হ্যালো বন্ধুরা!
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে আপনারা অনেক অনেক ভাল রয়েছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় বেশ ভালো আছি। আজকে আপনাদের মাঝে গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক্স নিয়ে আলোচনা করব। আমার আলোচনার বিষয় থাকবে সম্পর্ক ও সুসম্পর্ক নিয়ে আমার মতামত। তাহলে চলুন এই বিষয় নিয়ে একটু আলোচনা করি।
সম্পর্ক শব্দটা অনেক ছোট। কিন্তু এই শব্দের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে আপন পরের ভেদাভেদ। এই সম্পর্ক শব্দের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে একে অন্যের কতটা আপন কতটা পর কতটা ঘনিষ্ঠ কতটা নিকটস্থ কতটা মনের গভীরতা। আমরা দুনিয়ার বুকে যারা জীবিত রয়েছি তারা আত্মীয়তার বন্ধন থেকে শুরু করে বিভিন্ন সম্পর্কে মানুষের সাথে জড়িত রয়েছে। জন্মসূত্রে আমরা নানা নানি দাদা-দাদির পক্ষ আত্মীয়-স্বজনের সাথে সম্পর্ক খুঁজে পাই। তবে সকল মানুষের সাথে সুসম্পর্ক থাকে না। সম্পর্ক এবং সুসম্পর্কের মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। জন্মগত সূত্রে আমরা সম্পর্ক পরিচয় অনেক খুঁজে পাই। কিন্তু বিপদের মুহূর্তের সেই সম্পর্ক কোন কাজে আসে না। বিপদের মুহূর্তের সুসম্পর্ক কাজে আসে এবং সুসম্পর্কের গভীরতা চিহ্নিত করা যায়।
আমাদের জীবনধারায় লক্ষ্য করে থাকি সম্পর্ক স্থাপন করা এবং জন্মসূত্রের সম্পর্কের জড়িত মানুষেরা কতটা আপন পরের পরিচয় দেয়। যখন ভালো থাকা যায়, তখন সুসম্পর্ক স্থাপন করতে আসে অনেক মানুষ। হতে পারে সে আত্মীয়তার বন্ধনে থাকা,আবার পাড়া-প্রতিবেশী, বন্ধু-বান্ধব থেকে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষেরা। আপনি যখন একটু ভালো অবস্থায় চলাচল করবেন তখন দেখবেন আপনার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করার জন্য কত মানুষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আবার আপনি যখন বিপদে থাকবেন দেখবেন আপনার নিকটস্থ সম্পর্ক আর সুসম্পর্ক বজায় রাখা মানুষগুলো পিছু টান দিয়ে দূরে সরে যাচ্ছে। আমরা যখন গ্রামে বসবাস করতাম। তখন লক্ষ্য করে দেখেছি কারণে-অকারণে ঝয় ঝগড়ায় লিপ্ত হতো আমাদের সাথে এমন কিছু পাড়া প্রতিবেশী মানুষ। যখন থেকে ঢাকা শহরে অবস্থান করছি। এখন দেখা যায় সেই সমস্ত মানুষেরা বিভিন্ন সুবিধা পাওয়ার জন্য আমাদের খোঁজ করতে থাকে। অনেক ফ্যামিলি থেকে যোগাযোগ নাই এডমিশন এর জন্য। হতে পারে সেটা ভার্সিটিতে পরীক্ষা দিতে। কখনো চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য। কখনো হসপিটালে যোগাযোগ নেওয়ার জন্য। অর্থাৎ আমারও খেয়াল করে থাকি যে নিকটস্থ মানুষেরা যদি শহরে থাকে তাহলে বিপদে সে সমস্ত মানুষের শরণাপন্ন হওয়ার চেষ্টা করে থাকে অনেক মানুষ। আমরা আমাদের সাধ্যমত সহযোগিতা করার চেষ্টা করি। এটা মানুষের মানব ধর্ম বা মানবতা। কিন্তু যখন নিজেরা প্রয়োজন মনে করায় তখন সুসম্পর্ক বজায় রাখা মানুষেরাও যেন পিছুটান দেয়ার চেষ্টা করে বিভিন্ন অজুহাতে।
অনেক মানুষ রয়েছে যারা সম্পর্ক এবং সুসম্পর্ক দুইটাই বজায় রেখে চলে। সে সমস্ত মানুষেরা সুখে-দুখে সব সময় পাশে থাকার চেষ্টা করে থাকে। আপনি যদি বিদেশে থাকেন, বেশি অংকের টাকা উপার্জন করেন। যে সমস্ত মানুষেরা আপনার ছোটবেলায় বা বিপদে-আপদে এগিয়ে আসেনি, সে সমস্ত মানুষেরাও আপনার শরণাপন্ন হওয়ার চেষ্টা করবে সহযোগিতার আশায়। এক কথায় বলতে গেলে আপনি যখনই ভালো কোনো পর্যায়ে উঠবেন বা বিশেষ কোনো স্থানে অবস্থান করবেন, তখনই আপনার সাথে সম্পর্ক বজায় রাখতে সুসম্পর্ক স্থাপন করার জন্য অনেক মানুষ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। আর যখন আপনি বিশেষ স্থান থেকে থেমে যাবেন অথবা বিপথগামী হবেন তখন আপনার সম্পর্ক স্থাপনকারী এবং সুসম্পর্ক বজায় কারী মানুষেরা আস্তে আস্তে দূরে হেঁটে যাবে। আর এটাই মানুষের বাস্তবতা। যুগ যুগ ধরে এই জিনিসগুলো বেশি বেশি চোখে বাধবে। আর এই সম্পর্ক সুসম্পর্ক বজায় রাখতে গিয়ে অনেক সময় অনেক কিছু সম্মুখীন হতে পারেন। যে বিষয়গুলো জীবনের চরম থেকে চূড়ান্ত পর্যায়ের শিক্ষা দিয়ে যাবে।
আমার তরফ থেকে একটা সুন্দর পরামর্শ থাকবে। আপন পর যা হোক না কেন, সবার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলতে হবে। মানুষ মানুষের সাথে সম্পর্ক রাখবে এটা স্বাভাবিক। তবে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলতে হলে মাথায় রাখতে হবে, যার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখছি, সে কতটা ভালো পর্যায়ের মানুষ। চোর লুচ্চা বদমাইশ মানুষের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা বোকামি ছাড়া কিছুই নয়। এই শ্রেণীর মানুষগুলো বিপদ থেকে কখনো উদ্ধার করে না বরং বিপদে ফেলার চেষ্টা করে। মানুষের সাথে সম্পর্ক ঠিক রাখতে হবে কিন্তু সুসম্পর্ক ঠিক রাখতে হবে সেই সমস্ত মানুষের সাথে, যার মধ্যে ভালো কোন গুণাবলী রয়েছে, আপনার বিপদে কখনো ছেড়ে যাবে না। তাই আমি মনে করি সবার সাথে সুন্দর মিল সম্পর্ক রাখা প্রয়োজন রয়েছে কিন্তু সুসম্পর্ক স্থাপন করতে হলে অবশ্যই মানুষ চিনতে হবে। এক্ষেত্রে আমি মনে করি নিজের মধ্যে কোন প্রকার রাগ খোব অহংকার রাখা যাবে না। আপনি যদি রাগ খোব অভিমান রেখে সুসম্পর্ক বজায় করতে চান, তাহলে অতি আপনজন কেউ হারাতে পারেন। হয়তো কোনো কারণে একদিন দুজনের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। সেই চিন্তা ধারা মাথায় রেখে আপনি সুসম্পর্ক স্থাপন করতে পারছেন না। মনে রাখবেন মানুষ তো ভুল করে। তাই বলে বারবার ভুল করবে এটা কিন্তু নয়। তাই সুসম্পর্ক বজায় দেখে চলতে হলে অবশ্য সেই মানুষটার চরিত্র কার্যকলাপ এগুলো জানতে হবে। ভালো পর্যায়ের মানুষ হলে তার কোন ভুল ত্রুটি ধরে রাখা যাবে না। মন থেকে পূর্বের রাগ অভিমান ছাড় দিতে হবে। আর এভাবে সম্পর্ক থেকে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে মানুষ বুঝে। সম্পর্ক মানুষের সাথে মিলতাল হয়ে চলতে শেখায়। সুসম্পর্ক মানুষের মধ্যে গভীর বন্ধন সৃষ্টি করে।
ব্লগিং ডিভাইস | মোবাইল ফোন |
---|---|
বিষয় | জেনারেল রাইটিং |
আলোচনার বিষয় | সম্পর্ক ও সুসম্পর্ক |
আমার ঠিকানা | গাংনী-মেহেরপুর |
বর্তমান অবস্থান | ঢাকা সাভার |
ফটোগ্রাফার ও ব্লগার | @helal-uddin |
ধর্ম | ইসলাম |
দেশ | বাংলাদেশ |
পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি মোঃ হেলাল উদ্দিন। আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুরে। আমার বর্তমান ঠিকানা,ঢাকা সাভার বিশ-মাইল। আমি একজন বিবাহিত ব্যক্তি। কর্মজীবনে একজন বেসরকারি চাকরিজীবী।
আমার আজকের টাস্ক
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Twitter-promotion
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া আজকে আপনি চমৎকার একটি ব্লগ শেয়ার করেছেন । আসলেই সম্পর্ক ও সুসম্পর্কের মধ্যে বিরাট পার্থক্য রয়েছে। সম্পর্ক যেকোনো রকমের হতে পারে। তবে সুসম্পর্ক একটা ঘনিষ্ঠতার বন্ধন। যে সম্পর্ক সুখে দুখে পাশে দাঁড়াই সেটাই হলো সুসম্পর্ক। আপনার আজকের এই ব্লকটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। এত সুন্দর করে সম্পর্ক ও সুসম্পর্কের পার্থক্যটা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit