কয়েকটি রেনডম ফটোগ্রাফি

in hive-129948 •  6 days ago 

হ্যালো",

আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।

সবাইকে আমার ফটোগ্রাফি পোস্টে স্বাগতম। প্রতিদিন চেষ্টা করে আলাদা আলাদা বিষয় আপনাদের সাথে শেয়ার করার আজ বেশ কয়েকটি ফটোগ্রাফি নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আমরা এখন যেখানে ঘুরতে যাই কিংবা কাজে যায় না কেন আমাদের একটা উদ্দেশ্য থাকে সেটা হচ্ছে কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করা। যাতে পরবর্তীতে সেগুলো আমার বাংলা ব্লগে শেয়ার করতে পারি। তবে একটা কথা বলতে পারি আজকে আমার কিছু ফটোগ্রাফি দেখে আপনারা ছোটবেলায় ফিরে যেতে পারেন। যাইহোক চলুন ফটোগ্রাফি গুলো দেখে নিই।

ফটোগ্রাফি-১

এগুলো নিশ্চয় চিনতে পেরেছেন।এগুলো লাটিম।ছোটবেলায় আমি লাটিম ঘুরাতে পারতাম না।আব্বু বারবার শিখিয়ে দিতেন। তাও পারতাম না আর খালি কান্না করতাম।এখনকার বাচ্চারা তো লাটিম চিনবেই না। অন্য বাচ্চাদের কথা কি বলবো আমার ছেলেই এগুলো চিনে না।কিছুদিন একটি দোকানে কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে গিয়েছিলাম। সেখানে দেখলাম বেশ কিছু পুরোনো দিনের খেলনা।তাই ফটোগ্রাফি করে নিলাম।

1000021534.jpg

#ফটোগ্রাফি-২

এগুলো হলো মার্বেল ছোটবেলায় খুবই খেলেছি। এখন অনেকেরই প্রশ্ন থাকে মেয়ে হয়ে আমি কিভাবে মার্বেল খেলেছে। আমাদের গ্রামবাংলায় একটা খেলা আছে মার্বেল দিয়ে ২০ পর্যন্ত গুনে গুনে খেলতাম। এরপর যে লাস্ট হতো তার জন্য শাস্তি রাখতাম। এখনো অবশ্য গ্রামে এই দৃশ্যগুলো দেখা যায়।

1000021532.jpg

ফটোগ্রাফি-৩

এগুলো হচ্ছে কারেঙ্গা মার্বেল মানে কামরাঙ্গার মত ডিজাইন থাকতো এই মার্বেল গুলোর ভিতরে। রুবেলায় ছোট ছোট কালো মার্বেলের পাশাপাশি এই মার্বেলগুলো ছিল সব ছোটদের পছন্দের।আর এই মার্বেলগুলো অনেকদিন পর দেখে বেশ ভালই লাগছিল। তাই এটার একটা ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম।

1000021533.jpg

ফটোগ্রাফি-৪

শীতকালে প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে সরিষা ক্ষেত। ক্ষেতের পর ক্ষেত সরিষা চাষ করা হয় এই সিজনে। প্রত্যেকটা ক্ষেত যখন সরিষা ফুলে ভরে যায় সেটার সৌন্দর্য থাকে দেখার মতো।ইতিমধ্যে দুই দিন সরিষা ক্ষেতে গিয়ে কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম।

1000019219.jpg

1000019220.jpg

তো এইছিল আমার কয়েকটি রেনডোম ফটোগ্রাফি। আশা করছি ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাদের সুন্দর মতামতের মাধ্যমে আমাকে জানাতে ভুলবেন না। আজ এখানে বিদায় নিচ্ছি দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

❤️আমার পরিচয়❤️

আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।

1000000117.png

1000000119.gif

1000000118.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আজকে আপনি মুগ্ধ হওয়ার মতো বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। যে ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে দেখতে। এরকম ফটোগ্রাফি গুলো আমি সব সময় খুব পছন্দ করি। আপনার তোলা প্রতিটা ফটোগ্রাফির প্রশংসা করাই লাগছে। সরিষা ফুলের ফটোগ্রাফি বেশি সুন্দর এবং আকর্ষণীয় ছিল।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!

অনেক অনেক ভালো লাগলো ছোটবেলার কিছু খেলার জিনিস দেখতে পেরে। মার্বেল আমার সবচেয়ে বেশি প্রিয় জিনিস ছিল। আমি তো ফুল মার্বেল গুলো বেশি বেশি সংরক্ষণ করে রাখতাম। যাইহোক একদম মনটা ভরিয়ে দিলেন সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখিয়ে।

খুবই ভালো লাগলো আপনার প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি দেখে। অনেক সুন্দর সুন্দর দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। একই সাথে প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফির খুবই চমৎকার বর্ণনা উপস্থাপন করেছেন। দারুন একটি ফটোগ্রাফির পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে একদম শৈশবের স্মৃতিতে চলে গেলাম আপু। দাদু বাড়িতে যখন থাকতাম প্লে পড়তাম তখন রাস্তায় নিয়ে যাওয়ার সময় দেখতাম গ্রামের ছেলেরা এসব মার্বেল দিয়ে খেলাধুলা করছে।

ঠিক বলেছেন আপু আমরা যেখানেই যাই না কেন ফটোগ্রাফি করা যেন আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য থাকে। যাই হোক সত্যিই আপনার কয়েকটি ফটোগ্রাফি ছোটবেলার কথা মনে করিয়ে দেয়। লাটিম আর মার্বেল এর ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।

আপনি আপু একেবারে ছোটবেলার স্মৃতি তুলে ধরেছেন। লাটিম বা লাট্টু এখনও পাওয়া যায়। আমি খেলি বাড়ি গেলে। আর মার্বেল ছোটবেলায় আমিও অনেক খেলেছি। পাড়ার ছেলেদের সাথে পাল্লা দিয়ে। হে হে হে। বাবার হাতে মারও খেয়েছি। অনেক স্মৃতি উস্কে দিল আপনার পোস্টটি।

ঠিকই বলেছেন আপু এখনকার বাচ্চারা এ ধরনের খেলা গুলো খুবই কম খেলে। যদিও এ খেলা গুলোর সাথে আমিও তেমন পরিচিতি না। কখনো খেলা হয়নি। খুব সুন্দর রেনডম ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। প্রতিটি ফটোগ্রাফি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।

এতগুলা লাটিম একসাথে দেখে তো আমি মুগ্ধ হলাম। ছোটবেলায় আমি লাটিম খেলতে খুবই পছন্দ করতাম। এখনো আমার ছোট ভাইটা লাটিম খেলে। এইতো কয়েক মাস আগে বর্ষার পরে মনে হয় আমি তাকে কিনে দিয়েছিলাম। লাটিম সহ গুটি দেখতে পারলাম। অনেক ভালো লাগলো আপনার রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো।

চমৎকার কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি আজ আপনার ফটোগ্রাফি পোস্টে দেখতে পেলাম।আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে আপু ফটোগ্রাফি গুলো। বিশেষ করে লাটিম আর মার্বেলের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ছেলেবেলায় হারিয়ে গেলাম।লাটিম দিয়ে ছেলেবেলা অনেক চেষ্টা করতাম ঘুরাবার।সেই স্মৃতি গুলো মনে পরে গেলো।এসব খেলা এখনকার বাচ্চারা কোথায় পাবে, হারিয়ে যাচ্ছে।ধন্যবাদ আপু রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।

বিভিন্ন দৃশ্যের ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন আপু আপনি। এ ধরনের রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে ভালো লাগে। বিশেষ করে আপনার আজকের শেয়ার করা সরিষা ফুলের ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর দেখাচ্ছে। আর লাডুম এবং মার্বেলের ফটোগ্রাফি গুলো তো আরো অনেক চমৎকার হয়েছে। ছোটবেলায় আমরা এ ধরনের খেলা গুলো অনেক বেশি খেলতাম।

আজকের প্রতিটি ফটোগ্ৰাফি দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম আপু।সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে লাঠিমের ফটোগ্ৰাফিটি।এই লাঠিম খেলা ছোট বেলায় যে কতো খেলেছি তার কোন হিসেব নেই। আপনি ফটোগ্ৰাফির পাশাপাশি দারুন বর্ণনাও দিয়েছেন দেখছি ধন্যবাদ।

মার্বেল আর লাটিম দেখে শৈশবের কথা মনে পড়ে গেলো । আসলে শৈশবের মুহূর্ত গুলো খুবই দারুণ ছিলো যখন বন্ধুরা সবাই মিলে মার্বেল আর লাটিম খেলাম। ছোটবেলার স্মৃতি খুব মনে পড়ছে। খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।

আপু আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর রেনডম ফটোগ্রাফি এনেছেন আমাদের মাঝে। বেশ অনেক কিছু দিয়ে গড়া আপনার আজকের রেনডম পোস্ট। যেখানে আমি লক্ষ্য করে দেখলাম খেলনা জাতীয় জিনিস থেকে শুরু করে ফুলের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলেছেন। সরিষা ফুল আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।

ছোটবেলার স্মৃতি গুলো মনে পড়ে গেল আপনার এই পোস্ট দেখে আপু। ছোটবেলার অনেকগুলো খেলনা আপনি এই পোষ্টের মাধ্যমে শেয়ার করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ছোটবেলার স্মৃতিকে মনে করিয়ে দেবার জন্য।