লাইফ স্টাইল :-চিকেন চাপ খাওয়ার মুহূর্ত।

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আমি আজকে একটি লেখার পোস্ট এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে অথবা কোথাও ঘুরতে গেলে ওইসব বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখতে অনেক ভালো লাগে। বেশিরভাগ সুন্দর মুহূর্ত গুলোর পোস্ট পড়তে এবং লিখতে অনেক ভালো লাগে। সব সময় চেষ্টা করি আমার সুন্দর মুহূর্তের অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ঘুরতে গেলে নিজে মনটাও ফ্রেশ থাকে। তাই সবসময় চেষ্টা করি কোথাও ঘুরতে যাওয়ার হাসিখুশির মুহূর্তটা আপনাদের মাঝেও শেয়ার করার জন্য। আশা করি আপনাদেরও পোস্টটি অনেক ভালো লাগবে।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে অনেক সুন্দর করে শেয়ার করব চিকেন চাপ খাওয়ার মুহূর্ত। কিছুদিন আগে আমি আমার ওয়াইফ ও আমার মেয়ে আমরা গেলাম চিকেন চাপ খাওয়ার জন্য। কারণ চিকেন চাপ আমার ওয়াইফের খুব প্রিয় খাবার। কিছুদিন আগে আমার বড় বোনের বাসায় গেলাম। আপনারা অনেকে জানেন আমার বড় বোন অসুস্থ। এই কারণে বড় বোনের বাসায় গেলাম দেখার জন্য তাকে। তবে হঠাৎ করে আমি চিন্তা করলাম বড় বোনের বাসা থেকে রেস্টুরেন্ট খুব কাছে। কারণ আমাদের বাড়ি থেকে রেস্টুরেন্ট অনেক দূরে। আমাদের বাড়ি থেকে রেস্টুরেন্ট পাড়ায় ১২ থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে।

আর আমার বড় বোনের বাসা থেকে ২০ টাকার গাড়ি ভাড়া। হেঁটে গেলে ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগে। যদিও যেদিন আমরা চিকেন চাপ খেতে গেলাম ঐদিন অনেক বৃষ্টি ছিল। কারণ এত বৃষ্টি ছিল বাসা থেকে আমরা বাইর হতে পারতেছি না। অনেক কষ্ট করে একটি গাড়ি ঠিক করে আমরা রেস্টুরেন্টের সামনে আসলাম। তারপর রেস্টুরেন্টের সামনে থেকে ভিতরে গেলাম। আমি আমার ওয়াইফ কে বলেছি তার পছন্দের খাবারের অর্ডার করার জন্য। সাথে সাথে আমার ওয়াইফ চিকেন চাপ খাওয়ার অর্ডার করলেন। কারণ এই চিকেন চাপ তার অনেক প্রিয়। তবে ওই সময় রেস্টুরেন্টে কাস্টমার একদম কম ছিল। হয়তোবা বর্তমান পরিস্থিতির কারণে।

তবে অর্ডার করার ৫ মিনিটের মধ্যে আমাদের খাওয়ার সামনে আসলো। তবে চিকেন চাপ এর সাথে পরোটা অর্ডার করলেন আমার ওয়াইফ। তবে সাথে একটি জিনিস অর্ডার করতে ভুলে গেলেন। কারণ আমি চা খেতে অনেক পছন্দ করি। যদিও আমি চিকেন চাপ অনেক কম খেয়েছি। শুধুমাত্র একটা পরোটা খেলাম চিকেন চাপ দিয়ে। তবে আমার ওয়াইফ চিকেন চাপ পরোটা দিয়ে খুব মজা করে খেয়েছিল। আসলে প্রিয় মানুষের পছন্দের খাবার খাওয়াতে পারলে নিজের কাছেও ভালো লাগে। আমার ওয়াইফ কে নিয়ে কোথাও ঘুরতে গেলে নিজের কাছে ভালো লাগে। কারণ আমাদের ঘরের কাজকর্ম সব নিজ হাতে একাই করে।

আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন আমার মা-বাবা দুজন অসুস্থ। তাদের পিছনে অনেক সময় দিতে হয়। আর আমরা সময় বাহির করে বাহিরে ঘুরতে যেতে হয়। তবে ঐদিন চিকেন চাপ খেয়ে আমার ওয়াইফ অনেক খুশি হয়ে গেছে। যদিও প্রথম থেকে আমাকে জিজ্ঞেস করল কি খাওয়াবে। তবে আমি বলেছি তোমার পছন্দের জিনিস খাওয়াবো। তবে পছন্দের জিনিস কি তুমি ওইখানে যাওয়ার পর বলিও। তবে আমার ওয়াইফ বিরিয়ানি খেতেও খুব পছন্দ করে। তবে আমার ওয়াইফ সময় নিয়ে চিকেন চাপ এবং পরোটা খেয়েছেন। তারপরও আমি আরো জিজ্ঞেস করলাম কিছু খাবে কিনা।

তখন বলল একটি চা খাবে। যদিও সে একদম চা কম খায়। তবে আমি অতিরিক্ত চা পাণ করে থাকি। তারপর আমরা চা অর্ডার করে চা খেলাম। যদিও আমি চা প্রথমে অর্ডার করেছি আমার জন্য। তবে আমার ছোট্ট মেয়েটি রেস্টুরেন্টে গিয়ে অনেক খুশি হয়েছে। একবার প্লেট নিয়ে একবার পরোটা নিয়ে খেলাধুলা করতে চাইলো। যদিও সে এখনো খাওয়া-দাওয়া সম্পূর্ণভাবে করতে পারে না। হাতের মধ্যে হালকা কিছু দিলে খেতে চেষ্টা করে। সত্যি ওয়াইফ কে নিয়ে চিকেন চাপ খেতে গিয়ে নিজের কাছে অনেক ভালো লাগলো। প্রিয়জনের হাঁসি মানেই নিজের হাঁসি। আশা করি আমার চিকেন চাপ খাওয়ার মুহূর্ত আপনাদের অনেক ভালো লাগে।