"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। আজ ইচ্ছে করে কিছু কথা লিখতে বসলাম। আমার আশেপাশে এবং আমাদের আশেপাশে এই ঘটনাগুলো প্রতিনিয়তই ঘটে চলেছে।ইদানিং বাবা-মা ভাই বোন আত্মীয়-স্বজন সবার মাঝেই দেখছি এই চরিত্রগুলো রয়েছে।হ্যাঁ হয়তো প্রত্যেকটা বাবা-মার ভাই বোনের ক্ষেত্রে না। সবাই তো আর এক না।আজকাল টাকা দেখে আমরা মানুষের সঙ্গে মিশি।যার টাকা আছে সে যতই দূর সম্পর্কে আত্মীয় হোক না কেন তার সঙ্গে মিলে থাকার চেষ্টা করি।ভালো সম্পর্ক রাখার চেষ্টা করি।
প্রথমেই যেটা বলছি সেটা হচ্ছে একজন বাবার দুইটা মেয়ে।বড় মেয়ের বড়লোক ঘরে বিয়ে হয়েছে আর ছোট মেয়ের বিয়ে হয়েছে মধ্যবিত্ত ঘরে। বড় জামাই যখনই টাকা ধার করতে আসে তখন কোন শর্ত ছাড়াই তাকে টাকা দেওয়া হয় এবং বড় মেয়ের বাড়িতে যদি কখনো কোনো খাবার বা জিনিসপত্র পাঠানো হয় সেটা যেন অনেক ভালো জিনিস হয় সেদিকে তারা খেয়াল রাখে। অথচ ছোট মেয়ে যখন অভাবে পড়ে কোন কিছু চাইতে আসে মুখের উপরে না করে দেয়। হয়তো প্রত্যেক বাবা-মা এমন নয়। তবে এই ঘটনাটি দেখার পর আমার খুবই খারাপ লেগেছিল।
আরো একজনকে দেখলাম নিজের আত্মীয়দের সঙ্গে খুব একটা মেলামেশা নেই। কারণ তারা অর্থনৈতিকভাবে খুব একটা সচ্ছল নয়।তবে দূর সম্পর্কের আত্মীয়দের সঙ্গে তার বেশ ভালো সম্পর্ক। কারণ কোন বিপদে পড়লে তাদের থেকে সাহায্যের সম্ভাবনা থাকে।
এখন কথা হচ্ছে আদৌ কি তারা কখনো সাহায্য করে। করে না যাদেরকে অবহেলা করবেন যাদের সঙ্গে সম্পর্কের দূরত্ব তৈরি করবেন একটা সময় তারাই আপনার পাশে এসে দাঁড়াবে। তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী আপনাকে আমাকে সাহায্য করার চেষ্টা করবে। যেমন প্রথম যে বাবা-মার কথা বললাম সেই পরিবারে আমি দেখেছি ছোট মেয়ে বাড়িতে যেটারই আয়োজন করতো একটু হলেও বাবা মার জন্য পাঠাতো।
এমন ঘটনা আমাদের আশেপাশে অহরহ আছে। আপনার যখন টাকা হবে আপনার ভালোবাসার মানুষের অভাব হবে না, আপনার শুভাকাঙ্ক্ষীর অভাব হবে না। তাই এমন আত্মীয়দের থেকে অবশ্যই সাবধান। যাইহোক বন্ধুরা হয়তো বিষয়টা ভালোভাবে গুছিয়ে বোঝাতে পারিনি। তবে আশা করছি একটু হলেও হয়তো বুঝেছেন।
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি বন্ধুরা। দেখা হবে পরবর্তীতে সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
আমার পরিচয়
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এমন ঘটনা অহরহ ঘটে সমাজে কথা টায় আমিও একমাত কারণ আমাদের এলাকায় এমন ঘটনা দেখেছি সেখানে বড়ো মেয়ে অভাবি জন্য তার বাপের বাড়িতে কোন মূল্যায়ন নাই আর ছোট মেয়ের ঢাকা শহরে থাকে গাড়ি বাড়ির মালিক জন্য তার আদরের সিমা নাই।আসলে মানুষের সঙ্গে আত্মার সম্পর্ক হওয়া দরকার টাকার নয়।শুধু কি টাকা দিয়েই উপকার হয় না হয় না টাকা ছারাও মানুষের অনেক ভাবে উপকার হয়।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন আপু মানুষের সঙ্গে আত্মার সম্পর্ক হওয়া দরকার টাকা নয়। মানুষ শুধু টাকা দিয়ে উপকার করতে পারে না অনেক সময় মানুষের মুখের কথা মানুষের জন্য অনেক বড় সাহায্য হতে পারে। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এসব ঘটনা বর্তমানে অহরহ ঘটছে। কিছু কিছু মা বাবাও টাকার জন্য নিজেদের ছেলে মেয়েদের দুই চোখে দেখে। এটা মোটেই উচিত নয়। আবার অনেকে দরিদ্র আত্মীয় স্বজনের সাথে কোনো সম্পর্ক রাখতে চায় না। আবার ধনী আত্মীয় স্বজনের সাথে ভালোভাবে মিশে। তবে বিপদে পরলে দরিদ্র আত্মীয় স্বজনই কাজে লাগে। ধনী আত্মীয় স্বজনদের খুঁজে পাওয়া যায় না বিপদে পরলে। আসলে পৃথিবীতে ধন সম্পদ ই সবকিছু না। আমাদের উচিত সম্পর্কের মূল্যায়ন করা। যাইহোক সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই কামনা করছি। এতো চমৎকার একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit