ভ্রমণ // হঠাৎ কোনো রকম পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়াই মিরপুর চিড়িয়াখানা ভ্রমণ।(পর্ব-২)

in hive-129948 •  2 years ago 

প্রথম পর্বের পর থেকে

প্রথমে বলে রাখি যেহেতু আমরা চিড়িয়াখানায় গিয়েছিলাম দুপুরবেলায় ঘুরতে বেশিরভাগ পশুপাখি খাওয়া-দাওয়া করে বিশ্রাম নিচ্ছিল, তাই যেখানে যাচ্ছিলাম সেখানেই কোনটা বসে আছে কোনটা শুয়ে আছে মানে যেন মনে হচ্ছে তারা খাওয়া দাওয়া করে বিশ্রাম নিচ্ছে। যাই হোক তারপরও যতটুকু সম্ভব আমি আমার মত করে ছবি তোলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আসলে সময় স্বল্পতার কারণে আমরা সেই দিন খাওয়া-দাওয়া করে দুপুরবেলায় চিড়িয়াখানার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম তাই আমাদের কাছেও খুব একটা ভালো লাগছিল না ঐ মুহূর্তে। তারপরও চিড়িয়াখানায় ঢোকার পরে বেশ ভালোই এনজয় করছিলাম। তবে শুক্রবার হওয়াতে সেই দিন প্রচুর দর্শনার্থী আনাগোনা হয়েছিল সেই দিক থেকে অনেক জমজমাট ও অনেক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে মানুষ এই চিড়াখানা পরিদর্শন করছিল। সেই সাথে আমরাও ঢুকে গেলাম চিড়িয়াখানায় বিভিন্ন রকম পশুপাখি দেখার জন্য। তাহলে চলুন বন্ধুরা আপনারাও আমাদের সাথে এক এক করে প্রত্যেকটা পশু পাখি দেখে আসবেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব কিছু বানর এবং বেশ কয়েকটি আনকমন পাখির ফটোগ্রাফি।

20230721_185342_0000.png

  • *
    প্রথমে ঢুকতে চোখে পড়লো বড় একটি বানরের খাচা যেখানে বেশ কয়েকটি বানর কেউ শুয়ে রয়েছে কেউ বসে রয়েছে কেউ একজন আরেকজনের মাথায় উকুন বাছাই করছে। সব মিলিয়ে আমি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম আশা করি এগুলো আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। তবে বানরের লাফালাফি আমরা সবাই কমবেশি পছন্দ করি কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ওই মুহূর্তে কোন বানরেই লাফালাফি করছিল না।

IMG_20230714_155346.jpg

IMG_20230714_155410.jpg

IMG_20230714_155446.jpg

  • *
    এবার আর একটু সামনে যেতেই দেখতে পেলাম বড় একটি সাইনবোর্ড যেখানে বেশ কিছু পাখির নাম সহ একটি সাইনবোর্ড দেওয়া রয়েছে আমরা সেটটি দেখে কিছুটা সামনে এগিয়ে গেলাম দেখতে পেলাম অনেক বড় একটি খাঁচা যেখানে প্রায় ৪-৫ রকমের পাখি যেমন হাড়গিলা, ম্যাকাউ, কাকাতুয়া, কালাগলা বক, সারসক্রেন।

IMG_20230714_155709.jpg

  • *
    এবার আমরা দেখতে পেলাম প্রথমে হাড়গিলা পাখিটি যদিও এগুলো বক পরিবারের অন্তর্ভুক্ত তাই দেখতে অনেকটা বকের মতই দেখায়। তবে বক যেরকম একেবারে ধবধবে সাদা হয় এগুলো বিভিন্ন রঙের বিভিন্ন কালারের হয়ে থাকে। বক থেকে কিছুটা ব্যতিক্রম হওয়ায় দেখতে অনেকটা চমৎকার দেখায়। আসলে খাঁচার ভিতর রয়েছে আর তাছাড়া অনেক দূরে দুটো পাখি দাঁড়িয়ে রয়েছে। দূর থেকে খুব একটা ভালোভাবে দেখা যাচ্ছে না তারপরও আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করে ছবিগুলো তুলেছি।

IMG_20230714_155734.jpg

IMG_20230714_155756.jpg

  • *
    একেবারে ধবধবে সাদা মাথায় হলদে রংয়ের টিকলি সব মিলিয়ে দেখতে অসাধারণ দেখায়। খাঁচাটির অনেক উপরে অবস্থান করছিল কাকাতুয়া পাখিটি। আমি আমার ক্যামেরা জুম করে এই ছবিটি তুলেছি।

IMG_20230714_155812.jpg

IMG_20230714_155938.jpg

  • *
    নীল, সাদা, হলুদ ও লাল রংয়ের পালকের সমন্বয়ে এই ম্যাকাউ পাখি গুলোকে দেখতে অনেক চমৎকার দেখায়। অনেকটা টিয়া পাখির মত দেখতে তবে এদের আওয়াজ অনেক কর্কট, আমরা যখন ওই মুহূর্তে সেখানে অবস্থান করেছিলাম তখন এই পাখিগুলো অনেক জোরে জোরে কর্কট ভাষায় শব্দ করছিল, মনে হচ্ছিল যেন তারা খুব একটা কষ্টে রয়েছে। তাই সেগুলো আমাদেরকে জানানোর চেষ্টা করছে যদিও আমরা দেখতে পাচ্ছি তারা বন্দী অবস্থায় আছে এটা অবশ্যই একটা কষ্টের ব্যাপার তবে দুঃখের বিষয় হলো ওই মুহূর্তে আমাদের কিছু করার নেই। আসলে খাঁচার এতটা উপরে পাখি দুটো বসে ছিল যে তাদেরকে জুম করেও আমি খুব ভালো করে ছবি উঠাতে পারেনি খুব সামান্য কিছু দেখা যাচ্ছে। চেষ্টা করেছি ভালো করে তোলার জন্য বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষাও করেছিলাম কিন্তু তারা নেমে আসছিল না।

IMG_20230714_155915.jpg

IMG_20230714_155853.jpg

  • *
    এই কালোগলা বক গুলো সচরাচর খুব একটা দেখা যায় না। আমরা গ্রাম অঞ্চলে যেই ব্লক গুলো দেখে থাকি সেগুলো বেশিরভাগই ধবধবে সাদা বা মাঝে মধ্যে ধূসুর বর্ণের কিছু বক দেখতে পাই। যেহেতু এরা অনেকটা স্পেশাল সাদাকালো সমন্বয়ে তাদের শারীরিক গঠনগুলো তাই এদেরকে আমরা চিড়িয়াখানায় দেখতে পাই। বকগুলো অনেক বড় হয়ে থাকে দেখতে অনেক চমৎকার দেখায়। তাছাড়া এদের গায়ের রং লাল হয়ে থাকে এবং পা গুলোর উচ্চতা প্রায় দুই ফুটের বেশি হয়ে থাকে। বলা যায় খুবই স্পেশাল একটি বক যেহেতু আমরা সচরাচর দেখতে পাই না তাই আপনারা এই চিড়িয়াখানায় এসে এই অসাধারণ পাখিগুলো অবশ্যই দেখবেন।

IMG_20230714_155956.jpg

IMG_20230714_160014.jpg

IMG_20230714_160020.jpg

লোকেশন

চলবে............

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

আপু আপনার ভ্রমণ পোস্ট দেখে অনেক ভালো লাগল। আসলে আপু অনেক দিন হলো মিরপুর চিড়িয়াখানায় যাওয়া হয়নি। তবে আপনার পোস্টের মাধ্যমে চিড়িয়াখানার বেশ কিছু পশুপাখি দেখে অনেক ভালো লাগল। আপনি অনেক সুন্দর মূহুর্তে কাটিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমিও খুবই আনন্দিত হলাম।সুন্দরও গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

দ্বিতীয় পর্ব অবশেষে পেয়ে গেলাম। অনেকগুলো পশু পাখির ফটোগ্রাফি দেখলাম। পাখিগুলো হয়তো বা তাদেরই দুঃখ ভরা কন্ঠে আমাদেরকে জানাচ্ছিল যে আসলে তারা এই বন্দী অবস্থায় খুব খারাপ সময় অতিক্রম করছে। যাই হোক পরবর্তী অপেক্ষায় রইলাম।

সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

চিড়িয়াখানায় বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছেন ।আমি আপনার প্রথম পরবর্তী দেখিনি। আসলে দেখেই বোঝা যাচ্ছে সেদিন অনেক মানুষের ভিড় ছিল শুক্রবার বলে। কালো গলা বকটি আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে ।বেশ সুন্দর লাগছে দেখতে এটিকে তাছাড়া ম্যাকাও ,কাকাতুয়া, বানর ও অন্যান্ন ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে।

আপনার মূল্যবান মন্তব্য প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপু আপনার মিরপুর চিড়িয়াখানা ভ্রমনের প্রথম পোস্টটি পড়া হয়নি।যাই হোক এ পর্বে বেশকিছু পাখির দেখা মিলল।দুপুরে গিয়েছিলেন তাই পাখিরা সব যে যার মত বিশ্রাম নিচ্ছিলো।অনেক আগে চিড়িয়াখানায় অনেকবারই যাওয়া হয়েছে আমার।তবে ইদানিং সময়ে যাওয়া হয়নি। আপনি অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন।ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।

সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

আপনারা তো দেখছি কোনরকম পূর্ব কল্পনা ছাড়া মিরপুর চিড়িয়াখানায় ভ্রমণ করেছেন। চিড়িয়াখানায় ঘোরাঘুরি করতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে, কারণ সেখানে অনেক রকমের পশু পাখির সম্পর্কে জানা যায় এবং সেগুলোর সাথে পরিচিত হওয়া যায়। আপনাদের ঘোরাঘুরি করার মুহূর্তটা আমাদের মাঝে ভাগ করে নিলেন দেখে ভালো লাগলো।

আমার ঘুরাঘুরি করার মুহূর্তে আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে আমিও খুবই আনন্দিত হলাম। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।