সোর্স
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। আসলে আজকে এমন একটা বিষয় নিয়ে লিখতে হবে কখনোই কল্পনাও করিনি। আশেপাশে যেসব কর্মকাণ্ড দেখছি না লিখে থাকতে পারলাম না। বিশেষ করে এখন প্রায় পরিবারেই এই ঘটনাগুলো দেখা যায়। পরকীয়া এটি এমন একটি সামাজিক বা মানসিক ব্যাধি যেটা একটি সংসার কে নষ্ট করে দেয়। এমন অহরহ উদাহরণ আমাদের সামনে আছে। আজ আমি ছোট্ট একটি বাস্তব ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করব।আসলে অন্যকে ঠকাতে গিয়ে আমরা অনেক সময় নিজেরাও ঠকে যায়। কিংবা কাউকে কষ্ট দিলে একটা সময় গিয়ে নিজেকেও সেই একই কষ্ট ভোগ করতে হয়।
সুমি এবং মতিন দুজনের অনেক সুখের সংসার। তাদের সংসারে একটি ছেলে সন্তান আছে।মতিন কাজের জন্য সব সময় বাড়ির বাহিরে থাকে। এ ফাঁকে সুমি প্রায় সময়ই অন্য ছেলেদের সাথে ফোনে কথা বলে। যদিও এ ব্যাপারটা মতিন কখনোই জানতে পারেনি।মতিন সুমিকে খুবই বিশ্বাস করে এবং ভালোবাসে। সুমিও মতিনকে ভালোবাসে কিন্তু কেন জানি ও অন্য ছেলেদের সাথে কথা বলতে পছন্দ করে।কখনো কখনো মতিনের সাথে বেশ খারাপ ব্যবহার করে ফেলে নিজের অজান্তেই। যাইহোক এভাবেই চলছিল তাদের সংসার। হঠাৎ করে সুমি একদিন মতিনের ফোনে একটি মেয়ের ছবি দেখতে পায়। প্রথমের দিকে খুব একটা গায়ে মাখিনি সে।
কিন্তু ধীরে ধীরে মতিনের আচরণের পরিবর্তন হতে থাকে।দিন দিন অনেকটা দেরি করে বাসায় ফিরে। ছুটির দিনগুলোতেও বাহিরে কাটাতে পছন্দ করে মতিন। এই নিয়ে সুমির মনে অনেকটাই সন্দেহ বাসা বাধে।সুমি অনেক চালাক একটি মেয়ে। সে মতিনের ফোনটা অটো রেকর্ড করে রাখে। এবং সে জানতে পারে মতিন একটি মেয়ের সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছে। এবার সুমির মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পরে।কারণ সে তো জানে যে সে যে ছেলেদের সাথে কথা বলে তারা কখনোই তাকে বিয়ে করবে না। মতিন ছাড়া তার কোনো উপায় নেই।
এবার সে মতিন এর সাথে সরাসরি কথা বলে সেই মেয়ের সম্পর্কে। মতিন কোনোভাবেই সেই মেয়েকে ছাড়তে রাজি নয়। একটা সময় এই কথাগুলো পারিবারিকভাবে জানাজানি হয়ে যায়। অনেক কষ্টে মতিনকে মানানো হয় যেন সে তার বউ সুমি এবং সন্তান নিয়ে সুখের সংসার করে। মতিন অবশেষে সবার কথা মেনে নেয় এবং সুমিও তার ভুলগুলো বুঝতে পারে। যে আসলে আমি অন্যের সংসার ভাঙ্গার চেষ্টা করেছি তাই হয়তো আমার সংসারে আমার অশান্তি শুরু হয়েছিল।তারা এখন সুখে শান্তিতে সংসার করছে।
আমি মনে করি শুধু মতিন এবং সুমি না ওদের মত অনেক দম্পতি আছে এমন। যারা এই অপ্রীতিকর ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে নিজের সুখের সংসার নিমিষেই নষ্ট করে ফেলে। আর যার প্রভাব পড়ে সন্তানের ওপর। তাই এই কাজগুলো থেকে আমাদের অবশ্যই বিরত থাকা উচিত। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
# ❤️আমার পরিচয়❤️আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কথায় আছে, ওপরদিকে থুতু ছুড়লে নিজের গায়ে এসে পড়ে। এখানেও তাই। যেন বুমেরাং গল্প কাহিনী। এই সমস্ত ঘটনা আখচার দেখা যায়। কে যে কখন কার পেছনে কি করে বেড়ায় সে নিজেও জানেনা। আসলে নিজেদের গণ্ডি গুলো না চিনতে জানলে এরকম অনেক সমস্যাই ঘটবে জীবনে। তবে যে যার নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে এই আনন্দের। নইলে এইভাবে চলতে থাকলে বাচ্চাটা অবহেলিত হতো। সেটা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একদম ঠিক বলেছেন আপু এই ঘটনাগুলোতে বাচ্চারাই বেশি কষ্ট পায়। অবশেষে সে তার ভুল বুঝতে পেরেছে এটাই অনেক। ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বতর্মান সময়ে এটার প্রবণতা অনেক বেশি। সম্পর্কে তৃতীয় পক্ষ চলে আসলে সেখানে আগের সম্পর্ক টা ঠিক রাখা অনেক কঠিন হয়ে যায়। আর এইরকম অবস্থায় সবচাইতে বেশি প্রভাব পড়ে পরিবারের সদস্যদের উপর বিশেষ করে ছোট শিশুদের উপর।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বর্তমান সময়ে এটার প্রবণতা অনেক বেশি আর যার ফলাফল খুবই খারাপ। আর সবকিছুর প্রভাব পড়ে সন্তানদের ওপর। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একজনের স্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও অন্য ছেলেদের সাথে কথা বলাটা সুমির একেবারেই উচিত হয়নি। তাছাড়া মতিনেরও অন্য একটি মেয়ের সাথে সম্পর্কে জড়ানো উচিত হয়নি। তারা দু'জনেই ভুল করেছে। আসলে পরকীয়া প্রেম এখন প্রতিটি সমাজের ভাইরাস। যাইহোক শেষ পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক হয়েছে এবং মতিন ও সুমি সুখের সংসার করছে, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit