চিন্তা করুন, আপনার ভীষণ বিপদের সময়ে, ঘোরতর সংকটে আপনার সবচেয়ে প্রিয় মানুষগুলো যদি আপনাকে ছেড়ে চলে যায়, কেমন লাগবে আপনার? এজন্যই দুনিয়ার সম্পর্কগুলোতে এমনভাবে জড়াতে নেই যা আখিরাতকে ভুলিয়ে দেয়। দুনিয়াবি সম্পর্কের মোহে যদি আপনি আখিরাতকে কম গুরুত্ব দেন, তাহলে আপনার বিপদের দিন যখন এই সম্পর্ক গুলো ধীরে ধীরে দূরে সরে যাবে, তখন দুনিয়াটাই আপনার কাছে বিস্বাদ লাগবে।
আপনার যখন বড় কোনো রোগ হবে, চারপাশ থেকে কেবল যখন হতাশা আর নিরাশার বাণী শুনতে পাবেন, যখন শূন্যতা ভর করবে আপনার দেহমনে, তখন আইয়ুব আলাইহিস সালামের ঘটনা মনে করবেন। মরনব্যাধি শরীর নিয়েও আল্লাহর স্মরণ থেকে তিনি এক মূহুর্তের জন্য গাফিল হননি। যখন আত্মার আত্নীয়রাও তাকে ছেড়ে চলে গেল, তিনি হতাশ হননি। এমন মুহূর্তে তিনি কেবল আল্লাহর কাছেই সাহায্য চেয়েছেন। বলেছেন ---
اَنِّیۡ مَسَّنِیَ الضُّرُّ وَ اَنۡتَ اَرۡحَمُ الرّٰحِمِیۡنَ ﴿ۚۖ۸۳﴾
"হে আমার প্রতিপালক, দুঃখক্লেশ আমাকে স্পর্শ করেছে।আপনি তো দয়ালুদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়ালু।
(সূরা ২১.আল-আম্বিয়া-আয়াত নং ৮৩)
আইয়ুব আলাইহিস সালামের এই আকুল ফরিয়াদের পরে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা তার দুআ কবুল করে নিলেন। তার দুঃখ মুছে দিলেন। রোগ সারিয়ে দিলেন। আল্লাহ বললেন ---
" অতঃপর, আমি তার আহ্বানে সাড়া দিলাম এবং তার সব দুঃখকষ্ট দূর করে দিলাম"।
(সূরা ২১.আল-আম্বিয়া-আয়াত নং ৮৪)
বড় কোনো বিপদে পড়ে গেলে একদম হতাশ হবেন না। ভেঙে পড়বেন না। আপনার ওপর আরোপিত বিপদ নিশ্চয়ই ইউনুস আলাইহিস সালামের বিপদের চেয়ে গুরুতর নয়। সমুদ্রের মাছ যখন তাকে গিলে ফেলল কেমন সংকটাপন্ন ছিল সেই মুহূর্তগুলো? চারদিকে কেবল অন্ধকার আর অন্ধকার। একটা ড্রামের ভেতরে চাপা পড়লেই যেখানে দম বন্ধ হয়ে আসবে, সেখানে একটা মাছের পেটে তিনি বেঁচে থাকলেন কীভাবে? কে তাকে বাঁচিয়ে রাখলেন? আল্লাহ ছাড়া কার ক্ষমতা আছে মাছের পেটে ইউনুস আলাইহিস সালামের জন্য অক্সিজেন পাঠাবে?
মাছের পেটে বন্দি হওয়ার পরে তিনি যে দুআটি পড়েছিলেন, সেটাকে আল্লাহ তাআলা কুরআনে স্থান দিয়েছেন। সেই দুআ কমবেশি আমরা সকলেই জানি।
"লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুন্তু মিনায-যালিমীন"।
'লা ইলাহা ইল্লা আনতা 'আপনি ছাড়া কোনো সত্য উপাস্য নেই।
'সুবহানাকা'আপনি পবিত্র।
'ইন্নি কুন্তু মিনায-যালিমীন'__নিশ্চয় আমি ছিলাম জালিম।
প্রতিউওরে আল্লাহ বললেন ---
فَاسۡتَجَبۡنَا لَہٗ ۙ وَ نَجَّیۡنٰہُ مِنَ الۡغَمِّ ؕ وَ کَذٰلِکَ نُــۨۡجِی الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ﴿۸۸﴾
" অতঃপর আমি তার সেই আহবানে সাড়া দিলাম এবং তাকে দুঃশ্চিনা থেকে মুক্তি দিলাম। এভাবেই আমি মুমিনদের রক্ষা করি।
(সূরা ২১.আল-আম্বিয়া-আয়াত নং ৮৮)
বিপদে পড়লে আমরা সাধারণত হাঁ-হুতাশ করি। বিলাপ করি আর বলি, 'কী এমন অপরাধ করেছি যে আল্লাহ আমার সাথে এমনটা করেছেন? কেন আমাকে এভাবে কষ্ট দিচ্ছেন? Why always me? Why' ?
বিপদে পড়লে আমাদের উচিত ধৈর্যধারণ করা। আল্লাহর প্রতি অভিযোগ না এনে নিজের ভুল স্বীকার করা। বেশি বেশি আল্লাহকে স্মরণ করা। এরপর সর্বোওম উপায়ে আল্লাহর কাছে দুআ করা। কেবল তাঁর কাছেই সাহায্য চাওয়া। বিশ্বাস করা যে, আল্লাহ অবশ্যই আমাদের দুআ শোনেন এবং তিনি অবশ্যই আমাদের রক্ষা করবেন।
(বই:- বেলা ফুরাবার আগে)
আপনার পোস্টের লেখাগুলো শতভাগই চৌর্যবৃত্তি করা।
এ ধরনের পোস্ট আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে রাখা হয় না। নতুন ইউজার হওয়ার কারণে শুধুমাত্র আপনার পোস্ট Mute করা হচ্ছে। পরবর্তীতে আবার একই ধরনের কাজ করলে আপনার একাউন্ট কমিউনিটি থেকে ব্যান করা হবে।
কমিউনিটির নিয়মাবলী ভালোভাবে পড়ে নিন
https://steemit.com/hive-129948/@rme/last-updated-rules-of-amar-bangla-blog-community-16-aug-22
যে কোন বিষয়ে জানার প্রয়োজন হলে আমাদের সাথে Discord এ যোগাযোগ করুন।
Discord server link: https://discord.gg/ettSreN493
Source: বই: বেলা ফুরাবার আগে
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit