আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে ভিন্ন ধরনের পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।
আজকে আপনাদের সাথে আমার প্রথম পোস্টার প্রেজেন্টেশনের কিছুটা মুহূর্ত শেয়ার করব। বেশ কিছুদিন আগে আপনাদের সাথে এই পোস্টার প্রেজেন্টেশনের জন্য কি কি কেনাকাটা করেছি সেগুলো শেয়ার করেছিলাম। তারপর অনেকেই বলেছিলেন ফাইনাল আউটপুট টা দেখাতে। যদিও অনেকটা দেরি হয়ে গেছে। তারপরও আমি চেষ্টা করেছি এটা শেয়ার করার। পোস্টার তৈরির জন্য ছোট ছোট কাজগুলো আমরা আগেই রেডি করেছিলাম। গ্রুপ লিডার হিসেবে আমি সবাইকে সবার কাজগুলো ভাগ করে দিয়েছি। আমাদের যে মেন টপিক টা ছিল সেটার আন্ডারে তিনটা টপিক আছে।
আমি আমার এক ফ্রেন্ডকে অর্থাৎ আমাদের একজন গ্রুপ মেম্বারকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম সে যেন প্রত্যেকটা টপিকের ইনফরমেশন গুলো রেডি করে ফেলে। অর্থাৎ প্রত্যেকটা টপিকের মধ্যে আমরা কি কি ইনফরমেশন রাখবো সেগুলো যেন সে রেডি করে। অন্য একজনকে দিয়েছিলাম প্রত্যেকটা টপিকের জন্য সে যেন নির্ধারিত কিছু ছবি সিলেক্ট করে রাখে যেগুলো আমরা পোস্টারে দিব। আর তাকে পেপার ক্রাফটের কিছু কাজ দিয়েছিলাম। আর সবকিছু লেখালেখি করার দায়িত্ব এবং ডেকোরেশন করার দায়িত্ব আমার ছিল। আমি প্রথমে কিছু কালার পেপার কে ছোট ছোট টুকরো করে আগুনে পুড়িয়ে এরকম একটা ডিজাইন করে নিলাম। প্রাপ্য যে ইনফরমেশন গুলো কালেক্ট করা হয়েছে সেগুলো অনুসারে আমি প্রত্যেকটা টপিক লিখে ফেললাম। প্রত্যেকটা পরীক্ষা তে টিচাররা আমার হ্যান্ড রাইটিং এর প্রশংসা করে তাই এই লেখালেখির দায়িত্বটা আমি নেই সব জায়গাতে।
টুকটাক ছোটখাটো এই কাজগুলো আমি আগেই করে রেখেছিলাম। যেদিন আমাদের প্রেজেন্টেশন ছিল সেদিন পুরোটা রেডি করেছি। প্রেজেন্টেশন ছিল বিকেল চারটায়। এর আগে আমার দুইটা ক্লাস ছিল। যার কারণে আমরা একদম সকাল সকাল ক্যাম্পাসে যাই। আমরা পোস্টার টা সিলেক্ট করেছিলাম কালো রঙ এর। আর আমাদের যে টপিকটা ছিল সেটা দিয়ে পোস্টারের হেডিং দিয়েছি। আর এটা দিয়েছি গ্লিটার পেপার দিয়ে। গ্লিটার পেপার দিয়ে ছোট ছোট লেটারগুলো তৈরি করা একটু কঠিন ছিল। এবার আমি টপিক ওয়াইজ প্রত্যেকটা লেখা ছোট কাগজগুলো লাগিয়ে দিলাম পোস্টার এর মধ্যে। প্রত্যেকটা টপিকের সাথে ছবিগুলো লাগিয়ে দিলাম। আর এই পোস্টারের ছবিগুলো আমরা তৈরি করেছি AI দিয়ে। তাই প্রত্যেকটা ছবি একদম ইউনিক ছিল। এইতো আমাদের এই টপিকটা ইনফরমেটিভ ছিল তাই আমরা খুব বেশি ডেকোরেশন করিনি। যারা ডেকোরেশন করেছে তাদের ডেকোরেশন এর কারণেই মার্ক কমেছে।
পোস্টারের বর্ডারের জন্য আমরা ওয়াশিং টেপ ইউজ করেছি। যেটা পোস্টারের একটা আলাদা সৌন্দর্য দেয়। বর্ডারের জন্য এরকম একটা ট্যাপ ইউজ করতে পারলে ভালই লাগে দেখতে। শেষে আমরা গোল্ডেন কালার মার্কার পেন দিয়ে প্রতিটা টপিকের নাম লিখে দিলাম। এবং আমরা আমাদের গ্রুপের একটা নাম দিলাম। আমরা গ্রুপ এর নাম দিয়েছি melody এর অর্থ সুর। অনেকটা টপিকের সাথে মিল রেখে এই নামটা দিয়েছি। সবশেষে ক্লাসে আমরা পুরোটা সামনে গিয়ে প্রেজেন্ট করলাম। ওইটার কিছু ছবি এবং ভিডিও আমাদের স্যার একজনকে দিয়ে করিয়েছিল। তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে সে এখনো পর্যন্ত এগুলো আমাদেরকে দিতে পারেনি। কবে দিবে সেটাও জানি না। না হলে আমি সেখানকার কিছু ছবি ভিডিও এড করতে পারতাম এখানে। প্রেজেন্টেশন শেষে আমরা ক্লাসের মধ্যে পোস্টার গুলো টাঙিয়ে দিলাম। আমাদের গ্রুপটা সেকেন্ড হাইয়েস্ট মার্ক পেয়েছে। সেকেন্ড পজিশনেই আমাদের পোস্টারটা আমরা টাঙিয়ে দিলাম।
এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। পোস্ট টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল 💕💕
ধন্যবাদান্তে
@isratmim
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পোস্টার প্রেজেন্টেশন তৈরির সুন্দর মুহূর্ত গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো আপু। আর দারুন মুহূর্ত কাটাতে অনেক ভালো লাগে। আপনার এই পোস্ট দেখে অনেক ভালো লাগলো আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার মূল্যবান মন্তব্য প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit