সবাইকে আমার নতুন একটি পোস্টে স্বাগতম। শীতকাল আসলেই পিঠা খাওয়ার ধুম পরে যায়।আমার তো বিভিন্ন ধরনের পিঠা খেতে ভিষন ভালো লাগে।শীতকাল শুরু হলেই নানু বাড়িতে যেতাম নানুর হাতে মজার মজার পিঠা খেতে। এখন সেই দিনগুলো ভিষন মিস করি।যদিও এখনো নানু বাড়ি থেকে ডাকা হয়। কিন্তু সময় সুযোগ হয়ে উঠে না।এখনো মনে পড়ে যখন নানু বাড়িতে যেতাম শীতকালে সারারাত গল্প করে কেবল মাত্র একটু ঘুমিয়েছি এর মধ্যেই নানো আমাদেরকে ডাকতে থাকে যে গরম গরম পিঠা বানানো হয়েছে যেন আমরা উঠে খাই। এবার কিছুতেই তো ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছে করে না তখন নানু আমাদের সামনে পিঠা নিয়ে চলে আসে।

আর আমরা সবাই খুব মজা করে পিঠা খেয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়ি। আমার নানু অনেক মজা করে তেলের পিঠা বানান।সাথে ভাপা পিঠা, দুধ পিঠা, পুলি পিঠা আরো কত রকমের পিঠা থাকে। আমরা সারা বছর যতই পিঠাপুলি খাই না কেন শীতকালে পিঠাপুলির যে সাধ সারা বছর সেই স্বাদ পাওয়া যায় না। আর শীতকালের অরিজিনাল খেঁজুরের গুড় দিয়ে পিঠাপুলি খাওয়ার মজাই আলাদা। শীতকালে পিঠাপুলি খাওয়ার জন্য কতশত আয়োজন শুরু হয় গ্রাম বাংলায়। এটা বাংলার একটা ঐতিহ্য যেটা যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে।

যাইহোক অনেক কথাই তো বললাম। আমি কিছুদিন আগে বাসায় চিতই পিঠা বানিয়ে ছিলাম মাংস দিয়ে খাওয়ার জন্য। দেশি মুরগির মাংসের ঝাল ঝাল ভুনা এবং চিতই পিঠা খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। এছাড়া বেশ কিছুদিন ধরে দেখছিলাম সোশ্যাল মিডিয়ায় ডিম চিতই পিঠার রেসিপি। চিতই পিঠা বানাতে বানাতেই ভাবলাম একটা ডিম চিতই পিঠা অন্তত বানিয়ে দেখি খেতে কেমন হয়। বিশ্বাস করেন এটা খেতে খুবই মজার আমার তো ভীষণ ভালো লেগেছে।

সন্ধ্যার নাস্তা হিসেবে বানিয়েছিলাম। বাসার সবাই খুব মজা করে খেয়েছে। যদিও একটু ভর্তা হলে বেশ ভালো হতো কিন্তু হাতে খুব একটা সময় ছিল না তাই আর ভর্তা বানানো হয়নি। শীতকালে অনেক বেশি পিঠাপুলি খাওয়া হয় এজন্য আমার শীতকাল খুব বেশি পছন্দের ঋতু। আপনারা আমার মতো কে কে পিঠা খেতে পছন্দ করেন অবশ্যই জানাবেন। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।