বগুড়ার বিখ্যাত আলু ঘাটি রেসিপি 🥘🥘

in hive-129948 •  9 months ago 

"হ্যালো",

আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।

সবাইকে আমার নতুন একটি রেসিপি ব্লগে স্বাগতম। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমাদের বগুড়ার বিখ্যাত রেসিপি সেটি হচ্ছে আলু ঘাটি।এটা মাছ, ডিম কিংবা মাংস দিয়ে রান্না করা যায়। আজ আমি রান্না করেছি তেলাপিয়া মাছ দিয়ে। গতকাল বাসায় ফিরেছি বিকেল বেলা। বাসা পরিষ্কার করতে করতে অনেকটা রাত হয়ে গিয়েছিল। কোনো মতো বাহির থেকে খাবার খেয়ে এসেছিলাম।সকালে ঘুম থেকে উঠে পড়ে গেলাম বিপদে। কারণ আমার মাথাতেই ছিল না যে বাসায় কোনো বাজার নেই। যাইহোক ফ্রিজ থেকে কিছু তেলাপিয়া মাছ পেলাম এবং বাসায় আলু ছিল। ভাবলাম এটা দিয়েই মজাদার আলু ঘাটি বানিয়ে ফেলি।তবে রেসিপিটা খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছিল।তো চলুন বন্ধুরা রেসিপিটা শুরু করি। আশা করছি ভাল লাগবে।

20240511_134138-01.jpeg

20240511_134144-01.jpeg

5ShzsKnKF7vppGeV6VN3m3GSDcLoRruAhMmifZtFSDkYScURvgxL6oNy61wWHmiRpQ4L5wPzJuR91tVZXgqZiEey4gp8T9nQDN7VwhnZbve22Yiqdt9Enz1un5SJtbZ8ZEWa9X9PzccJ9v7NM5pXzQzS.png

উপকরনসমূহঃ
সেদ্ধ আলু
তেলাপিয়া মাছ
পেঁয়াজ কুচি
কাঁচামরিচ ফালি
আদা-রসুন বাটা
জিরা-ধনিয়ার গুঁড়া
হলুদ গুঁড়া
মরিচের গুঁড়া
গরম মসলা
পাঁচফোড়ন
লবণ
তেল

PhotoCollage_1715415367459-01.jpeg

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPzLnvAw5nMkNBFxuembpsrfoPHRriZnzMJQp8Qzj3X11VtPjixscvmGWKnJuc...duNUBbDMSD5eaT1gkLQbwQnG77AGd1LEKhBeYPmknYc5G7EAsD9MyHnhVMNoj42rtBsuut2ztckkDfR5smr7P6XDxqKELUHmdnzZfM74oKoD8VhVakr9AzdeSz.png

ধাপ-১

প্রথমে আলুগুলো সেদ্ধ করে নিয়ে খোসা ছাড়িয়ে সেদ্ধ আলুগুলো হাত দিয়ে আধা ভাঙ্গা করে নিয়েছি।

20240511_121629-01.jpeg

ধাপ-২

এবার চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে কড়াইয়ে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে তেল গরম হয়ে গেলে দিয়েছি পাঁচফোড়ন এবং গরম মসলার ফোড়ন। এবার ফোড়ন নেড়েচেড়ে পেঁয়াজ কুচি এবং কাঁচামরিচ ফালি দিয়ে হালকা বাদামি করে ভেজে নিয়েছি।

PhotoCollage_1715415422208-01.jpeg

ধাপ-৩

এবার সকল গুঁড়া মসলা এবং বাটা মশলা দিয়ে হালকা নেড়েচেড়ে সামান্য পানি দিয়ে ভালোভাবে মসলাটা কিছুক্ষণ কষিয়ে নিতে হবে।

PhotoCollage_1715415448640-01.jpeg

ধাপ-৪

মসলা কষানো হয়ে গেলে মাছগুলো দিয়ে নেড়েচেড়ে মসলার সঙ্গে মিশিয়ে রান্না করে নিতে হবে। মাছগুলো ভালোভাবে রান্না করা হয়ে গেলে ভাজনির সাহায্যে মাছগুলো একদম ভেঙে নিতে হবে।

PhotoCollage_1715415506140-01.jpeg

ধাপ-৫

এবার ভেঙে রাখা আলুগুলো দিয়ে সকল উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে রান্না করে নিয়েছি।

PhotoCollage_1715415531409-01.jpeg

ধাপ-৬

ভালোভাবে কষানো হয়ে গেলে পরিমাণ মতো গরম পানি দিয়ে আরো ১৫ মিনিটের মত কষিয়ে নিয়েছি।

PhotoCollage_1715415553761-01.jpeg

ধাপ-৭

একবার পানি দিয়ে কষানো হয়ে গেলে এবার রান্নার জন্য আবারো গরম পানি দিয়ে তরকারি ফুটে উঠলেই নামিয়ে নিতে হবে।নামানোর সময় আপনারা চাইলে ভাজা জিরার গুঁড়া ব্যবহার করতে পারেন।

PhotoCollage_1715415582848-01.jpeg

রেসিপির ফাইনাল লুকঃ

20240511_134144-01.jpeg

20240511_134138-01.jpeg

রেসিপির ভিডিও টি উপভোগ করতে নিচে ক্লিক করুন। 🙏

তো বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের রেসিপি। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আর যারা এভাবে কখনো রান্না করেননি অবশ্যই একবার রান্না করে খেয়ে দেখবেন। আশা করছি আপনারা এটা পছন্দ করবেন। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন রেসিপি বা অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।

ধন্যবাদ সবাইকে।

24QmLBi2hi5sxeF4rfhXesN4Z3rEWTikWPFADtR6zyMx1EmYRYsQvFLAH72WL1voB5Qv1bAb8AZSXixgFjhiMWAnz2UA9cMfriUVJ7ctL7...nSLVWX5o43xBXmLDdwhihbXiBhaPqShV2SFRHcKYd8CXKMs5RdPFoVngFzUPZy735MKSBrn82U6bCmY9F8MzT3ucNgZ2hGFcSdZg7fSmWifdcnibPP7TB2AbsL.png

rd3GVFgaNqfa5weVZtxxbjKtDyTEHjfxPPPJvmPbgZ2G7pL6CvtSE5hy2br8XMSLKQjggTDT9dnZnYJupZM3bE9EMptuNvwQ2hwzoB25vf...UfGWJsmL5WHRq3WCUtTYe3KuZwiwVWXjmcT4nR7Sp38QJcEKsECc5HkaDsrUqeJnKLKD88mQATt9SKpEEaMFtxZgahKHjxRb3MydeP5LoDjkQnmc2YmxygubZF.gif

Xaey6XUsuMsULyX7cP1nbTWJzYmPAgo7FUiwufHRk6Jy2gyG1Db2Jf3F8zDR4enXrGJXJVY8zjUpsz8r7ybb4LRV5UxeCYiYK1QPL3cJGf...AYxpdPLKDUL7U8qu4Pikt2pYsm5FijpvHVGxLifJJPzqmZNKMNA2z45a46JW8rG61eode8Q5PXFhQEQKZCgnKP8ynSwFBAExhqvJUM7KDLc3AeqHmeUQyR5QSZ.gif

❤️আমার পরিচয়❤️

আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আলুর এই ঘাটিকে আমরা আলুর ডাল বলে থাকি।আসলে একেক জায়গার একেক নাম হয় রেসিপির। তবে চমৎকার লাগছে দেখতে।খেতেও অনেক সুস্বাদু হয় এই তরকারি টি।আপনি কাঁচা মাছ ব্যাবহার করেছেন রান্নায়।ভেজে রান্না করলে আরো বেশি সুস্বাদু হয় তরকারি টি।রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদেরই সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপিটি ভাগ করে নেয়ার জন্য আমাদের সাথে।

আপু ডাল এবং ঘাটির মধ্যে পার্থক্য আছে।যেটা পাতলা হয় সেটাকে আমার ডাল বলি আর ঘাটি টা একটু ভারী হয়ে থাকে।সব সময় তো ভাজা মাছ দিয়ে খেয়ে থাকেন অবশ্যই একবার কাঁচা মাছ দিয়ে এভাবে রান্না করবেন দেখবেন আরো বেশি ভালো লাগবে। যাইহোক আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে অনেক ভালো লাগলো।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

আমাদের দিকেও বগুড়ার কিছু কিছু মানুষ আছে। যার ফলে আমরাও মাঝে মাঝে বগুড়ার বিখ্যাত আলু ঘাটি রেসিপি খেতে পারি। এটা উত্তর বঙ্গের মানুষ খুব সুন্দর ভাবে বানাতে পারে। তবে আপনার রেসিপি কালার একটু সুন্দর দেখা যায়। ধন্যবাদ।

হ্যাঁ ভাইয়া এটা আমাদের উত্তরবঙ্গের জনপ্রিয় একটি খাবার। আমরা এটা বিভিন্নভাবে রান্না করে থাকি মাছ, মাংস কিংবা ডিম দিয়ে। যাইহোক আপনি বগুড়ার বিখ্যাত আলু ঘাটি খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।

আলু ঘাটি আমার অনেক পছন্দের তরকারি। বলতে পারেন আলো আমার সব থেকে ভালো লাগে দরকারের মধ্যে। আপনি খুবই সুন্দরভাবে বগুড়ার আলু ঘাটি রেসিপিটি আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে শেয়ার করেছেন। আপনার রেসিপিটি দেখতে অনেক লোভনীয়। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।

আপনি চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। আলু ঘাটি রেসিপি রেসিপি খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। তবে সবচেয়ে ডিম দিয়ে এই রেসিপিটা খেতে অনেক বেশি মজা লাগে। রেসিপি খেতে নিশ্চয় অনেক মজা হয়েছিলো। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

একেক জনের পছন্দ একেক রকম ভাইয়া। তবে আমার কাছে মাছ এবং মাংস দিয়ে রান্না করলেই বেশি ভালো লাগে খেতে। সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপনি ঠিক বলেছেন আপু কয়েক দিন বাসায় না থাকলে ফিরে আসলে কাজের শেষ থাকে না। আপনি ফ্রিজ খুলে কিছু তেলাপিয়া মাছ পেয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। তবে আলুর ঘাটি এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিলাম একদিন অবশ্যই তৈরি করবো। ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

এভাবে একবার রান্না করে খেয়ে দেখবেন আপু। আমার বিশ্বাস আপনি এটা বারবার রান্না করবেন।খেতে ভীষণ সুস্বাদু হয়। সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।

অনেক সুন্দর একটি রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। বেশ চমৎকারভাবে রেসিপির কার্যক্রম করে দেখিয়েছেন আপনি। বেশ অনেক অনেক ভালো লাগলো আপনার চমৎকার এ রেসিপি দেখে যেখানে ভিডিওটাও প্রকাশ করেছেন দেখার সুবিধার্থে। সুন্দর একটি ব্লগ শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া।

বগুড়ার বিখ্যাত আলু ঘাটি রেসিপি টি আগেও খেয়েছি ভালোই লাগে। তবে মাছ দিয়ে খাওয়া হয়নি। ধন্যবাদ আপনাকে রেসিপিটি ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য।

এভাবে মাছ দিয়ে রান্না করে খেয়ে দেখবেন আপু আরো ভালো লাগবে।

বগুড়ার বিখ্যাত আলু ঘাটি রেসিপির কথা অনেক শুনেছি, তবে কখনো খাওয়া হয়নি আপু। তাই আপনার তৈরি আলু ঘাটি রেসিপি দেখে উপলব্ধি করতে পারছি খেতে খুবই মজার হয়েছিল। আপু খুব সুন্দর করে আলু ঘাটি রেসিপির প্রতিটি ধাপ উপস্থাপনের পাশাপাশি ভিডিওগ্রাফি শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু, আপনার সুন্দর উপস্থাপনার জন্য।

আমি যেভাবে রান্না করা দেখিয়েছি এভাবে ভাবিকে রান্না করতে বলবেন ভাইয়া। এটা খেতে খুবই মজাদার হয়। আমার বিশ্বাস আপনার এটা পছন্দ হবে।সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

গ্রাম থেকে বাসায় ফিরেছেন তাহলে। আলু ঘাটি কখনো রান্না করে খাওয়া হয়নি। আপনার কাছ থেকে রান্না করার প্রসেস শিখে নিলাম। আপনার রেসিপি টা দেখে তো খুবই লোভনীয় লাগছে। এভাবে তাহলে একদিন ট্রাই করে দেখব। খেতে নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।

হ্যাঁ আপু এই রেসিপিটা খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

আপনার পোষ্টের মাধ্যমে বগুড়ার বিখ্যাত একটা রেসিপি সম্পর্কে ধারণা লাভ করলাম এর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। আপনার তৈরি করা এই রেসিপিটা দেখে মনে হচ্ছে এটা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। ভাবছি আপনার দেখানো ধাপ অবলম্বন করে একবার এই রেসিপিটা তৈরি করে খাব।

আমাদের এই খাবারটির পুরো দেশ জুড়ে খুবই সুনাম। অবশ্যই একবার তৈরি করে দেখবেন ভাইয়া রেসিপিটি খুবই ভালো লাগবে খেতে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

সত্যি বলতে আমি আজকে সকাল বেলা বাড়িতে আলুর ঘাটি দিয়ে ভাত খেয়েছি। আপনি দেখছি বগুড়ার বিখ্যাত আলু ঘাটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার তৈরি রেসিপি টি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আপনি খুবই সুন্দর করে আলু ঘাটি রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন।তবে, আমাদের রংপুর জেলার মধ্যে ও এই আলু ঘাটি রেসিপি অনেক বেশি প্রচলিত।

আপনাদের রংপুর জেলাতেও এই আলু ঘাটি প্রচলিত জেনে বেশ ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।

আলু ঘাঁটি রেসিপি কখনো খাওয়া হয়ে ওঠেনি। তবে আপনি যেহেতু বলছেন আলু ঘাটি রেসিপি বগুড়ার বিখ্যাত একটি রেসিপি, তার মানে স্পষ্ট যে এটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো রেসিপি হবে। আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে এটি অনেক বেশি টেস্টি হয়েছিল। একদম লোভনীয়ভাবে তৈরি করেছেন আপনি। সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করার প্রক্রিয়া শিখিয়ে দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।

অবশ্যই ভাইয়া এটি নিঃসন্দেহে খুবই সুস্বাদু একটি খাবার।একবার হলেও খেয়ে দেখবেন। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

বগুড়ায় আমার ফুফির বাসা আছে আপু এবার বাসায় ঘুরতে গেলে এই রেসিপিটা তৈরি করতে বলব ফুপিকে।

খুব সুস্বাদু একটি রেসিপি নিয়ে উপস্থিত হলেন আপনি। যেহেতু আপনি আলু দিয়ে আলু ঘাটি রেসিপি তৈরি করে নিলেন। দেখে জিভে জল চলে আসলো নিশ্চয় খেতে খুবই সুস্বাদু হবে। মাঝে মধ্যে এমন হয় যে ফ্রিজে কিছুই থাকেনা। যাক অবশেষে আপনি কম আইটেমের মধ্যে অনেক সুস্বাদু একটি রেসিপি তৈরি করে নিলেন। আপনার মাধ্যমে বগুডার বিখ্যাত আলু ঘাটি রেসিপি দেখতে পেলাম। একদিন এভাবে তৈরি করে খেয়ে নিতে হবে।

হ্যাঁ আপু আমি অল্পের মধ্যে দিয়ে মজাদার রেসিপি তৈরি করেছি।এই রেসিপিটি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

প্রতিবেশীর সুবাদে একবার এই রেসিপিটি গিয়েছিলাম। খুবই মজাদার একটি খাবার।রেসিপিটি জানা ছিল না আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু রেসিপিটি দেখে সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।

বগুড়ার একটি ভীষণ বিখ্যাত খাবার এই আলুঘাটি। ছোট ছোট আলু দিয়ে মজাদার খাবারটি তৈরি করা হয়। আসলে এই রান্নাতে যে আলু ব্যবহার করা হয় সেটার স্বাদ ই রান্নার আসল মজা। আপনি তেলাপিয়া মাছ দিয়ে বিখ্যাত সেই আলুর ঘাঁটি রান্না করেছেন। দেখতে তো ভীষণ ই লোভনীয় হয়েছে।

ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য। এই রেসিপিটি যে আলু দিয়েই রান্না করা হোক না কেন খেতে খুবই মজার হয়।

আলুর ঘাঁটি খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে ।আমি নিজেও আলুর ঘাঁটি খেতে ভীষণ পছন্দ করি। আলুর ঘাঁটি খেতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমার খুবই পছন্দ। রেসিপিটি দেখতে অসাধারণ হয়েছে। খুবই আকর্ষণীয় একটা কালার হয়েছে।ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

এই রেসিপিটি আপনার পছন্দ জেনে ভালো লাগলো আপু। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।

দেখে তো দারুণ স্বাদের মনে হচ্ছে, একদিন দাওয়াত নিতে হবে ভাবি স্বাদের এই রেসিপির স্বাদ চেক করার জন্য, হি হি হি।

অবশ্যই ভাইয়া সময় করে একদিন চলে আসবেন। এই মজার রেসিপি টা রান্না করে খাওয়াবো।

আপু আলু দিয়ে যে এমন মজাদার রেসিপি তৈরি করা যায় আগে জানা ছিল না। আলুর তৈরি যে কোন রেসিপি খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। এই রেসিপি কখনো খাওয়া হয়নি আর এর নামও শোনা হয়নি। একদিন অবশ্যই বাসায় তৈরি করার চেষ্টা করব। আমার তো আপনার রেসিপি দেখেই খুব খেতে ইচ্ছে করছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার ও ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

আলু দিয়ে এই রেসিপিটা খেতেও খুবই মজার হয় আপু। যদি কখনো সময় হয় বাসায় বানিয়ে খেয়ে দেখবেন ভালো লাগবে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

যেহেতু অনেক দিন গ্রামের বাসায় ছিলেন তাই বাসায় ফিরে কাজের চাপ অনেক হয়েছে। হঠাৎ করে ফেরার পর কাজ অনেক বেড়ে যায়। ফ্রিজে তেলাপিয়া মাছ ছিল বলে এই সুস্বাদু খাবারটি তৈরি করতে পেরেছিলেন। বগুড়ার বিখ্যাত আলু ঘাটি রেসিপি দেখে আমিও শেখার চেষ্টা করেছি আপু। এভাবে একদিন রান্না করে খাবো।

হ্যাঁ ভাইয়া এভাবে মাছ দিয়ে আলু ঘাটি রান্না করলে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। একবার হলেও বাসায় বানিয়ে খাবেন।

বাহ্ বাসায় বাজার ছিলনা আর তাই ফ্রিজে থাকা কয়েক পিস মাছ ও সাথে আলু দিয়ে বুদ্ধি করে অনেক চমৎকার একটি রেসিপি করে নিলেন। আর কি সাথে লাগে বলুনতো আপু। কখনও এই রেসিপিটি খাওয়া হয়নি।আপনার আজকের রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে অনেক স্বাদ হয়েছে। আর খুবি সহজভাবে রেসিপিটি রান্না করে আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। আমিও খুব সহজে এই রেসিপিটি বানিয়ে নিতে পারবো। ধন্যবাদ আপু। এত মজাদার রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

কিছুদিন বাসায় না থাকলে বাসার অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যায়। আর ফিরে আসার পর বাসা পরিষ্কার করতে করতে অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। যেহেতু অনেকদিন বাসায় ছিলেন না তাই বাজার করাও হয়নি। তেলাপিয়া মাছ দিয়ে এভাবে কখনো আলু রান্না করে খাওয়া হয়নি। একদিন খেয়ে দেখতে হবে আপু।

আর বলবেন না আপু বাসা পরিষ্কার করতে করতে আমার অবস্থা নাজেহাল হয়ে গিয়েছিল। যাক অবশেষে মজাদার রেসিপিটা রান্না করে খাওয়ার পর সব কষ্টই ভুলে গিয়েছিলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।

এক জায়গা থেকে অনেকদিন পরে বাড়িতে আসলে তখন খাওয়া দাওয়া নিয়ে বিপদে পড়তে হয় । রাতের বেলা তো ভালোই বাইরে খেয়ে কাটিয়ে দিয়েছেন । কিন্তু সকালে যে রান্না করতে হবে সেটা তো দেখছি আপনার মাথাতেই ছিল না । তারপরও মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করে ফেললেন । আপু আমার একটা প্রশ্ন আসছে এই খাবার এরকম মাছ ভেঙে রান্না করলে কাঁটা লাগে না ? খাবারটি দেখে ভালো লাগছে কিন্তু কাটার ভয়ও লাগছে । রান্না করতে মন চাইছে যদি বলতেন কাটা কি করবো ।

এক দুবেলা বাহিরে খাওয়া যায় আপু কিন্তু তিন বেলা তো আর বাহিরে খাওয়া যায় না।এদিকে ফ্রিজেও কিছু ছিল না দেখলাম কয়েক পিস মাছ আছে। আর বাসায় কোন সবজিও ছিল না। তাইতো রেসিপিটা রান্না করেছিলাম খেতে ভীষণ মজাদার হয়েছিল। এই রান্নাটা বড় মাছ দিয়ে করতে হয় আপু তাহলে কাটার ভয় থাকেনা।আর আমি তেলাপিয়া মাছ দিয়ে করেছি আর তেলাপিয়া মাছে তো কাটা থাকে না। যাইহোক সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।

খুব সুস্বাদু একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছেন আপু। আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজা হয়েছিল।আলুর ঘাটি এই রেসিপিটি আমার অনেক ভালো লাগে। তবে আলুর ঘাটি আমি ডিম দিয়ে বেশি রান্না করে থাকি।ডিম দিয়ে আলুর ঘাঁটি রান্না করলেও অনেক টেস্ট হয়। তবে মাছ দিয়ে কখনো খাওয়া হয়নি।আপনার রেসিপিটি আমি একদিন বাসায় ট্রাই করবো। অনেক ধন্যবাদ আপু লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।

একবার মাছ দিয়ে রান্না করে খেয়ে দেখবেন আপু। আরো বেশি ভালো লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।