অনুভূতি :-নদীতে জোয়ারের পানি দেখতে যাওয়ার মুহূর্ত।

in hive-129948 •  8 days ago 

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আমি আজকে একটি লেখার পোস্ট এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে অথবা কোথাও ঘুরতে গেলে ওইসব বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখতে অনেক ভালো লাগে। বেশিরভাগ সুন্দর মুহূর্ত গুলোর পোস্ট পড়তে এবং লিখতে অনেক ভালো লাগে। সব সময় চেষ্টা করি আমার সুন্দর মুহূর্তের অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ঘুরতে গেলে নিজে মনটাও ফ্রেশ থাকে। তাই সবসময় চেষ্টা করি কোথাও ঘুরতে যাওয়ার হাসিখুশির মুহূর্তটা আপনাদের মাঝেও শেয়ার করার জন্য। আশা করি আপনাদেরও পোস্টটি অনেক ভালো লাগবে।

IMG_20240921_174342.jpg

IMG_20240921_174410.jpg

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব নদীতে জোয়ারের পানি দেখতে যাওয়ার মুহূর্ত। আমাদের এলাকার অবস্থা ভালো নেই। কারণ মুসাপুর সুইজগেট নষ্ট হয়ে গেছে এই কারণে আমাদের এলাকাতে জোয়ারের পানি দেখা যায় বিশেষ করে নদীর পাশে। তবে এই নিয়ে আমাদের এলাকা বাসি খুবই আতঙ্ক আছে। কারণ আমাদের নদীর উপরে জমিগুলোর মধ্যে এখন চাষ করা যাবে না। কারণ ২৪ ঘন্টার মধ্যে দুইবার নদীতে জোয়ার আসে।

IMG_20240921_174024.jpg

IMG_20240921_174442.jpg

কিছুদিন আগে দুপুরবেলা আমি বাড়িতে ছিলাম তখন আমার চাচা এসে বলতেছে নদীতে অনেক বড় জোয়ার আসতেছে। কারণ পানির এত জোরে শব্দ করতেছে জোয়ারের সময় সেই এসে বাড়িতে বলল। তারপর আমি তাড়াতাড়ি করে বাইর হয়ে নদীর ধারে গেলাম জোয়ারের পানি দেখতে। আমাদের বাড়ি থেকে পাঁচ মিনিট লাগে নদীর ধারে যেতে। যখন আমি নদীর ধারে গেলাম তখন একদম হতভাগ হয়ে গেলাম। কারণ ৫ মিনিটের মধ্যে নদীতে পানি অনেক বেড়ে গেল। নদীর পাশে একটি বাড়ি ছিল ওই বাড়িটিতে অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে পানি উঠে গেল।

বলতে গেলে জোয়ারের পানি নাকি ওই বাড়িতে মানুষের গলা পর্যন্ত পানি হয়। যদিও আমি যে সময় ফটোগ্রাফি করেছিলাম ওই সময় সম্পূর্ণ জোয়ার এখনো আসে নাই। তবে নদীর পাশে যাদের বাড়ি আছে তারা বাড়িঘর রেখে অন্য জায়গা চলে গেল। বিশেষ করে মুসাপুর ব্রিজ নষ্ট হওয়ার পর থেকে আমাদের এলাকায় এবং নদীর পাশে এলাকা গুলোর জন্য খুবই বিপদ। আমাদের এই এলাকাতে মানুষ ধান ক্ষেত হতে সবকিছু চাষ করে। এবং অনেক মানুষ গরু মহিষ অনেক কিছু লালন পালন করে। বলতে গেলে মুসাপুর গেট ঠিক হওয়ার পর মানুষ নদীর ধারে বসবাস হতে গরু ছাগল লালন পালন করতেছেন।

তবে এই গেট ১০ বছরের মধ্যে নষ্ট হয়ে গেল। আর এই কারণে মানুষের কষ্ট আবার চালু হয়ে গেল। তবে নদীর পানিতে অনেক কাদা এই পানি দিয়ে মানুষ কিছু করতে পারবে না। তবে আমার ফটোগ্রাফির মধ্যে যে বাড়িটি দেখা যাচ্ছে। এই লোকের সাথে আমি কথা বলেছিলাম ঐদিন। লোকটি বলতেছে নদীতে জোয়ার আসে না আমার কলিজার উপর পানি আসে। কারণ এই বাড়ি ছাড়া আমার আর কিছুই নেই। আমি দুটো ছেলে মেয়েকে নিয়ে অনেক কষ্টতে এখন অন্যের বাড়িতে থাকি।

সত্যি এই লোকের কথা শুনে আমার কাছে অনেক খারাপ লাগলো। যদিও আমি নদীতে জোয়ার দেখতে প্রথমে আমাদের বাড়ির পাশে গেলাম। তারপর আমি সাইকেল নিয়ে হাবুর ঘাটে গেলাম। তবে হাবুর ঘাট আমাদের বাড়ি থেকে অনেক দূর। আর এই বাড়িটি হাবুর ঘাটের একদম পাশে। সত্যিই লোকটির কথা শুনে আমার কাছে অনেক খারাপ লাগলো। তবে আগে বিকেল বেলা নদীর ধারে গেলে অনেক গরু মহিষ এবং ছাগল দেখা যেত মানুষ লালন পালন করতেন। আর এখন গেলে গরু-মহিষ কিছুই দেখা যায় না।

কারণ নদীর পানির মধ্যে কাদা এই কারণে গরু ছাগল ওই ঘাস গুলো আর খাই না। আর এই সুইচগেট ব্রিজ নষ্ট হওয়ার কারণে এখন নদীর পাশে এলাকাগুলোর জন্য সত্যিই বিপদজনক। নদীর পাশে আগে যেরকম একটি সৌন্দর্য জায়গা ছিল এখন আর শেষ সৌন্দর্য জায়গা নেই। শুনেছি কিছুদিন আগে নদীর পাশে একটি বেল্ডিং নদীতে তলিয়ে গেল। যদিও ওই বাড়িতে একদম নদীর পাশেই ছিল।

আর বলতে গেলে মুসাপুর ব্রিজ ভেঙে মানুষের জন্য অনেক বিপদ নিয়ে আসলো। ঐদিন বিকেলবেলা আমি অনেকক্ষণ নদীর ধারে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নদীর জোয়ার দেখতেছি। তবে নদীতে অনেক মাছ পাওয়া যায় আমাদের এইখানে এখন। আর মানুষের কষ্টের কথা শুনলে নিজের কাছেও খারাপ লাগে। জোয়ারের সময় নদীর ধারে গেলে বোঝা যায় নদীর পানির বৃদ্ধি। আর এখনো মনে হয় জোয়ারের পানি আসলে আমাদের এদিকে মনে হয় বন্যা হয়েছে। তবে নদীর পাশে এলাকা গুলো কবে যে আবার নতুন করে ঠিক হবে কেউ বলতে পারেনা। এই হচ্ছেন নদীর ধারে জোয়ার দেখতে যাওয়ার মুহূর্ত।

IMG_20240921_174319.jpg

IMG_20240921_174153.jpg

IMG_20240921_174105.jpg

IMG_20240921_174127.jpg

আমার পরিচয়

IMG_20221006_094439.jpg

আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।

35FHZ8gBpndbrF88KC8i6DmfoqNdVfSnhzJshZCJksDJs27YpCCUjp1oaP6ko3mLJbQtLE76ZKc5r3aFXKh8EK2Xg2XbxHP97436Dksrat...K3RRDcGvdyC6bx3TE39Zctd2ho1pJ1hm9nj6RC6gfhhSEVDEf6zHmiqsgBwDTEDG8onxfxrWKe5ZMmiwAvtnX6XvsCqykCT5aFqMFBq2wcdKNs74j1RgTuza3g.png

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjde9gvbjDSDFUe2t87sHycAo9yh4cXNBQ2uKuZLC2jPzA8Qx5HRSqkJDxCm2F1P...XMCuWWrUK8WEzc1spvbtGymKcxp9cSaiY7YD7nmGv2yy3TJjQK1R5Bx6mMsJqHLdPZ4gBXB1M3ZGWR3ESWZxh8hd9tvb68pfdL8xHrioiqDnHuRUqd8FYt5aog.png

ধন্যবাদ সবাইকে

IMG-20240904-WA0028.jpg

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

জলাবদ্ধতা মানুষের জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়। যেখানে যেখানে বর্ষার পানি উঠে গেছিল সেই সমস্ত এলাকার মানুষ বেশ দুর্যোগ ও দুর্ভোগ পুহায়ছে। আপনারা মুসাপুর এলাকার ঘুরতে গেছিলেন বন্যার পানি দেখেছেন সেখানে ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় মানুষের বেশ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। আশা করব খুব শীঘ্রই আবারো ঠিকঠাক হয়ে যাবে,আগেকার মত মানুষজন চলাচল করতে পারবে শান্তি ফিরে আসবে সবার মাঝে।

আসলেই জলাবদ্ধতা মানুষের জন্য অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। আপনার সুন্দর মন্তব্য পড়ে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ

ব্রিজ থাকলে মানুষ অনেক ভালোভাবে চলাফেরা করতে পারতো ।তারপরে আবার সুইচ গেট নষ্ট সবমিলিয়ে নদীর পানি ,নদীর এলাকা মানুষজনের জন্য সত্যিই অনেক বিপদজনক। আমি কখনো জোয়ার দেখিনি তবে আপনার কথাগুলো শুনে খুবই খারাপ লাগছিল। কেননা জোয়ারে পানি যদি এভাবে আসে তাহলে মানুষজনের অনেক ক্ষতি হবে। ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার অনুভূতি জানতে পেরে ধন্যবাদ।

মানুষের এখন অনেক অসুবিধা হয় চলাচল করতে। তাছাড়া মানুষ ওখানে এখন যেতেও ভয় পাই ভেঙে যাওয়ার কারণে

মুসাপুর ব্রিজটি ভেঙে নদী এলাকা মানুষদের জন্য বড় ক্ষতি হয়ে গেল। আপনি দেখতেছি নদীর ধারে নদীর জোয়ার দেখতে গেলেন। তবে নদীটি আপনাদের বাড়ীর পাশে এই কারণে নদীর জোয়ারের কথা শুনে তাড়াতাড়ি যেতে পারলেন। সত্যি আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে নদীর জোয়ারের পানি অনেক বেশি। আর নদীর পাশে বাড়ি ঘর ও চাষাবাদ জমিগুলোর নদীর জোয়ারের পানি বিপদজনক। অনেক সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।

ভীষণ খারাপ লাগলো আমার নিজের কাছেও ব্রিজটা ভেঙে যাওয়ার কথা শুনে। মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ