রেসিপিঃ ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি মিষ্টি

in hive-129948 •  2 months ago  (edited)

"হ্যালো,"

আমার বাংলা ব্লগ বাসি,সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক সেই প্রত্যাশাই করছি।

সবাইকে আমার নতুন একটি রেসিপি ব্লগে স্বাগতম। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব কিভাবে আমি খুব সহজে ঘরোয়া পদ্ধতিতে মিষ্টি তৈরি করেছি। আমি এর আগেও বেশ কয়েকবার বাসায় মিষ্টি বানিয়েছি। বলতে গেলে মাঝেমধ্যেই বাসায় মিষ্টি বানানো হয়। কারণ মিষ্টি আমার ছেলের খুবই পছন্দের একটা খাবার। গত কয়েকদিন ধরে বাবু বেশ মিষ্টি পছন্দ করছে। আমাদের এখানের বাজারের যে মিষ্টিগুলো পাওয়া যায় সেগুলো বাবু খুব একটা পছন্দ করে না। তাই আমাদের খামারে যে গরু আছে সেখান থেকে দুধ দোহন করে আমি ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই মিষ্টিগুলো তৈরি করেছিলাম। আমি কেমন বানিয়েছিলাম জানিনা তবে সবাই খাওয়ার পর বেশ প্রশংসা করেছে। এটাই আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।আশা করছি এই মিষ্টি রেসিপি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে। তো চলুন বন্ধুরা রেসিপিটা শুরু করা যাক।

1000000224.jpg

1000000225.jpg

1000000223.jpg

1000000121.png

উপকরণ
দুধ
লেবু
চিনি
ময়দা
সাদা এলাচ

1000000215.jpg

1000000122.png

ধাপ-১

প্রথমে আমি দুই লিটার দুধ পাতিলে করে গরম করে নিয়েছি।আপনারা আপনাদের প্রয়োজন মতো দুধ নিতে পারেন।

1000000222.jpg

ধাপ-২

এবার একটি লেবু কেটে নিয়ে সব লেবুর রস দিয়ে দিয়েছি দুধের মধ্যে।

1000000220.jpg

ধাপ-৩

দুধের ছানা কেটে গেলে এবার আমি একটা ভালো পরিষ্কার কাপড়ে নিয়ে ভালোভাবে পানি ঝড়িয়ে নিয়েছি।

1000000219.jpg

ধাপ-৪

কাপড় থেকে ছানাগুলো তুলে একটা বড় প্লেটে নিয়ে ভালোভাবে ছানাগুলো মোথে নিয়েছি।

1000000218.jpg

ধাপ-৫

এবার সামান্য পরিমাণে কিছুটা ময়দা এবং পরিমাণমতো চিনি দিয়ে ছানার সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে অনেকটা সময় নিয়ে সব উপকরণ একসাথে মিশিয়ে নিয়েছি।

1000000217.jpg

ধাপ-৬

এবার আন্দাজ মতো ছোট ছোট করে গোল গোল করে মিষ্টিগুলো বানিয়ে নিয়েছি।

1000000216.jpg

ধাপ-৭

চুলায় একটি পাতিল বসিয়ে পাতিলে দুই কাপ পরিমাণ চিনি এবং দুই কাপ পরিমাণে পানি দিয়ে চুলায় বসিয়ে পানিটা ভালোভাবে ফুটিয়ে নিয়েছি।

1000000215.jpg

** ধাপ-৮

ফুটে ওঠা পানি এবং চিনির মিশ্রণের মধ্যে আগে থেকে বানিয়ে রাখা মিষ্টিগুলো দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ৩০ মিনিটের মত মিডিয়াম লো আঁচে রান্না করে নিলেই তৈরি এই মজাদার মিষ্টি রেসিপি।

1000000214.jpg

❤️পরিবেশন❤️

এবার একটি বাটিতে করে পরিবারের সবার সামনে পরিবেশন করছি।।।

1000000224.jpg

1000000225.jpg

1000000223.jpg

তো বন্ধুরা এই আজকের রেসিপি। সত্যি কথা বলতে এই মিষ্টিগুলো খেতে এতই মজার হয়েছিল যে আমি এত কষ্ট করে বানানোর পরেও একটিও ভাগে পাইনি। সবাই খেয়ে শেষ করে ফেলেছিল। বিশেষ করে আমার বাবু তো ভীষণ পছন্দ করে মিষ্টি খেতে। সেই বেশির ভাগ মিষ্টি খেয়ে ফেলেছিল।তো যাইহোক বন্ধুরা আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন রেসিপি বা অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ।

1000000117.png

1000000118.png

1000000119.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আসলে সব দোকানের মিষ্টি ভালো হয় না সেজন্য আপনার ছেলে হয়তো পছন্দ করে না।জেনে ভালো লাগলো আপনার নিজের গরুর দুধ দিয়ে এতো সুন্দর আকর্ষণীয় মিষ্টি বানিয়েছেন। ভীষণ সুন্দর হয়েছে দেখতে মিষ্টি গুলো।দোকানের থেকেও সুন্দর। খেতে অনেক সুমিষ্ট ছিলো তা বোঝা যাচ্ছে আপনার মিষ্টির ফটোগ্রাফি দেখে।ধাপে ধাপে চমৎকার সুন্দর করে মিষ্টি বানানো পদ্ধতি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

হ্যাঁ আপু আমার ছেলে সব দোকানের মিষ্টি খেতে পছন্দ করে না তাই আমি ওকে সবসময় বাসায় মিষ্টি বানিয়ে দেই। ও সেটা খেতেই বেশি পছন্দ করে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

বিগত কয়েকদিন ধরে আমি খুব অসুস্থ। কিন্তু এই অসুস্থতার মাঝে আজ যখন আপনার এত সুন্দর একটা পোস্ট দেখতে পেলাম তখন মনে হচ্ছে এখনই যদি দোকানে গিয়ে কতগুলো রসগোল্লা খেতে পারতাম। যাই হোক আপনি খুব সুন্দর ভাবে এই রসগোল্লা তৈরি রেসিপিটা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।

আপনার সুস্থতা কামনা করছি দাদা।ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

বাজারে কিনে খাওয়ার চেয়ে নিজে হাতে কোন কিছু তৈরি করে খাওয়ার মধ্যে অন্যরকম প্রশান্তি আর ভালোলাগা থাকে। ঠিক তেমনি ভাবে আজকে তৈরি করেছেন মিষ্টি। আশা করি এই মিষ্টি তৈরি করার মধ্যে বেশ আনন্দ পেয়েছেন এবং পরিবারের সদস্যরা ও বেশ প্রশংসা করেছি আপনাকে। খুব ভালো লাগলো এত সুন্দর কার্যক্রম দেখে।

ঠিক বলেছেন আপু যে কোনো খাবার কিনে খাওয়ার থেকে বাসায় তৈরি করে খাওয়ার মাঝে আলাদা প্রশান্তি আছে। আমার তৈরি এই মিষ্টি গুলো খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।

আপু আপনার রেসিপি দেখে লোভ সামলানো মুশকিল। সত্যি আপু নিজের হাতে তৈরি জিনিস এর তুলনা হয় না। আপনি নিজের গাভীর দুধ দিয়ে অনেক সুন্দর মিষ্টি তৈরি করেছেন।আমি ও একদিন অবশ্যই তৈরি করবো।ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আমি যে ধাপগুলো শেয়ার করেছি এভাবে তৈরি করবেন তাহলে একদম পারফেক্ট মিষ্টি তৈরি হবে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

বাসায় কখনো মিষ্টি তৈরি করা হয়নি। আর আপনি এত সুন্দর করে এই মিষ্টি তৈরি করেছেন দেখে ভালো লাগলো। মনে হচ্ছে খেতেও দারুন হয়েছিল। অনেক দক্ষতার সাথে মিষ্টি তৈরি করেছেন আপনি। বেশ ভালো লেগেছে আমার।

মিষ্টিগুলো দেখতে কেমন সুন্দর খেতেও বেশ দারুন হয়েছিল। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।

image.png

ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি মিষ্টি অসাধারণ হয়েছে দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে।কখনো এভাবে তৈরি করা হয়নি। তাই আপনার ধাপগুলো দেখে শিখে নিলাম।

অবশ্যই এভাবে একবার বাসায় মিষ্টি বানিয়ে খেয়ে দেখবেন ভালো লাগবে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

আপু আপনি খুবই সুন্দর ভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে মিষ্টি তৈরি রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনার তৈরি মিষ্টি দেখে আমার তো এখনই খেতে ইচ্ছে করছে। যেহেতু বাড়িতে তৈরি করেছেন তাই খেতে বেশ মজাদার হবে। আপনি যেহেতু মিষ্টি তৈরি করতে পারেন তাহলে আমাদের সবাইকে দাওয়াত দিয়ে খাওয়ানো একদিন। ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে লোভনীয় একটি রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য।

জ্বি ভাইয়া মিষ্টি গুলো খেতে বেশ মজাদার ছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। চলে আসেন ভাইয়া আবারো মিষ্টি তৈরি করে খাওয়াবো।

বাচ্চাদের জন্য মিষ্টি খাওয়া ভালো। আপনার বাবু মিষ্টি পছন্দ করে জেনে ভালো লাগলো। তাছাড়া নিজের বানানো মিষ্টি আরো বেশি স্বাস্থ্যসম্মত হয়। আপনার মিষ্টিগুলো দেখে কেনা মিষ্টি মনে করেছিলাম এত পারফেক্ট হয়েছে। ছানার মিষ্টি আমিও বেশ কয়েকবার বানাতে চেষ্টা করেছি। আমার তেমন একটা হয় না। আপনার মিষ্টি গুলো দেখে আবারো বানানোর ইচ্ছা জেগেছে। খুবই লোভনীয় লাগছে দেখতে।

চেষ্টা করতে করতে দেখবেন একদম পারফেক্ট হয়ে যাবে আপু। আমারও প্রথম প্রথম খুব একটা ভালো হতো না কিন্তু এখন বেশ ভালোভাবেই তৈরি করতে পারি। সুন্দর মন্তব্যটা টি পেয়ে ভালো লাগলো আপু।

নিজেদের খামারের গরুর দুধ দিয়ে তৈরি করেছেন খেতে নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছে। বাসায় এত পারফেক্টলি মিষ্টি তৈরি করা যায় এটা জানা ছিল না। আপনার রেসিপিটা দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে। একদিন ট্রাই করে দেখব এই মিষ্টির রেসিপিটা। আপনাকে ধন্যবাদ আপু এত সুস্বাদু একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

জ্বি আপু মিষ্টি গুলো খেতে খুবই সুস্বাদু ছিল। অবশ্যই একবার বাসায় বানিয়ে খাবেন আপু। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

আপু বাজারের মিষ্টিগুলো আপনার বাবুর মত অনেকে খেতে পছন্দ করে না। তবে আপনি দেখতেছি ঘরোয়া পদ্ধতিতে খুব সুন্দর মিষ্টি বানিয়েছেন। আসলে বাড়িতে মিষ্টি তৈরি করে খেলে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো খেতে বেশ ভালো লাগে। তবে আপনার মিষ্টিগুলো দেখে আমার নিজেরও খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। ঘরোয়া পদ্ধতিতে মিষ্টি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।

জ্বী আপু ঘরে তৈরি যে কোন খাবারই স্বাস্থ্যসম্মত। আমি সবসময় চেষ্টা করি আমার ছেলেকে নিজের হাতে খাবার বানিয়ে খাওয়ানোর। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু মিষ্টির রেসিপিটি দেখে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

বাহ দারুন একটি রেসিপি করলেন। বাসায় যদি এমন মিষ্টি তৈরী করা যায় তাহলে তো দোকান থেকে কিনে আনার প্রয়োজন পড়ে না। মিষ্টি বানানোর পদ্ধতিটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।