হ্যালো বন্ধুরা!
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে আপনারা অনেক অনেক ভাল রয়েছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় বেশ ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি, প্রিয় মানুষটাকে সাথে নিয়ে রেস্টুরেন্টে খাওয়ার অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য। আমাদের এই ভালোলাগার মুহূর্ত দেখে আপনাদের ও ভালো লাগবে, ইনশাল্লাহ।
ফটোগ্রাফিতে দেখতে পাচ্ছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের, জয় বাংলা গেটের নিকটস্থ একটি রেস্টুরেন্ট। এই রেস্টুরেন্টের নাম ফুড হ্যাভেন চাইনিজ এন্ড ফাস্টফুড। মূলত এখানে সকল প্রকার ফাস্টফুড খাবার গুলো পাওয়া যায়। ভাজাপোড়া বিভিন্ন রকমের রেসিপি। নুডলস থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকমের এই রেসিপিগুলো আপনাকে আকর্ষিত করবে। তাই সুযোগ পেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষেরা এখানে উপস্থিত হয় এবং কিছুটা সময় মজাদার ভোজনের মধ্যে নিয়োজিত থাকে।
একটা দিন সময় করে আমি আমার প্রিয় মানুষটাকে নিয়ে এই রেস্টুরেন্টে উপস্থিত হলাম। তার খুব ইচ্ছে ছিল আমার সাথে ঘুরতে যাওয়ার ও ফাস্টফুড খাওয়া। ব্যস্ততায় সেভাবে সুযোগ দিতে পারি না। তবে সবারই তো শখ আহ্লাদ রয়েছে। যাই হোক সুযোগ করে ঘুরতে গেলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বিভিন্ন স্থানগুলো ঘুরে ঘুরে দেখলাম। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশাল এরিয়া, অল্প সময়ে ঘুরে দেখা সম্ভব নয়। এখানে একা ঘুরতে মন চাইবে না। মনে হবে প্রিয় মানুষ বন্ধু-বান্ধব পাশে থাকলে বিকেল মুহূর্তটা ঘোরাঘুরি করা যায়। প্রথমে রিক্সা নিয়ে বেশ কিছু জায়গা ঘোরাঘুরি করে এই রেস্টুরেন্টে উপস্থিত হয়। রেস্টুরেন্টের মূল আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে অক্সিজেন মেশিন দিয়ে একটি অ্যাকোরিয়াম প্রস্তুত করা রয়েছে। এর মধ্যে বেশ অনেকগুলো রঙিন মাছ রয়েছে। সব সময় মেশিন দ্বারা অক্সিজেন হতে থাকে তাই মাছগুলো বেশ চলাচল করতে থাকে। আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগার ছিল বড় একুরিয়াম এর মাছগুলো। মাছগুলো দেখতে দেখতে ফ্রেশ হয়ে নিলাম আর ফটো ধারণ করলাম। এরপর নির্দিষ্ট আসনে বসে পড়লাম সবাই।
আমাদের সামনে খাবারের তালিকা রাখা হলো। সে কি খাবার খাবে সেটাই জানতে চাইলাম। কারন প্রিয় মানুষের ভালো লাগাতে নিজের ভালোলাগা। তাই খাতাটা তার হাতে দিয়ে দিলাম। সে তার মতো চয়েস করলো। বিভিন্ন রকমের খাবারের লিস্ট রয়েছে এখানে। খাবারগুলো যাই হোক না কেন নাম কিন্তু দারুণ। আমি শুধু তাকে বললাম তার ভালোলাগার খাবার অর্ডার করুক। কারণ রেস্টুরেন্টে তো আর বারবার আসা হয় না। ততক্ষণে আমি রেস্টুরেন্টের সৌন্দর্য উপভোগ করলাম আর ফটো ধারণ করলাম।
কিছুক্ষণ পর লক্ষ্য করে দেখলাম প্লেটে কাঠিতে গাথা চাইনিজ খাবার এনে রেখে গেলেন। এই খাবারগুলো দেখেছি কিন্তু খেতে ইচ্ছে করেনা। কতটা স্বাস্থ্যসম্মত সেটাও জানিনা। দেখলাম সস সহ রেখে গেলেন। এছাড়াও কেক জাতীয় একটি খাবার অর্ডার দিয়েছিল। কোন কিছু না ভেবেই আল্লাহর নাম নিয়ে খাওয়া শুরু করলাম। কিন্তু গোল গোল এই জিনিসগুলো মানুষের কেমনে খায় গো। ইয়ার্কির ছলে তাকে প্রশ্ন করলাম। আর ভাবলাম ইউটিউবে এগুলো খাওয়ার ভিডিও দেখে নেওয়া প্রয়োজন। আমরা বাঙালি কত সুন্দর ভাবেই না হাত দিয়ে ভাত তুলে খায়। এই সমস্ত জিনিসগুলো কি আমাদের মানায়। যারা শহরে বড় হয়েছে, কাজ কাম নাই তাদের জন্য হয়তো মানাতে পারে। এছাড়াও আরো বেশ কিছু খাবার অর্ডার করা হলো এবং একসাথে আনন্দে খাওয়ার মধ্য দিয়ে সময় পার করলাম।
এরপর রেস্টুরেন্টের বিল পরিশোধ করে বের হয়ে পড়লাম বাইরের দিকে। ততক্ষণ বেশ সন্দা ঘনিয়ে এসেছে। শীতল বাতাসের জন্য যেন মনে হচ্ছিল ফ্লাইওভারে যাই। তাই একসাথে গেটের পাশে থাকা ফ্লাইওভারে চলে গেলাম। সন্ধ্যার সময় মানুষজনের চলাচল খুবই কম। সুন্দর এই ফ্লাইওভারে কিছুটা সময় শীতল বাতাস গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে দেখতে থাকলাম ব্যস্ত নগরের রাস্তা ও সন্ধ্যা কালের মুহূর্তে মানুষের চলাচল। রেস্টুরেন্ট গুলোর পাশেও অনেক মানুষের ভিড়। যে যার মত ফাস্টফুডের ঘরে প্রবেশ করছে খাওয়া-দাওয়া করছে বের হয়ে আসছে। এটাই যেন এখানকার মানুষের লাইফ স্টাইল।
ক্যাটাগরি | লাইফ স্টাইল |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Huawei mobile |
রেস্টুরেন্ট | জয় বাংলা গেট, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় |
আমার ঠিকানা | গাংনী-মেহেরপুর |
বর্তমান অবস্থান | ঢাকা সাভার |
ফটোগ্রাফার | @helal-uddin |
ধর্ম | ইসলাম |
দেশ | বাংলাদেশ |
পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি মোঃ হেলাল উদ্দিন। আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুরে। আমার বর্তমান ঠিকানা,ঢাকা সাভার বিশ-মাইল। আমি একজন বিবাহিত ব্যক্তি। কর্মজীবনে একজন বেসরকারি চাকরিজীবী।
Twitter-promotion
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার আজকের টাস্ক
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি জয় বাংলা গেটের রেস্টুরেন্ট থেকে বেশ সুন্দর খাওয়া-দাওয়া করেছেন। আপনার এই চমৎকার মুহূর্তটা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে ভালো লেগেছে। মাঝেমধ্যে রেস্টুরেন্টে খেতে যেতে বেশ ভালো লাগে। সেখানে বিভিন্ন রকমের ফাস্টফুড খেতে পাওয়া যায়। রেস্টুরেন্টের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে অনেকে অনেক রকমের ডেকোরেশন করে থাকে। তার মধ্যে একুরিয়ামের মাছ অন্যতম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি, এখানে একুয়ারিয়া রয়েছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit