আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আপনারা হয়তো টাইটেলটি দেখে কিছুটা অবাক হবেন। কারণ টিউশনি করে আর যাই হোক ১৫ টি ফ্ল্যাট কিনা কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। কারণ আমাদের মতোন যারা স্টুডেন্ট রয়েছে। আমরা টিউশনি করি বা না করি। আমরা কিন্তু সকলেই জানি যে, টিউশনি অত্যন্ত কষ্টের এবং পরিশ্রমের একটি কাজ এবং এটা যতোটা সময় ব্যয় করে করা হয়, ততোটা পারিশ্রমিক আসলে আমাদের সমাজ আমাদেরকে দিতে পারে না। হয়তো এটাকে একটা ট্যাবু বলা চলে। অর্থাৎ যারা পড়ায় ওদেরকে অনেকটা ছোট চোখে দেখা হয় বলে তাদেরকে যথেষ্ট পারিশ্রমিক দেওয়া হয় না। যাই হোক এসব আলাদা ব্যাপার।
কিন্তু এই যে টিউশনের টাকায় ১৫টি ফ্ল্যাট তাহলে কিভাবে হলো? তাই ভাবছেন, তাইতো? এটা আসলে একজন মন্ত্রীর বউ এর তথ্য ফাঁস হয়েছে। অর্থাৎ ব্যাংকে দেখানো হয়েছে যে, মন্ত্রীর ঐ বউ টিউশনি করে এবং ওই টিউশনি টাকা দিয়ে তিনি দেশে ১৫ টি ফ্ল্যাট এবং আমেরিকাতে তিনটি বাড়ি কিনেছেন। এই ব্যাপার গুলো ভাবলেই কতোটা হাস্যকর মনে হয়। তাই না? কারণ বাস্তবে সে একজন গৃহিণী এবং ব্যাংকের দেখানো হয়েছে তাকে একজন টিউশনি করানো মানুষ হিসেবে।আমরা আসলে ভাবতেই পারি না যে, আমাদের দেশের টাকা কতো ভাবে কতো রকম ভাবে পাচার হতে পারে।কারণ এই সব কিছুই আমাদের চোখের আড়ালেই হয় এবং এতো ধরনের অবৈধ কাজ সবকিছুই আমাদের অজানা ই থেকে যায়।
তাই এসব অজানা অসম্ভব ব্যাপারগুলো যখন আমাদের চোখের সামনে আসে। তখন আমরা সকলেই অবাক হয়ে যাই। অবাক না হওয়ার কোনো উপায় নেই। কারণ যে টিউশনের টাকা দিয়ে একটা মানুষের এক মাস চলতেই টানাটানি লেগে যায়। সেই টাকা দিয়ে কেউ এতোগুলো ফ্ল্যাট দেশে বিদেশে কিনতে পারবে এটা তো অসম্ভব ব্যাপার। এভাবে করেই প্রতিটি দেশের টাকা পাচার হয় অন্য দেশে এবং অবৈধভাবেই পাচার হয় আর আমরা সাধারণ মানুষেরা না খেয়ে মরি। তাই আমাদের উচিত ও সঠিক জবাব চাওয়া শিখতে হবে।
যে দেশে বৃষ্টির পানিতে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ হতে পারে,সে দেশের ঘিলু বিহীন একজন মন্ত্রীর স্ত্রী টিউশনির টাকায় ১৫ টি ফ্ল্যাট কিনবে এটা অসম্ভব কিছু নয়!!
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit