টক বরই মাখা খাওয়ার অনূভুতি

in hive-129948 •  6 days ago 

হ্যালো",

আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।

সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম।আমি নিশ্চিন্ত হয়ে বলতে পারি যে আজকের ব্লগটি দেখে অনেকেরই মুখে পানি চলে আসবে কারণ আজকে আমি খুবই লোভনীয় বরই মাখা খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করব। সেই সাথে বরই এর ফটোগ্রাফি। বাজারে অনেক ধরনের মিষ্টি বরই কিনতে পাওয়া যায় কিন্তু আমার কাছে টক বড়ই সবসময় বেশি ভালো লাগে খেতে। যখন শহরে থাকতাম তখন সব সময় টক বরই খুঁজে বেড়াতাম ফলের দোকানগুলোতে।অনেক খোঁজাখুঁজির পর হয়তো কিছুটা পেতাম।কিন্তু গ্রামে যে টক বরই গুলো পাওয়া যায় সেগুলোর মতো স্বাদ ছিল না।

1000024231.jpg

তখন গ্রাম থেকে আমার মা টক বরই সংগ্রহ করে বাসায় পাঠিয়ে দিতেন। এ বছর অবশ্য এমনটা হয়নি। যেহেতু গ্রামে আছি তাই প্রচুর পরিমাণে টক বরই খাওয়া হচ্ছে। তবে গতদিন দুপুরবেলা আমার ভাইয়ের ছেলে তার নানুবাড়ি থেকে অনেক সুন্দর সুন্দর বরই এনেছে সেগুলো খেতে বেশ ভালো ছিল। তাই সবাই মিলে সেই বরইগুলো চাটনি বানিয়ে খেয়েছিলাম। এই চাটনিটা বানানো হয়েছিল শুকনা মরিচ, লবণ, সরিষার তেল এবং গুড় দিয়ে। টক বরই এর সাথে মাখিয়ে নিয়ে খেতে যে কি ভীষণ ভালো লাগছিল সেটা হয়তো বলে বোঝাতে পারবো না।

1000023890.jpg

1000023891.jpg

দেখতেই পাচ্ছেন আমরা কতটা বরই নিয়েছিলাম এবং চাটনিও ছিল কতগুলো। খুবই মজা করে খেয়েছি আমরা সবাই। আর এই ধরনের টক জাতীয় খাবার একা একা খেতে কিন্তু একদমই ভালো লাগেনা। অনেকে মিলে যখন এই খাবারগুলো খাওয়া হয় তখন অনেক মজা করে খাওয়া হয়। তাই আমরাও সবাই মিলে একসাথে খুবই মজা করে এই টক বরই গুলো খেয়েছিলাম।

1000023892.jpg

1000023894.jpg

যেহেতু আপনাদের সাথে সব বিষয়ে শেয়ার করা হয় তাই টক বরই খাওয়ার সময় কয়েকটা ফটোগ্রাফি করে রেখেছিলাম যাতে করে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারি। আশা করছি আমার টক বরই খাওয়ার অনুভূতি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আর ইতিমধ্যেই দেখলাম আমাদের কমিউনিটিতে অনেকেই টক বরই মাখার বিভিন্ন রেসিপি শেয়ার করেছেন। অবশ্যই সেই রেসিপি গুলো ট্রাই করার চেষ্টা করব। যাইহোক আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

❤️আমার পরিচয়❤️

আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।

1000000117.png

1000000119.gif

1000000118.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আসলে টক বড়ই দেখে আমার যতটা লোভ হচ্ছিল তার থেকে ওই চাটনি দেখে আমার আরো বেশি লোক হচ্ছিল। মনে হচ্ছে যে টক বড়ই এর স্বাদ এই চাটনির ফলে আরো অনেক বেশি বেড়ে গেছে। যাই হোক পোস্টটি পড়ার সময় বারবার জিভে জল চলে আসছিল। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আপু এটা কি যে দেখালেন আপনি। দেখে তো আমি আর লোভ সামলিয়ে রাখতে পারছি না। রেসিপিটা দেখতে কিন্তু অনেক বেশি লোভনীয় লাগছে। টক বরই খেতে আমি অনেক পছন্দ করি। আপনার খাওয়া দেখে তো আমার জিভে জল চলে এসেছে। দেখেই বুঝতে পারছি এটা খেতে দারুন লেগেছে।।

হুমম আপু টক বরই চাটনি দিয়ে খেতে খুবই ভালো লেগেছে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

চাটনি দিয়ে এভাবে বড়ই মাখা খেতে অসম্ভব ভালো লাগে। আপনার হাতে বড়গুলো দেখে আমার তো ভীষণ খেতে ইচ্ছা করছে আপু। কিছুদিন আগে আমিও টাটকা ধনিয়া পাতা দিয়ে বরই মাখা খেয়েছিলাম। একদম ঠিক দুপুর বেলা রোদের সময় এই ধরনের খাবারগুলো খেতে বেশি ভালো লাগে। খুবই ভালো লাগলো আপু আপনার অনুভূতি জানতে পেরে। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

ঠিক বলেছেন রোদে বসে টক বরই চাটনি খেতে খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

আজকে কয়দিন বেশ মিষ্টি জাতীয় বরই খেতে পারছি। আমাদের দুইটা কাছে অনেক ধরেছে। কিন্তু সেগুলো খাটা খাওয়ার টক বরই। মাঝেমধ্যে এভাবে ঝাল লবণ দিয়ে বরই খেতে অনেক ভালো লাগে। অনেক ভালো লাগলো চমৎকার পোস্ট করতে দেখে।

ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

আমি গত কিছুদিন থেকে টক বড়ই খাইতেছি কিন্তু তেমন একটা ভালো লাগছে না।গত কালকে বন্ধুর গাছের বড়ই খাইছি অনেক ভালো লেগেছে টক নেই বললেই চলে। আপনার টক বড়ই খাওয়া দেখে তো আমার জিভে জল চলে এলো আপু। আপনার টক বরই মাখা খাওয়ার অনূভুতি বেশ দারুন ছিল।

বড়োই মাখা খেতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে।আমি ছোট বেলা টক খেতে অনেক পছন্দ করি। আপনি দেখছি টক বরই মাখা খেয়েছেন, দেখে বেশ ভালো লাগলো। এবছর এপর্যন্ত বেশ কয়েকবার বড়োই খাওয়া হয়েছে। আমাদের গ্ৰামের মধ্যে বেশ কয়েকটি বড়োই গাছ রয়েছে।

আমাদের গ্রামেও অনেক গুলো টক বরই এর গাছ আছে।টক বরই খেতে খুবই ভালো লাগে আমার।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

আপনার শেয়ার করা বরই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে জিভে জল চলে আসলো। কারণ টক জাতীয় খাবার এমন এক জাতীয় খাবার যা দেখলে লোভ সামলানো যায় না। আপনি কাঁচা বরই দিয়ে বেশ মজার করে বরই মাখা খেলেন। এভাবে সবাই বসে খেলে খুব ভালো লাগে খেতে। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাদের সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে উপস্থাপন করলেন।

ভাইয়ের ছেলে নানুবাড়ি থেকে অনেকগুলো টক বড়ই নিয়ে এসেছে। আপনারা বেশ মজা করে টক বড়ই খেয়েছেন দেখছি। এভাবে চাটনি বানিয়ে টক বরই খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আমার যে কতদিন টক বড়ই খাওয়া হয়না। এ বছরে বড়ই খেতেই পারলাম না। আপনাদের বড়ই খাওয়া দেখে আমার তো বড়ই খেতে ইচ্ছে করছে। বড়ই খাওয়ার অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করে নিয়েছেন পড়ে ভালো লাগলো।

কি আর কমেন্টে বলবো আপু আপনার পোস্ট দেখেই তো জিভে জল চলে এসেছে। এত লোভনীয় লাগছে বড়ই গুলো। বড়ই এভাবে খেতে খুবই মজা লাগে। দেখে তো একেবারে লোভ লেগে গেল।

দেখেই তো লোভ সামলানো মুশকিল হয়ে যাচ্ছে..!!🤤আন্টির হাতের সেই স্পেশাল মরিচ সরিষারর মসলা এখনো মুখে লেগে আছে।ছোটবেলায় আমরাও গ্রামের সবাই মিলে টক বড়ই মেখে একসাথে বসে মজা করে খেতাম সেই দিনগুলো খুব মিস করি এখন।অনেক লোভনীয় পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাবি।

আপনি যেভাবে চাটনি বানিয়েছেন এবং বড়াইয়ে চাটনি লাগিয়ে ফটোগ্রাফি করেছেন যে দেখেই আমার জীভে জল চলে এসেছে 🤭।বড়োই গুলো খুবই টসটসে ও লোভনীয় চাটনি বানিয়েছেন অসাধারণ। দেখেই খেতে মন চাচ্ছে। চাটনি রেসিপিটা দিয়েন আমাকে।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।

কাঁচা বরই দিয়ে আপনি দেখছি অনেক সুন্দরভাবে চাটনি তৈরি করেছেন ।যেটি দেখে জিভে জল চলে আসলো। এমন ধরনের রেসিপি খেতে আমার অনেক ভালো লাগে ।ধন্যবাদ আপু লবণীয় রেসিপি শেয়ার করার জন্য।