দোকান তো নয় যেন বিনোদনের কেন্দ্রস্থল।

in hive-129948 •  3 years ago 

আমাদের পুরো গ্রামজুড়ে একটা মাত্র দোকান আছে। আর সবথেকে বড় বিষয় হচ্ছে, যেহেতু আমাদের গ্রাম থেকে বাজারের দূরত্ব খুবই কাছে তাই গ্রামে কোন দোকান নেই শুধুমাত্র এই দোকান ছাড়া। সন্ধ্যা বেলার পর এই দোকান যেন হয়ে ওঠে একটি সভা কেন্দ্র। কারণ গ্রামের সব লোকজন এখানে এসে বসে থাকে, তাদের নিজেদের মতো করে সময় কাটায় গল্পগুজব করে এবং দোকান থেকে হালকা কেনাকাটা করে। মানে বলা যায় সন্ধ্যার পরে দোকানটা হয়ে ওঠে গ্রামের জনসভা কেন্দ্র।


আসলে দোকানদার অনেক চালাক মানুষ। সে গ্রামের সহজ সরল মানুষগুলোকে আকর্ষন করার জন্য তার দোকানে একটা টিভি দিয়ে রেখেছে। আর সেই টিভি চলে সন্ধ্যার পর থেকে মাঝ রাত অব্দি। কারণ তার মূলত বিক্রি ভাল হয় এই সন্ধ্যা বেলাতেই। সত্যি বলতে কি গ্রামের বধূরা তো আর সহজে বাজারে যেতে চায় না। তাই যখন তাদের বাড়িতে কোনো মেহমান আসে, তাই তারা স্বল্প পরিসরে মেহমানদারী করে, এই দোকান থেকে কেনা পন্য দিয়ে। আমি নিজেও বেশ কয়েকবার ছোটখাট কাজের জন্য এই দোকানে গিয়েছিলাম।
ডাক্তার বলেছে যে, আমার এখন একটু মাঝেমাঝে হাঁটা চলাফেরা করা উচিত। দিনের বেলা খুব একটা বেশি বাইরে বের হইনা কারণ হয়তো অধিক রোদ নতুবা গরম থাকে। যাইহোক চেষ্টা করে একটু সন্ধ্যার পরেই মূলত একটু বের হই। কারণ সেই সময় পরিবেশটা একটু ঠান্ডা থাকে। গতকাল যখন এই দোকানের সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম, তখন এই মুহূর্তটা দেখেছি এবং আমি কল্পনা করছি যে আসলেই এটা একটা গ্রামের জনসভা কেন্দ্র হয়ে ওঠে সন্ধ্যার পর। কারণ সব লোকের জন্য আড্ডা বসে এখানে। সহজ সরল মানুষ গুলোর একটা বিনোদনের কেন্দ্র স্থানো বলা যায় এটাকে।
received_153748490082157.jpeg

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

অনেক সুন্দর ভাবে আপনার সেই দোকানের কথা তুলে ধরেছেন আপু। আসলে প্রত্যেকটা গ্রামেই এই রকম কিছু না কিছু দোকান থাকবেই যেখানে সবাই মিলে আড্ডা হই হুল্লোড় করে।

ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করেছেন।

একদম।
দিনের শেষে মানুষ ঐ টুকুই শান্তি খোঁজে।

গ্রাম্য মানুষদের বিনোদনের আর এক মনোরম দৃশ্য গুলি ভালো লাগলো