হ্যালো বন্ধুরা!
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে আপনারা অনেক অনেক ভাল রয়েছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় বেশ ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি গাংনী বাজার থেকে চিকেন ফ্রাই খাওয়ার অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য, আশা করবো আমার এই সুন্দর পোস্ট আপনাদের ভালো লাগবে।
সন্ধ্যার পর বাজারে বসে গরম গরম চিকেন ফ্রাই সমুচা বার্গার ইত্যাদি খেতে বেশ ভালো লাগে। সারাদিনের বিভিন্ন ব্যস্ততা ও ক্লান্তি যেন কিছুটা দূর হয়ে ভালোলাগায় রূপ ধারণ করে বাজারের পরিবেশে একটু সময় কাটালে। আমি যখন মাঝেমধ্যে গাংনী শহরে, আমাদের বাসায় উপস্থিত হই। তখন অবশ্যই বাসা থেকে বের হয়ে বাজারের অবস্থান করি। গ্রামের বাড়িটাতে গেলে সেখান থেকে গাংনী শহর টা বেশ অনেকটা দূরে। সে মুহূর্তে গ্রামের বাজারটাতে একটু বসা সম্ভব হয়। তবে সব সময় সম্ভব হয় না। ঢাকা থেকে সরাসরি গাংনী শহরের বাসাতেই অবস্থান করি। এই জন্য গাংনী বাজারটাতে মাঝেমধ্যে সময় দিতে পারি। ভালো লাগে নিজের শহরের মাঠি ও মানুষগুলোকে দেখে। মাগরিবের পরে যেন গাংনী বড়বাজার মানুষে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। সেখানে প্রিয় খাবারগুলো সহ আরো অন্যান্য খাবারের ছোট ছোট দোকান প্রস্তুত হয়ে বেচাকেনার আয়োজন শুরু হয়ে যায়। ইদানিং দেখলাম গাংনীতে রাস্তা সংস্কারের বেশ কাজ চলছে। আমি যখন উপস্থিত হয়েছিলাম তখনও বেশ অনেক জায়গাতে কাজ চলছিল। তবু সে সময় রাস্তার পাশে দোকানগুলো যথেষ্ট ছিল।
গাংনী বাজারের বড় মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকান এমএন নেট ফাস্ট অতিক্রম করে ফুড প্লেস নামক সুন্দর একটা রেস্টুরেন্ট রয়েছে। সে রেস্টুরেন্টের মধ্যে যেমন এই সমস্ত খাবারগুলো পাওয়া যায়। তার পাশাপাশি তাদের নিজেদেরই রাস্তার পাশে রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থা রেখেছে। মানুষজন কিন্তু রাত্রে বেলায় রেস্টুরেন্টের মধ্যে খাওয়া-দাওয়া করার চাইতে বাইরের ফাঁকা পরিবেশে খাওয়া-দাওয়া করতে বেশি পছন্দ করে। যদিও রাস্তার ধুলাবালি ময়লা অনেক কিছু রয়েছে। তবুও সচেতন নাগরিকরাও বাইরের পরিবেশে বসে চা পান করা থেকে শুরু করে এটা সেটা খাওয়া ও আড্ডা দেওয়াটাকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। আমার কাছেও মোটামুটি ভালো লাগে নিজের শহরে এসে একটু যদি ঘুরাঘুরি করি কেনই বা চার দেওয়ালের মধ্যে বন্দী হব।
পাশাপাশি বেশ কয়েকটা রেস্টুরেন্ট রয়েছে। তারমধ্যে এটাকে আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছিল। এখানে চিকেন ফাইটা বেশ বেশি ভালো লাগে। তাই উপস্থিত হয়ে চিকেন ফ্রাই বার্গার ডিম সিদ্ধ ঝালমুড়ি ইত্যাদি দেখে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম চিকেন ফ্রাই খাওয়া যায়। চিকেন ফ্রাই গুলো বেশ অনেক সুন্দর ভাবে তৈরি করে থাকেন। প্রতি পিসের মূল্য ৭০ টাকা। মাঝেমধ্যে উপস্থিত বসে খেতেও যেমন ভালো লাগে আবার প্যাকেট করে নিয়ে এসে বাসাতে খেতেও ভালো লাগে। যাই হোক অর্ডার করে আমরা দুইজন গল্প ও আনন্দের সাথে চিকেন ফ্রাই খেয়েছিলাম। অনেক সুন্দর একটা মুহূর্ত ছিল তখন। সারাদিনের রোদ গরমের মুহূর্ত অতিক্রম করে হালকা শীতল বাতাস,শত শত মানুষের উপস্থিতি শহরে। সকল মানুষের ভিড়ে আমরাও যেন শহরের সুন্দর্য উপভোগ করছিলাম এবং ব্যস্ততম মুহূর্তের মাঝখানে আমরা হালকা ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। আর এভাবেই অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত উপভোগ করেছিলাম আমাদের গাংনী শহরে।
ফটোগ্রাফি | গাংনী শহর ও চিকেন ফ্রাই |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Huawei mobile |
আমার ঠিকানা | গাংনী-মেহেরপুর |
বর্তমান অবস্থান | ঢাকা সাভার |
ফটোগ্রাফার | @helal-uddin |
ধর্ম | ইসলাম |
দেশ | বাংলাদেশ |
পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি মোঃ হেলাল উদ্দিন। আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুরে। আমার বর্তমান ঠিকানা,ঢাকা সাভার বিশ-মাইল। আমি একজন বিবাহিত ব্যক্তি। কর্মজীবনে একজন বেসরকারি চাকরিজীবী।
আমার আজকের টাস্ক
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া তোমার সুন্দর এই অনুভূতি পড়ে। গাংনী শহরে চিকেন ফ্রাই খেতে আমি এখনো প্রাই যাওয়া আসা করি। অনেক অনেক ভালো লাগে চিকেন ফ্রাই খেতে। সুন্দর এই পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আজকে আপনি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে চিকেন ফ্রাই খাওয়ার অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন। আপনার এই দারুন অনুভূতিটা আমাকে মুগ্ধ করেছে। চিকেন ফ্রাই আমিও খুবই পছন্দ করে থাকি। মাঝেমধ্যে আপনার ভাইয়া এনে দেয় বামুন্দির বাজার থেকে। দারুন অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit