঝড়েও আপনার বাড়িটি পরে দুমড়ে মুছড়ে নষ্ট হয়ে ভেঙে যাবে। ঠিক তেমনটাই সম্পর্ক ও। অর্থাৎ সম্পর্কের মূল ভিত্তি হলো বিশ্বাস। তাই আপনার বিশ্বাসের জায়গায় যদি আঘাত লাগে। কিংবা আপনার বিশ্বাসের জায়গাটি যদি নড়বড়ে হয়। তাহলে দেখবেন যে সামান্য একটু আঘাতেও কিংবা সামান্য একটি বিপদ কিংবা ভুল বুঝাবুঝিতেও আপনার সম্পর্কটি ধ্বংস হয়ে যাবে।

তাই কোনো সম্পর্কে আগাতে হলে কিংবা কোনো সম্পর্কের মধ্যে ঢুকতে গেলে। প্রথমেই সেখানে যাচাই করতে হবে যে বিশ্বাসটা ঠিকঠাক রয়েছে কিনা। অর্থাৎ আপনি যদি কোনো মানুষকে বিশ্বাস না করতে পারেন। তাহলে আমার মতে সেই মানুষটির সাথে আপনার সম্পর্কে জড়ানোর ও কোনো দরকার নেই। কারণ ওই সম্পর্কটা সত্যিই বেশিদিন চলবে না। আর যতোদিন চলবে, ততোদিন শুধুমাত্র দুজনের মধ্যে তিক্ততা বাড়তে থাকবে। তাছাড়া আর কিছুই হবে না। তাই কোনো সম্পর্কে নিজেদের ইনভলব করার আগে প্রথমেই ওই ভিত্তিটা মজবুত করুন। আগে নিজেকেই নিজে প্রশ্ন করুন যে, আপনি ওই মানুষটিকে বিশ্বাস করতে পারছেন কিনা। যদি নিজের কাছে নিজে প্রশ্ন করে উত্তরটি - হ্যাঁ পান। তবেই সেই সম্পর্কে নিজেকে জড়ান, তাছাড়া কিন্তু নয়।