হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আমি আজকে একটি লেখার পোস্ট এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। আশা করি আপনাদেরও পোস্টটি অনেক ভালো লাগবে।
আসলে ঈদ মানে আনন্দ ঈদ মানে খুশি। আগে আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন ঈদ আসলে অনেক খুশি হয়ে যেতাম। বিশেষ করে রোজার সময় আমরা পুরো মাস এদিক ওদিক থেকে ঘাস এবং ধান গাছের ঘাস সংগ্রহ করতাম। মূলত এগুলো আমরা বাড়ির ছেলেরা সবাই মিলে সংগ্রহ করতাম। এবং ঈদের রাত্রে একসাথে আগুন জ্বালিয়ে আমরা আনন্দ করতাম। ওই সময় আমরা ঈদের রাত্রে অনেক খুশি থাকতাম। এমনকি আমরা হাতের মধ্যে গাছের পাতার মেহেদি লাগাতাম।
এবং এই মেহেদির রং গুলো অনেকদিন পর্যন্ত আমাদের হাতে থাকতো। এবং আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে গেলেই খুব আনন্দ করতাম। আর কোরবানি ঈদ আসলে ঈদের বাজারে যেতাম গরু কিনার জন্য। এবং বাবা ও চাচার পিছে পিছে থাকতাম তারা কি ধরনের গরু কিনে। সত্যি যখন গরুটি কিনতেন বাজার থেকে এই গরুর রশি নিয়ে সবাই অনেক ঝগড়া করতাম। এবং গরুর জন্য অনেক ধরনের খাবারের ব্যবস্থা করতাম। বিশেষ করে কাঁচা ঘাস অনেক দূর-দূরান্ত থেকে নিয়ে আসতাম। এবং এই আনন্দগুলো সত্যি বেশি মনে পড়ে। তবে এই আনন্দ গুলো দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে।
আমার এখনো খেয়াল আছে আমি যখন একদম ছোট ছিলাম। তখন আমি ঈদের সময় সালামি ৩০ টাকা পেলাম। ২০ টাকা আমার বাবা দিলেন। আর ১০ টাকা আমার মা দিলেন। এই ৩০ টাকা নিয়ে ঈদে গেলাম আমি। সত্যি ওই ৩০ টাকা একসাথে পেয়ে ওইদিন আমি খুশিতে আত্মহারা। এতগুলো টাকা একসাথে পেলাম বলার ভাষা নেই। আর রাত্রিবেলা এই টাকা কোথায় রাখবো এই চিন্তায় ঘুম আসতেছে না। এবং আমরা একজনকে একজন বলতাম ঈদের সময় সালামি কত পেলো। আর এখন দেখি বাচ্চারা ঈদের সময় হাজার টাকা পেলেও তাদের মনে খুশি দেখি না।
যদিও এখন ছোট বাচ্চাদের ঈদের সময় কেউ সালামি দেয় তারা মনে করে তাদেরকে টাকা কম দিতেছে। যদি আপনি ছোট একটি বাচ্চাকে ২০০ টাকা দেন ।তাহলে সে বলে 500 টাকা দেওয়ার জন্য। আর ৫০০ টাকা দিলে, তারা আবদার করে ১০০০ টাকার জন্য। আর আমরা যখন ছোট ছিলাম মা-বাবা যা দিতেন তাতে আমরা খুশি ছিলাম। এবং মা-বাবা পছন্দ করে কাপড় জুতা যেগুলো আনতো তাতে আমরা খুশি হয়ে আনন্দ করতাম। আর এখনকার সময় ছেলে মেয়েরা কাপড় কিনলেও তাদের পছন্দ হয় না এবং খুশি হয় না।
বলতে গেলে আস্তে আস্তে এই আনন্দ গুলো একদম হারিয়ে যাচ্ছে। সত্যি এখন যদি ছোট বাচ্চাদের কথা শুনলে আমরা অবাক হয়ে যাই। কারণ আমরা ছোটকালে মা-বাবার উপরে কথা বলতাম না। তারা পছন্দ করে যাই দিতেন তাতে খুশি থাকতাম। আর এখন সময় গুলো অন্যরকম হয়ে যাচ্ছে। মন চায় এখনো সেই ছোটকালের বয়সে ফিরে যেতাম। আর ছোট কালের বয়সের কোন চিন্তাভাবনা ছিল না শুধু আনন্দ আর খুশি ছিল। সত্যিই এই দিনগুলো আস্তে আস্তে সবাইর থেকে চলে যাচ্ছে। তারপরও বলবো ঈদ মানে আনন্দ ঈদ মানে খুশি। সবার জীবন সুন্দর হোক সব সময় এই কামনাই করি।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/Jamal7183151345/status/1781680577114181727?t=xZJdRzUcsGPu5INDnMgBHw&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাই আপনার লেখাটা পড়ে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগলো। একদম বাস্তব কিছু কথা তুলে ধরেছেন। আমাদের সময়ে ঈদের দিনে আমরা কত কম সালামি পেতাম তাতেই আমরা কি পরিমান খুশি হতাম। আর এখনকার বাচ্চারা হাজার টাকা ছাড়িয়ে গেলেও তেমন আনন্দ পরিলক্ষিত হয় না। যেমন আমার মেয়ে এই ঈদে ২৮০০ টাকা পেয়েছে। তাতেও তার মনে তেমন একটা আনন্দ দেখি নাই। যাই হোক বেশ ভালো লাগলো আপনার লেখাটা পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
তবে আপু আগের ঈদের মজা আর এখন ঈদের মজা অনেক পার্থক্য হয়ে গেছে। তবে আপনার সুন্দর মন্তব্য শুনে খুব ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
তবে এটি ঠিক আগে ছোটবেলায় ঈদের সালামি ফেলে অনেক খুশি থাকতো ছোটরা। আর এখন ঈদের সালামি ফেলে ছোট মানুষগুলো খুশি হয় না। যেমনটি আপনি ঈদের সালামি ৩০ টাকা পেয়ে অনেক খুশি হয়েছেন। আর এখন ছেলে মেয়ে ছোট তারা হাজার টাকা ফেলেও তাদের মন ভরেনা। তবে দিন দিন ঈদের আনন্দ যেন হারিয়ে যাচ্ছে। আপনার মত আমরা ছোট থাকতে ঈদের সালামি পেলে অনেক খুশি হয়ে যেতাম। খুব সুন্দর করে ছোটকালের ঈদের স্মৃতিচারণ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ ছোটবেলায় আমি ঈদের সময় তিরিশ টাকা পেয়ে অনেক খুশি হয়েছি। আর এখন ছোট বাচ্চারা হাজার টাকা পেলে ও খুশি হয় না কথাটি ঠিক। সুন্দর মন্তব্য শুনে ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলেই ভাই, আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন অল্পতেই খুশি ছিলাম। কিন্তু এখনকার বাচ্চাকাচ্চারা অল্পতে খুশি হতে চায় না। তাছাড়া আমরা কখনো মা-বাবার উপরে কথা বলতে সাহস পেতাম না, কিন্তু এখনকার বাচ্চাকাচ্চার দেখি তর্ক পর্যন্ত করে। যাইহোক, আপনার ছোটবেলার ঈদের সময় কাটানো বিভিন্ন মজার স্মৃতিগুলো জানতে পেরে অনেক বেশি ভালো লাগলো। আমরাও আসলে ছোটবেলায় বন্ধুরা মিলে ঠিক একই ভাবে আনন্দ ফুর্তি করতাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
তবে এটি একদম ঠিক বলেছেন আমরা ছোটকালে মা-বাবার উপর কথা বলতাম না। এখন বাচ্চারা মা-বাবার সাথে তর্ক করে। আপনার বেশ চমৎকার মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলেই ভাই ছোটবেলায় ঈদের সালামি পেলে আমরা ভীষণ খুশি হতাম। আর একটু বেশি পেলে তো আনন্দের সীমা থাকতো না। আর এখনকার বাচ্চাদের মধ্যে তো ঈদের সময়ও তেমন আনন্দ লক্ষ্য করা যায় না। আমরা ঈদের শপিং করার জন্য কতোটা এক্সাইটেড থাকতাম। তারপর চাঁদ রাতে কতো লাফালাফি করতাম এবং ঈদের চাঁদ দেখার জন্য অস্থির হয়ে থাকতাম। সবমিলিয়ে সেই দিনগুলো খুব মিস করি। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন৷ আমরা সবাই ছোটবেলায় বিভিন্ন ধরনের আনন্দ উদযাপন করতাম। আমাদের পিতা মাতার যা কিছু বলতো তার উপর আমরা কিছুই বলতাম না৷ আমরা তাই মেনে নিতাম। তবে এখনকার বাচ্চাদের কথা কি বলবো৷ তারা নিজের মতো করে চলতে পারে৷ তারা যা ইচ্ছা তা করার সুযোগ পেয়ে থাকে এবং তাদেরকে যতই দেওয়া হোক না কেন কোন কিছুতেই তারা সুখী হয় না৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit