অবশেষে বৃষ্টির দেখা মিলল

লিংক


আসলে কিছুদিন যাবত আমরা গরমে এতটাই কষ্ট পাচ্ছি যে তা মুখের ভাষায় বলে প্রকাশ করতে পারবো না। আসলে এই গরমের মধ্যে সবাইকে অনেক বেশি কষ্ট করতে হচ্ছিল। কেননা বাইরের তাপমাত্রা এতটা বেশি ছিল যে সবাইকে এই বেশি তাপমাত্রার মধ্যে বাইরে কাজ করতে যেতে হচ্ছিল। যদিও অনেক মানুষ আছে এই গরমের মাঝে হিট স্ট্রোক করেছিল। আসলে হঠাৎ করে যখন আকাশে মেঘের দেখা মিললে তখন সবাই ভাবতে শুরু করল যে এই বুঝি বৃষ্টি এসে গেছে। কিন্তু কিছুদিন যাবত শুধুমাত্র মেঘ ভেসে বেড়াচ্ছিল আকাশ দিয়ে। বৃষ্টির কোন দেখা যাচ্ছিল না। যাইহোক হঠাৎ করে যখন মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হল তখন সবার মনে আনন্দের আর সীমা থাকলো না। অনেকে তো আবার বৃষ্টির মাঝে লাফালাফি করতে শুরু করে দিল।


আসলে একটানা প্রায় এক মাসের উপরে গরম থাকায় মানুষ একদম ক্লান্তি বোধ করছিল। কেননা এত দীর্ঘ সময় ধরে একদিকে যেমন প্রচন্ড গরম তেমনি অন্যদিকে চারিদিকে হাওয়ার পরিমান অনেকটা কম ছিল। আসলে মানুষ এই কটা দিন যে কি কষ্টে কাটিয়েছে তা একমাত্র যারা বাইরে কাজ করতে বেরিয়েছিল তারাই বলতে পারে। আসলে এই বৃষ্টির দিনে পরিবেশটা অনেকটা ঠান্ডা হয়ে যায়। যদিও প্রথম দিনের বৃষ্টিতে তেমন কিছু একটা আবহাওয়ার পরিবর্তন হয় না। অর্থাৎ অল্প যদি বৃষ্টি হয় তাহলে গরম কমার থেকে গরমের পরিমাণ আরো বেড়ে যায়। হঠাৎ যখন প্রথম অবস্থায় ঝিরঝির বৃষ্টি হচ্ছিল তখন মনে হচ্ছিল যে এই বৃষ্টি আর মনে হয় বেশিক্ষণ হবে না।

আসলে প্রথমে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হওয়াতে সবাই মনে মনে ভাবছিল যদি আরেকটু বেশি বৃষ্টি হতো তাহলে আবহাওয়াটা মনে হয় একটু ঠান্ডা হতো। যাইহোক সেই ধীরে ধীরে বৃষ্টি থামার কিছুক্ষণ পরে শুরু হলে মুষলধারে বৃষ্টি। আসলে প্রথম অবস্থাতে শুধু মাত্র বৃষ্টি হলেও চারিদিকে কোন হাওয়া ছিল না। এর কিছুক্ষণ পর যখন হওয়া শুরু হলো তখন শুরু হলো বৃষ্টির তাণ্ডব। অর্থাৎ বৃষ্টির সাথে সাথে জোরে হাওয়াতে ছোট ছোট দোকান গুলো একদম ভেঙে যেতে শুরু করল। যদিও বৃষ্টির আগের কোন প্রস্তুতি নেয়নি কেউ। অর্থাৎ হঠাৎ করে যে বৃষ্টি আসবে এজন্য সবাই তার দোকানের ছাউনি গুলো ঠিক করেনি। কিন্তু হঠাৎ করে বৃষ্টি আসাতে তো এইসব দোকানগুলোর পলিথিন যেন উড়ে যেতে শুরু করল।

আসলে একদিক থেকে বৃষ্টির ফলে যেমন সবার মাঝে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস চলে এসেছে তেমনি অন্য দিক থেকে চারিদিকের আবহাওয়াটার অনেকটা ঠান্ডা হয়েছে। এছাড়াও দেখতে পেলাম যে পরবর্তী কয়েক দিন একটানা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যাই হোক এই গরমের মাঝে মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন শ্রেণীর লোকেরা যে কতটা বেশি কষ্ট পেয়েছে একমাত্র তারাই বুঝতে পারবে। কারণ যারা ধনী শ্রেণীর লোক তারা তো সবসময় এসির ভিতরে থাকার অভ্যাস। তাইতো তারা গরম তেমন একটা অনুভব কখনো করতে পারিনি। যাইহোক এই প্রথম দিনের বৃষ্টিতে সবাই সাবধান হয়ে গেল যে পরবর্তী সময়ে আবার বৃষ্টি হবে এজন্য সবাই সবার পুরনো ছাউনি গুলো ঠিক করে নতুন ছাউনি বসাতে শুরু করে দিয়েছে। আসলে এখন পুনরায় সবার ক্লান্তি দূর হয়ে আবার নতুন কাজ করার উদ্যম ফিরে এসেছে।

আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।


আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।