ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব সন্ধ্যার সময় অদৃশ্য কিছু দেখার ঘটনা। কিছুদিন আগে আমার ওয়াইফ আমার শ্বশুর বাড়িতে হয়েছিল। হঠাৎ করে আমার ওয়াইফ আমাকেও কল করে বলল দাগনভূঞা বাজারে যাওয়ার জন্য। কারণ দাগনভূঞা বাজার আমাদের বাড়ি থেকে ১২ ১৩ কিলোমিটার দূরে। যদিও সে মাগরিবের আযান দেওয়ার এক ঘন্টা আগে ফোন করেছিল। দাগনভূঞা বাজারে গেলে খাওয়া দাওয়া করবে রেস্টুরেন্টে। তবে দাগনভূঞা বাজার আমার শ্বশুরবাড়ির থেকে তেমন দূরে না। এই কারণে অল্প সময়ের মধ্যে দাগনভূঞা বাজারে আমার শ্বশুর বাড়ির লোক যেতে পারে। বলতে গেলে দশ মিনিটের রাস্তা।
আমি তাড়াতাড়ি যাওয়ার জন্য সাইকেল নিয়ে বাহির হলাম। কারন আমি চৌধুরীহাট পর্যন্ত সাইকেল নিয়ে যাব। তারপর গাড়ির করে দাগনভূঞা বাজারে যাব। এদিকে আমার ওয়াইফ মোবাইলে কল করতেছে তাড়াতাড়ি যাওয়ার জন্য। সাইকেল নিয়ে বাইর হলাম বাড়ি থেকে। তবে মাগরিবের আযানের পর আমি যখন রাস্তা দিয়ে সাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে তাল গাছের পাশ থেকে একটি মেয়ে রাস্তার মাঝখানে এসে পড়লেন। সাথে সাথে আমি সাইকেল ব্রেক করে ফেললাম। কারণ মেয়েটি আমি আগে দেখি নাই হঠাৎ করে রাস্তার মাঝখানে এসে দাঁড়িয়ে গেল। সত্যি বলতে মেয়েটি মুখের দিকে আমি যখন তাকালাম তখন আমি অনেক ভয় পেয়ে গেলাম। একদিকে তাল গাছ এর পাশ থেকে বাইর হলো।
অন্যদিকে তার চেহারাটা অন্যরকম। মুখটি একদম কালো চোখগুলো বড় বড়। ওই সময় রাস্তাতে একজন লোকও ছিল না। তারপরও আমি ভয় পেয়ে মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করতে লাগলাম আপনার কোন সমস্যা হয়েছে কিনা। কিন্তু মেয়েটি আমার একটি কথারও উত্তর দেইনাই। এবং রাস্তার এই পাশ থেকে মেয়েটি ও পাশে চলে গেল। তবে আমি তাড়াতাড়ি করে সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম। এবং সামনে গিয়ে একটি দোকানে সামনে দাঁড়িয়ে পানি খেলাম। কারন আমার মন থেকে ভয় যাচ্ছিল না। সত্যি কথা বলতে ওই সময় আমার গায়ের লোমগুলো দাঁড়িয়ে আছে। আর আমি ভয় কারো সাথে শেয়ার করলাম না।
কারণ এরকম পরিস্থিতিতে আমি কখনো পড়ি নাই আগে। কারণ এইগুলো বলতে লাগলে নিজের কাছে ভয় লাগে। এরপর আমি দাগনভূঞা বাজার পর্যন্ত একা চলে গেলাম। সত্যি কথা বলতে পুরা রাস্তা আমার কাছে অনেক ভয় লেগেছিল। তারপর আমি আমার ওয়াইফ এবং ভাগ্নি সহ রেস্টুরেন্টে নাস্তা করলাম। তখনও আমার কাছে অনেক ভয় লেগেছে। কারণ মন থেকে আমার ভয় যাচ্ছিল না এই কারণে। এই কথা ঐদিন আমি আমার ওয়াইফ এর সাথে শেয়ার করিনি। কারণ বললে সেও ভয় পাবে। সব সময় মনের মধ্যে কিছুদিন আমার ভয় ছিল।
এভাবে কিছুদিন যাওয়ার পর আমার এক পরিচিত লোক এর বাড়ি ওই জায়গাতে ছিল। বাজারে দেখার পর আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম আপনাদের বাড়ির এইখানে তাল গাছের পাশে কিছু আছে নাকি। তখন লোকটি আমাকে জিজ্ঞেস করল কি হলো কি কারনে জিজ্ঞেস করতেছেন। তখন আমি তাকে বললাম কিছুদিন আগে এরকম সমস্যার মুখে আমি পড়েছিলাম। তাল গাছের পাশ দিয়ে একটি মেয়ে রাস্তায় এসে দাঁড়ালো আমি ভয় পেয়েছিলাম। তখন ওই লোকটি বলতেছি এই জায়গাটি সন্ধ্যার সময় খুব ভয়ংকর। যদি আপনি সাইকেল থেকে পড়ে আহত হতেন তাহলে আপনার অনেক সমস্যা হতো। অনেক সময় ওই জায়গাতে অনেক গাড়ি জমির মধ্যে পড়ে যাই। সন্ধ্যার সময় কি যেন দেখে তারা ওইখানে। এই হচ্ছে আমার সাথে করে যাব বাস্তব একটি ঘটনা।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
https://x.com/Jamal7183151345/status/1869632798862229621?t=rMKCjoLjMrtRrTKzUYGBFw&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বলেন কি ভাই। আপনিতো স্বচক্ষে ভূতের দর্শন করেছেন। সাধারণত এমন অভিজ্ঞ লোক তো পাওয়া যায় না। ঘটনাটা পড়ে আমারই শিহরণ দেওয়া শুরু করল। এমনভাবে স্বচক্ষে একজন অশরীরীকে আপনি প্রত্যক্ষ করলেন? এ যেন বিশ্বাসই হয় না। তবে এমন ঘটনা শুনে আমারও কিন্তু বেশ আতঙ্ক হচ্ছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ ভাই বিশ্বাস হওয়ার কথা না তারপরও দেখেছি আমি। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য শুনে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি পড়ে তো খুব ভয় লাগছে।কি ভয়ংকর ঘটনা। ভাগ্যিস আপনার কিছু হয়নি।এইরকম পরিস্থিতিতে পড়ার পর কি মনের অবস্থা হয়েছিল তা বুঝতে পারছি।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্ট টি ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঐদিন আপু আমি নিজেও ভয় পেয়েছিলাম। ভালো থাকবেন আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেকে বলে সন্ধ্যার সময় তালগাছের নিচে বা অন্ধকার জায়গা এগুলোতে অদ্ভুত কিছু থাকে। তবে আপনার ঘটনাটি পড়ে আমার গায়ের লোম খাড়া হয়ে গেল। অদ্ভুত মেয়েটি আপনার কোন ক্ষতি করে নাই। এরকম পরিস্থিতি আমার আসলে তো আমি ওইখানে অজ্ঞান হয়ে যেতাম। পোস্টে সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন অনেকে বলে সন্ধ্যার সময় তালগাছের নিচে বা অন্ধকার জায়গাতে অনেক কিছু থাকে। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য শুনে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit