সবাইকে আমার খাবারের ফটোগ্রাফি পোস্টে স্বাগতম। আজ আমি আপনাদের সাথে কয়েক প্রকার ভর্তার ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। আজ দুপুরে বাসায় রান্না হয়েছিল করলা ভাজি আর ফুলকপি আলু দিয়ে মাছের ঝোল। কিন্তু দুপুরবেলার ঝোল খাবার খেতে একদমই ভালো লাগছিল না। তারপরও কষ্ট করে অল্প করে খেয়েছিলাম। সন্ধ্যায় রান্নাঘরে ঢুকে ভাবছিলাম কি রান্না করা যায়। মাথায় আসলো কয়েক প্রকার ভর্তা বানিয়ে ফেলি ভর্তা ভাত তৃপ্তি করে খাওয়া যাবে। সেই ভেবে ভর্তা তৈরি করতে লেগে পরলাম। ভর্তার রেসিপি আমরা সবাই জানি তাই ভাবলাম যে ফটোগ্রাফি তো শেয়ার করা যেতেই পারে। সেই থেকেই শেয়ার করা আশা করছি ভাল লাগবে।

ফটোগ্রাফি-১

প্রথমে যে ভর্তার ফটোগ্রাফিটি শেয়ার করছি এটি হচ্ছে শিম ভর্তা। শিম ভর্তা আমার ভীষণ পছন্দের। শিমগুলো আগে সামান্য একটু লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে নিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিয়েছি। এরপর চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে খানিকটা পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি ভেজে নিয়ে তার মধ্যে ব্লেন্ড করা শিমের পেস্ট দিয়ে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিয়ে পরিমাণ মতো লবণ এবং সামান্য একটু হলুদ গুঁড়া দিয়ে ভাজতে হবে। যখন অনেকটা আঁঠালো হয়ে আসবে তখন নামিয়ে নিয়েছি। এভাবে শিম ভর্তা করলে খেতে ভীষণ মজার হয়।অবশ্যই একবার বাসায় বানিয়ে খেয়ে দেখবেন।

ফটোগ্রাফি-২

আমার মনে হয় ডিম ভর্তা শুধু আমার নয় প্রত্যেকেরই পছন্দের খাবার।ডিম ভর্তা শুকনা মরিচ দিয়ে খেতে বেশি ভালো লাগে। আমার বাসায় শুকনা মরিচ ছিল না তাই কাঁচা মরিচ দিয়ে ভর্তা বানিয়েছিলাম। সত্যি কথা বলতে অনেক দিন পর ডিম ভর্তা খেলাম। বেশ ভালো লাগছিল গরম ভাত দিয়ে খেতে। আপনারা কে কে ডিম ভর্তা খেতে পছন্দ করেন জানাবেন।

ফটোগ্রাফি-৩

এবার যে ভর্তার ফটোগ্রাফি শেয়ার করছি এটি হচ্ছে বেগুন ভর্তা। বেগুন পুড়িয়ে ভর্তা খেতে বেশ ভালো লাগে আমার কাছে। সামান্য একটু আদা দিয়ে বেগুন ভর্তাটা করেছিলাম ভীষণ মজার হয়েছিল খেতে। আপনারা যারা বেগুন ভর্তা খেতে পছন্দ করেন অল্প পরিমাণে আদা দিয়ে বেগুন ভর্তা করে দেখবেন খেয়ে। খেতে বেশ ভালো লাগে আশা করছি আপনাদের পছন্দ হবে।

ফটোগ্রাফি-৪

শীতকালে গরম গরম ভাত আর নতুন আলু ভর্তা আহা খেতে যা মজার সেটা বলে বোঝানোর মত না। তাই অন্যান্য ভর্তার সাথে আমি আলু ভর্তা ও বানিয়েছিলাম কাঁচা মরিচ ভেজে দিয়ে ভর্তাটা বানিয়েছি।আগেই বলেছি আমার বাসায় শুকনা মরিচ ছিল না তাই সব ভর্তা আমি কাঁচামরিচ দিয়েই করেছি।আলু ভর্তা খেতেও বেশ মজার হয়েছিল।

ফটোগ্রাফি-৫

এত এত প্রকার ভর্তা থাকবে আর সালাদ থাকবে না সেটা তো হতেই পারে না। শীতকালে যে কোনো তরকারির সাথে কমন হচ্ছে এই মিক্সড সালাদ। শসা, টমেটো, কাঁচা মরিচ পেঁয়াজ কুচি এবং সরিষার তেল আর লবণ দিয়ে এই মিক্সড সালাদ থাকলে আর কোনো কিছুর দরকার পড়ে না। আর গরম গরম ভর্তা ভাতের সাথে এই সালাদের কম্বিনেশন অসাধারণ।

তো যাই হোক এই ছিল আমার রাতের খাবারের আয়োজন। বেশ কয়েক প্রকার ভর্তা এবং মিক্সড সালাদ। আমি ভর্তা বানিয়ে সাথে সাথেই ভাত খেয়ে ফেলেছি।বিশ্বাস করেন অনেকদিন পর তৃপ্তি সহকারে খাবার খেলাম। বাসার অন্যান্যরা খেয়েও বলেছে বেশ ভালো হয়েছে। আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে জানাবেন। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।