ছেলের খেলাধুলার মুহূর্ত❤️

in hive-129948 •  2 months ago 

"হ্যালো",

আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।

সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। নিজের সন্তানকে চোখের সামনে বেড়ে ওঠতে দেখার মত প্রশান্তি অন্য কিছুতে নেই। দেখতে দেখতে ছেলের আমার তিনটে বছর পার হয়ে গেল। সে এখন অনেক সুন্দর করে কথা বলে আমার মান অভিমান রাগ বুঝতে পারে।রেগে গেলে কিভাবে আদর করে রাগ ভাঙাতে হয় সেটাও জানে। এই সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমি খুবই উপভোগ করি। তবে একটি করে দিন কেটে গেলে মনে হয় জীবন থেকে সুন্দর মুহূর্তগুলো ফুরিয়ে যাচ্ছে। কিছুদিন আগে আমাদের এখানে স্থানীয় এক প্রাইভেট কেজি স্কুলে গিয়েছিলাম।

1000003817.jpg

সেখানে মূলত গিয়েছিলাম বাবুর বাবার সাথে। সেখানকার একটা সংগঠনের সাথে উনি যুক্ত হয়েছেন। যেখান থেকে দরিদ্র এবং মানসিক রোগীদের নিয়ে কাজ করা হয়। উনার এ ধরনের কাজে আমি ওনাকে সব সময় উৎসাহ দেই। যাইহোক সেই উদ্যোগে এক দরিদ্র এবং অসুস্থ বয়স্ক লোক সাহায্য করার উদ্যোগ নিয়েছিল সবাই আর সেই লোকটা অনেক ভালো ম্যাজিক দেখা তো। স্কুলের বাচ্চারা সবাই বানাইছিল ম্যাজিক থেকে বলে। যেহেতু বাবুর বাবা ওখানকার একজন সদস্য তাই আমরাও সেখানে উপস্থিত ছিলাম। প্রথমে গিয়ে আমরা ম্যাজিক শো দেখেছিলাম।

1000003821.jpg

1000003825.jpg

1000003820.jpg

1000003826.jpg

1000003819.jpg

এরপর বাবুর বাবা এবং সংগঠনের অন্যান্য সদস্য সবাই মিলে মিটিং করছিল। আর বাবু ও বাহিরে সব বাচ্চাদের সাথে খেলাধুলা করছিল। স্কুলে আমার ভাইয়ের ছেলেরাও পড়ে তাই বাবুর কোনো অসুবিধা হয়নি সেখানে। খুব সহজেই সবার সাথে মিশে গিয়েছিল।স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আর ছোট একটি ছেলে আছে নাম হুজাইফা ওর সঙ্গে বেশ বন্ধুত্ব হয়েছে। ওরা অনেক সুন্দর করে বল খেলছিল। আমার ছেলেটা ভীষণ দুষ্ট মাঝে মাঝে বড়দের সাথে বেশ দুষ্টুমি করছিল। ও স্কুলে গিয়ে এত পরিমানে খুশি হয়েছিল যে ওখান থেকে আসতে চাইছিল না।

আপনারা হয়তো ফটোগ্রাফি গুলোতে লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন সে কত আনন্দ পেয়েছে সেখানে গিয়ে। সন্তানের এই সুন্দর মুহূর্তগুলো আমরা বাবা-মারা সব সময় উপভোগ করি এবং সেগুলো স্মৃতি হিসেবে রেখে দেওয়ার চেষ্টা করি। যাই হোক আজ এখানেই শেষ করছি সবাই আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন ও বড় হয়ে যেন বাবার মত একজন মানবিক গুনে মানুষ হতে পারে। সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

1000000117.png

1000000118.png

1000000119.gif

❤️আমার পরিচয়❤️

আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

আসলে আমাদের সবার উচিত এই ধরনের সংগঠনের সাথে যুক্ত হওয়ার জন্য। আর আপনি যেহেতু আপনার সন্তানকে এমন একটা সুন্দর জায়গায় নিয়ে এসেছেন যেখানে সে এসে কিন্তু দেখে মনে হচ্ছে অনেক খুশি। আসলে সন্তানদের খেলাধুলা দেখতে প্রতিটা মা-বাবার খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

জ্বি দাদা আমাদের সবারই উচিত এ ধরনের সংগঠনের সাথে যুক্ত হওয়া।তাহলে মানুষের অনেক উপকারে আসতে পারবো।আর আমার ছেলে স্কুলে এসে খুবই খুশি হয়েছিল। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

আপনার বাবুর খেলাধুলার মুহূর্তটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। বাচ্চাদের খেলাধুলা দেখতে আমার খুব ভালো লাগে। যারা নিজেরা ছোটবেলার অনেক কিছু মনে করতে পারি এবং সোনালী দিন গুলো ভেসে আসে মনের মধ্যে। অনেক অনেক ভালো লাগলো আপু সুন্দর একটি পোস্ট দেখে।

এটা ঠিক বলেছেন সন্তানের খেলাধুলা যখন দেখি তখন নিজে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায়। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।

শায়ানকে দেখেই বুঝা যাচ্ছে সে কতোটা মজা করেছিলো। সবার সাথে খেলাধুলা করে খুব খুশি হয়েছিল শায়ান। আসলে বাচ্চারা এমন মুহূর্ত গুলোর জন্য সবসময়ই অপেক্ষা করে থাকে। আসলেই দেখতে দেখতে শায়ান বড় হয়ে যাচ্ছে। দোয়া করি বড় হয়ে শায়ান মানুষের মতো মানুষ হোক। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।