হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আমি আজকে একটি লেখার পোস্ট এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে অথবা কোথাও ঘুরতে গেলে ওইসব বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখতে অনেক ভালো লাগে। বেশিরভাগ সুন্দর মুহূর্ত গুলোর পোস্ট পড়তে এবং লিখতে অনেক ভালো লাগে। সব সময় চেষ্টা করি আমার সুন্দর মুহূর্তের অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ঘুরতে গেলে নিজে মনটাও ফ্রেশ থাকে। তাই সবসময় চেষ্টা করি কোথাও ঘুরতে যাওয়ার হাসিখুশির মুহূর্তটা আপনাদের মাঝেও শেয়ার করার জন্য। আশা করি আপনাদেরও পোস্টটি অনেক ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব কিছুদিন আগেই আমি বাজার করতে গেলাম বাজারে। আসলে বর্তমান সময়ে বাজার করতে গেলে মাথা এমনিতে ঘুরে। কারণ সবকিছুুর দাম অনেক ছড়া। আমি প্রথমে একজন বয়স্ক লোকের কাছে গেলাম কাঁচা সবজি কিনার জন্য। যদিও আমি প্রায় সময় ওই লোক থেকে কিছু কিনা কাটা করার চেষ্টা করি। বয়স্ক লোক বাজারের এক পাশে দোকান করে কাঁচা সবজি বিক্রি করে। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম রান্না করা কলা গুলো চারটি কলা কত টাকা। বয়স্ক চাচাটি বলেন চারটি কলা ৬০ টাকা। আমি বললাম কি বলেন কিছুদিন আগে চল্লিশ টাকা করে নিয়েছিলাম।
এবং চাচাটি বলতেছে বাজারে সবকিছু দাম বেশি এবং আমিও কিনেছি বেশি টাকা দিয়ে। এবং তাকে আমি জিজ্ঞেস করলাম কাঁচামরিচ কত করে কিলো। এবং লোকটি বলতেছে কাঁচা মরিচ ১৪০ টাকা করে কিলো। তবে এই মরিচগুলোর অবস্থা একদম খারাপ। তারপরও কাঁচামরিচ ১৪০ টাকা কিলো। এবং অন্য একটি দোকানে আমি গিয়ে চাল কুমড়া কথা জিজ্ঞেস করলাম কত টাকা করে বিক্রি করে। এবং লোকটি আমাকে বলতেছে এই ছোট চাল কুমড়া গুলো ৭০ টাকা করে প্লিজ বলতেছে। এরপর আমি তাকে আবার জিজ্ঞেস করলাম কচুর লতি কত টাকা করে।
দোকানদার আমাকে বলতেছে ৮০ টাকা করে কচুর লতি। তারপর আমি বাজারগুলো দুই দোকান থেকে নিয়ে নিলাম। এবং আমি বড় দোকানে গিয়ে আলুর কিলো কত জিজ্ঞেস করলাম। বলতেছে আলুর কিলো 50 টাকা করে। আসলে মানুষ কিভাবে বাজার করে খাবে। এরপর আমি বড় দোকান থেকে আমাদের প্রয়োজনীয় বাজারগুলো করতে লাগলাম। যদিও বড় দোকানে বাজারগুলোর দাম করতে হয় না এক দামে বিক্রি করে। তবে সবকিছুর দাম আগের চেয়ে আরো বেশি বেড়ে গেল।
তবে অনেকে বলতো রমজানের পর বাজারের দাম অনেক কমে যাবে। কিন্তু কোন কিছুর দাম আগের মত কমে নাই। যে চাউলের বস্তা ২৫০০ টাকা করে আগে কিনেছিলাম এখন ২৭৫০ টাকা। এবং মাসিক বাজার গুলো আমি ওই দোকান থেকে কিনে নিলাম। এরপর আমি মেয়ের জন্য কিছু ফল কিনতে গেলাম। ওখানেও একই অবস্থা সবগুলোর দাম অনেক বেশি। মনে হয় যেটি একবার বাড়ে ওই জিনিস আর কমে না। বর্তমান সময়ে সবকিছুর দাম অনেক বেশি। আর অনেক মানুষ আছে কিছু কিনে খাওয়ার শ্রাদ্ধ নেই।
তবে আমি মাছ মাংস কিনার জন্য টাকা নিয়ে গেলাম। এদিকে কাঁচাবাজার ও মাসিক বাজার গুলো করার পর আমার কাছে আর টাকা নেই। কারণ সবগুলো টাকা শেষ হয়ে গেছে। তারপর আমি কি করবো মোরগ কিনেছিলাম। যদিও মুরগির দাম 200 টাকা করে কিলো। আসলে অবাক করার বিষয় সবকিছুর দাম এভাবে বৃদ্ধি হয়েছে। আর বলতে গেলে মনে হয় হাজার টাকার নোট গুলো অনেক ছোট হয়ে গেল। আর জিনিসপত্রের দাম মনে হয় ওজন বেড়ে গেল। এই হল আমার মাসিক বাজার করার মুহূর্ত। আশা করি আমার পোস্টটি পড়ে অনেক কিছু বুঝতে পারবে বর্তমান সময়ে বাজারের অবস্থা।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/Jamal7183151345/status/1790727205741613363?t=xSzb38itFn85Y-jgleoPPA&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাই, দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতি যেন দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। যার কারণে মনে ফুর্তি নিয়ে কখনো বাজার করা হয় না। বরং বাজার করতে গেলে ব্যাগ না ভরে, বরং টাকা শেষ হয়ে যাওয়ার দুশ্চিন্তায় অস্থির হতে হয়। জিনিসের যে দাম তাতে করে মধ্যবিত্তদের ভালোভাবে বাজার করে খাওয়াটা যেন সাধ্যের বাইরে চলে গেছে। তবুও আমাদেরকে প্রতিনিয়ত জীবন বাঁচানোর তাগিদে, বাজার খরচ করতেই হয়। যাইহোক ভাই, আপনার বাজার করতে যাওয়ার মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাই যে কোন জিনিস একবার দাম বাড়লে আর কমে না। আসলে বাজার করতে গিয়ে আমি নিজে অনেক চিন্তিত পড়ে গেলাম। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুন একটি মুহূর্ত শেয়ার করেছেন। ভাই আপনার আজকের শেয়ার করা পোস্টের মাধ্যমে আপনার বাজারের কিছু মূল্যের দাম জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো। আপনার ওইখানে আলোর মূল্য ৫০ টাকা কিলো আমাদের এখানেও সেম। কিন্তু কলা যে ৬০ টাকা হলে বিষয়টা একটু বেশি মনে হচ্ছে। এছাড়াও কাঁচা মরিচ এর দামটাও আপনাদের এখানে বেশি। যাক সব মিলিয়ে বাজারের বেশি দারুণ একটা মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কাঁচা সবজিগুলো এবং অন্যান্য জিনিস এর দাম অনেক বেশি। তবে কলার দাম আমার কাছেও বেশি মনে হচ্ছে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন আপনি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাজার করতে যাওয়ার সুন্দর মুহূর্ত আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। যেখানে বিভিন্ন প্রকার শাকসবজির দেখা মিলেছে। টাটকা শাকসবজি খেতে আমিও পছন্দ করি এবং চেষ্টা করে সুন্দর করে রান্না করতে। তবে সব বিষয়ে সুন্দর বর্ণনা করেছেন দেখে বেশি ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বর্তমানে সব সবজির দাম বেড়ে গেছে। আমিও যখন বাসার জন্য বাজার করি তখন বুঝতে পারি সময়ের সাথে সাথে সবজির দাম অনেক বেড়ে যাচ্ছে। যে সবজি চল্লিশ টাকা কেজি ছিল সেই সবজি এখন ৬০ টাকা কেজি হয়ে গেছে। ভাইয়া আপনার বাজার করার মুহূর্ত আপনার লেখার মাঝে তুলে ধরেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বর্তমান সময়ে বাজার করতে গেলে মাথা এমনিতে ঘুরে ।তবে আপনার অসাধারণ মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit