গল্প :- কিছু কিছু ছেলে মেয়ে পরিবারের স্বভাব পেয়ে যায়।

in hive-129948 •  11 hours ago 

IMG_20250308_235025.jpg

ক্যানভা দিয়ে তৈরি,

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে বাস্তব একটি গল্প শেয়ার করব। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছেলে মেয়ে পরিবারের স্বভাব পেয়ে যায়। আসলে কিছু মানুষ আছে কর্মের ফল বা তাদের ভুলের কারণে ছেলেমেয়েরা সেই পথে যায়। আমার বড় ভাইয়ের বন্ধুর ছোট বোন তার স্কুল জীবনের প্রেমের কাহিনী শেয়ার করব। মূলত সেই অষ্টম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় গ্রামের এক ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে। যদিও ছেলেটি পড়ালেখা বা কোন কিছুই করতেন না। তার পরিবার ও ছেলের কাছে বিয়ে দেওয়ার জন্য রাজি ছিল না। কারণ তারা তার মেয়েকে পড়ালেখা করানোর জন্য চিন্তাভাবনা করলেন। আর ঐ সময় তার বিয়ের বয়সও হয় নাই। আর মেয়েটির নাম ছিল লিপি। তার বাবা এবং চাচা অনেক চেষ্টা করেছে ওই ছেলের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করানোর জন্য।

কিন্তু লিপি ওই ছেলের সাথে যোগাযোগ করতেন। এবং একবার ওই ছেলে লোক দিয়ে লিপির চাচাকে মারধর করলেন। অথচ লিপির চাচা বয়সে অনেক বড় ছিল তারপরও লিপির ভালোবাসার লোক তাকে মারধর করলেন। অনেক চেষ্টা করলেন লিপির পরিবার ওই ছেলের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করার জন্য। তবে ওই সময় ছেলেটি কোন কাজ করতেন না সারাক্ষণ আড্ডা দিতেন। একটা সময় লিপি বাড়ি থেকে পালিয়ে ওই ছেলের সাথে বিয়ে বসলেন। এই কারণে লিপির বাবা তার মেয়ের নাম শুনলে গরম হয়ে যেত। এবং তার মেয়েকে মেয়ে বলে স্বীকার করতেন না। এবং সব সময় বলতো এই মেয়ে আমার দরকার নেই। এবং এই মেয়ে বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়া ভালো। কারণ লিপির বাবা কখনো তার ভালবাসা মেনে নেয় নাই।

আরেক দিকে তার ছোট ভাইকে লিপির ভালোবাসার লোকের কাছে মারধর খেলেন। তবে লিপি যখন স্বামীর বাড়িতে গেলেন তার বাবার দরজা বন্ধ হয়ে গেল তার জন্য। এদিকে লিপির বিয়ে হওয়ার পর পরে তার ঘরে একটি মেয়ে সন্তান হল। এবং অনেক বছর পর্যন্ত লিপি তার বাবার বাড়িতে আসলেন না। এবং পরিবারের মা ছাড়া কারো সাথে তার যোগাযোগ ছিল না। প্রায় ১০ থেকে ১২ বছর পর সবাই অনুরোধে তার বিয়েটা মেনে নিলেন। এরপর লিপির তার বাবার বাড়িতে আবার আসলো। এবং দুই পরিবার মিল হয়ে গেল। এদিকে লিপির একমাত্র মেয়ে ও বড় হয়ে গেলেন। এবং লিপির মেয়েটি মোটামুটি অনেক সুন্দর। এদিকের লিপি ও তার হাজবেন্ড তার মেয়েকে অনেক আদর করতেন। আস্তে আস্তে লিপির মেয়েটি ও হাই স্কুলে পড়ালেখা করতে লাগলো। ওই সময় বাড়ির পাশে একটি ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক করলেন।

এবং ওই ছেলেটি পড়ালেখা বা কোন কাজ করেন না। তবে লিপির মেয়েটির নাম হচ্ছে মিম। তবে মিমের পড়ালেখা এবং ব্যবহার খুব ভালো ছিল। যখন তাদের প্রেমের সম্পর্ক জানাজানি হল তখন মিমের বাবা তার ভালোবাসার লোককে মেনে নিচ্ছে না। এক পর্যায়ে মিমের বাবা তার মেয়েকে ত্যাজ্য করবে এমনভাবে কথা বললেন। কিন্তু মিম তার মায়ের স্বভাব পেয়ে গেলেন। প্রয়োজনে মা-বাবাকে ছেড়ে দেবে তারপরও তার ভালোবাসার মানুষকে চাটবে না। একদিন হঠাৎ করে রাতের বেলা তার ভালোবাসার মানুষের সাথে পালিয়ে গেলেন মিম। এই দিকে মিমের বাবা অনেক বাড়াবাড়ি করতে লাগলো। মেয়েকে পরিচয় দেবে না। এবং তার ওয়াইফ লিপিকে বলেছে মেয়ের সাথে কথা বলে প্রয়োজনে তাকে ছেড়ে দেবে।

তবে অনেক লোক বলেছে তুমি যখন তোমার ওয়াইফকে নিয়ে আসলে বিয়ে করে তখন তাদের কাছে এরকম খারাপ লেগেছে। এবং তুমি তোমার ভালোবাসার কারণে তোমার ওয়াইফের চাচাকে মারধরও করলে। আর এখন তোমার মেয়ে যখন অন্য ছেলের সাথে পালিয়ে গেল তখন তুমি অনেক বড় বড় কথা বলতেছ। তোমার মধ্যে তো ওই সময় ভালো কিছু ছিল না। এটি তোমাদের কর্মের ফল। এভাবে মিমের বাবাকে অনেকে অনেক কথা বলতো। আর এই কথাগুলো শুনলে মিমের বাবার মুখ একদম বন্ধ হয়ে যায়। সত্যি বলতে মিমের মা বাবার কর্মের সঠিক জবাব দিয়েছে মিম। কারণ মিমের মা যেভাবে তার পরিবারকে কষ্ট দিয়েছে। আর মিম ও তার পরিবারকে একইভাবে কষ্ট দিলেন। যদিও মিমের বিয়ে হয়েছে এক মাস আগে। এখনো তাদের ভালোবাসা মেনে নেয় নাই মিমের বাবা মা। আশা করি আমার বাস্তব গল্পটি পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।

আমার পরিচয়

IMG_20221006_094439.jpg

আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
35FHZ8gBpndbrF88KC8i6DmfoqNdVfSnhzJshZCJksDJs27YpCCUjp1oaP6ko3mLJbQtLE76ZKc5r3aFXKh8EK2Xg2XbxHP97436Dksrat...K3RRDcGvdyC6bx3TE39Zctd2ho1pJ1hm9nj6RC6gfhhSEVDEf6zHmiqsgBwDTEDG8onxfxrWKe5ZMmiwAvtnX6XvsCqykCT5aFqMFBq2wcdKNs74j1RgTuza3g.png

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjde9gvbjDSDFUe2t87sHycAo9yh4cXNBQ2uKuZLC2jPzA8Qx5HRSqkJDxCm2F1P...XMCuWWrUK8WEzc1spvbtGymKcxp9cSaiY7YD7nmGv2yy3TJjQK1R5Bx6mMsJqHLdPZ4gBXB1M3ZGWR3ESWZxh8hd9tvb68pfdL8xHrioiqDnHuRUqd8FYt5aog.png

ধন্যবাদ সবাইকে

IMG-20240904-WA0027.jpg

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

আজকে আপনি চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন ভাই।পরিবার হলো শিশুর প্রথম শিক্ষাকেন্দ্র। সেখানে তারা যা শেখে, তা তাদের ব্যক্তিত্ব গঠনে বড় ভূমিকা রাখে। ছেলে-মেয়েরা পরিবারের আচরণ, মূল্যবোধ এবং সংস্কৃতি থেকে অনেক কিছু শিখে। তাই পরিবারের সদস্যদের উচিত ইতিবাচক আচরণ ও সুস্থ অভ্যাস প্রদর্শন করা। সর্বোপরি ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

Screenshot_20250309_143225_com.android.chrome.jpg

Screenshot_20250309_142834_com.twitter.android.jpg

আসলে মানুষের জীবনে কর্মের ফল একদিন ফিরে আসে। লিপি যেমন তার পরিবারের অবাধ্য হয়ে পালিয়ে বিয়ে করেছিল, তেমনই তার মেয়ে মিমও একই পথ অনুসরণ করল। মিমের বাবা নিজেই একসময় একই কাজ করলেও মেয়ের ক্ষেত্রে তা মেনে নিতে পারেনি। আসলে অন্যায় করলে একদিন তার ফল ভোগ করতে হয়।ধন্যবাদ ভাইয়া আমাদের মাঝে গল্পটি ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য।