লাইফ স্টাইল :- মায়ের জন্য ওষুধ কিনতে যাওয়ার মুহূর্ত।

in hive-129948 •  2 days ago 

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আমি আজকে একটি লেখার পোস্ট এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে অথবা কোথাও ঘুরতে গেলে ওইসব বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখতে অনেক ভালো লাগে। বেশিরভাগ সুন্দর মুহূর্ত গুলোর পোস্ট পড়তে এবং লিখতে অনেক ভালো লাগে। সব সময় চেষ্টা করি আমার সুন্দর মুহূর্তের অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ঘুরতে গেলে নিজে মনটাও ফ্রেশ থাকে। তাই সবসময় চেষ্টা করি কোথাও ঘুরতে যাওয়ার হাসিখুশির মুহূর্তটা আপনাদের মাঝেও শেয়ার করার জন্য। আশা করি আপনাদেরও পোস্টটি অনেক ভালো লাগবে।

IMG-20250209-WA0051.jpg

কিছুদিন আগে আমি বাজারে গেলাম আমার মায়ের জন্য ওষুধ কিনতে। আপনারা অনেকে জানেন আমার মা-বাবা দুজন অসুস্থ। তারা দুইজন আমাদের কাছে থাকে। আমি চেষ্টা করি তাদের কে সুন্দরভাবে রাখার জন্য। আমার মা এক মাস পর পর ডায়াবেটিস হাসপাতালে যায়। কারণ মূলত তার ডায়াবেটিস অনেক। সাথে আরো অন্যান্য রোগ আছে। আবার সেই দুইবার হার্ট স্ট্রোক করা ছিল। এই কারণে সব সময় তার ওষুধ খেতে হয়। তবে আলহামদুলিল্লাহ আমি আর আমার ওয়াইফ তাদের দেখাশোনা করি সব সময়। কিছুদিন আগে যখন সে ডায়াবেটিস হাসপাতালে গিয়েছিল। দুপুর বেলা ডায়াবেটিস হাসপাতাল থেকে বাড়িতে আসলো।

আসার পর সে ওইখানে ডায়াবেটিস বইটি আমার হাতে দিলেন। এবং এই ওষুধগুলো আনা লাগবে ডাক্তার দিয়েছে। শুধু এই কথাই আমাকে বলল। তবে আমি তার ওষুধ গুলো নাম দেখে অবাক হয়ে গেলাম। কারণ এবার অনেক ডায়বেটিসের ওষুধ তাকে দিয়েছে ডাক্তার। পরে জিজ্ঞেস করার পর বলছে ১৪ পয়েন্ট তার ডায়াবেটিস। এমনিতে নরমালি দশের নিচে থাকে তার ডায়াবেটিস। এরপর আমি বিকেল বেলা বাজারে যাওয়ার জন্য চিন্তা করলাম এবং টাইম ঠিক করলাম। খাওয়া দাওয়া করার পর বিকেল চারটার দিকে আমি বাজারে যাচ্ছিলাম। তখন আমার মেয়েটি আমার সাথে যাওয়ার জন্য কান্না করছিল।

IMG-20250209-WA0046.jpg

IMG-20250209-WA0045.jpg

এখন দেখলাম সেই অনেক কান্নাকাটি করছে সে আমার সাথে বাজারে যাবে। তারপর আমি আমার ওয়াইফ কেউ বললাম তাহলে বাজারে যাওয়ার জন্য। এবং ঔষধ ও নিয়ে আসবো তার সাথে একটু ঘুরাঘুরি হবে। এই কথা শোনার পর আমার ওয়াইফও রাজি হয়েছে বাজারে যাবে। তারপর আমি আমার ওয়াইফ কে নিয়ে বাজারে গেলাম ঔষুধের জন্য। যদিও চৌধুরী আর বাজার থেকে আমাদের বাড়ি থেকে পাঁচ থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে। তবে গাড়ির কারণে এখন রাস্তাগুলোতে যাতায়াত করতে সুবিধা হয়। এবং ডাক্তারকে আমি ডায়াবেটিসের বই দেখালাম।

IMG-20250209-WA0048.jpg

IMG-20250209-WA0047.jpg

তারপর ডাক্তার একটি একটি করে ওষুধের নাম দেখে ওষুধগুলো দিচ্ছে। এদিকে ডায়াবেটিস হাসপাতালে ওষুধ এবং ফেনী এক বড় ডাক্তারের ওষুধ দুটোই একসাথে আমি কিনতে থাকলাম। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে ওষুধ গুলো দিয়ে দিলেন। তারপর ওষুধগুলোর দাম হিসাব করতেন ফার্মেসির লোক। এই ফার্মেসী থেকে আমি সব সময় ওষুধ কিনে থাকি। এবং লোকটি আমার স্কুল জীবন থেকে পরিচিত। এবং এইখান থেকে আমি ওষুধ নিলে সে ১০% টাকা কম রাখে। তারপর আমি ওষুধগুলো নিয়ে এবং তাকে টাকা দিলাম। এবং এইবার কিছু ওষুধ বেশি দিয়েছিল ডায়াবেটিস হাসপাতালে ডাক্তার। এবং দুটো পাতায় দাম ছিল বেশি। আর অন্যান্য ওষুধের দাম মোটামুটি কমই ছিল।

আসলে মা-বাবার সেবা করা হচ্ছে ছেলে মেয়েদের কর্তব্য। আসলে চেষ্টা করি তাদের দেখাশোনা এবং সম্পূর্ণ কাজ করতে। কারণ মা বাবার সেবা করা প্রত্যেকটা ছেলে মেয়ের দায়িত্ব এবং কর্তব্য। তবে আমি ওষুধ নেওয়ার সময় আমার ওয়াইফ ফটোগ্রাফি গুলো করেছিল। এরপর আমরা চলে গেলাম একটি রেস্টুরেন্টে। কারণ এতদূর বাজারে গেলাম কিছু না খেলে তো আর হয় না। তারপর আমি আমার পছন্দের নাস্তা করলাম এবং আমার ওয়াইফ তার পছন্দের নাস্তা করলো। সে পোস্টটি অন্যদিন করবো আপনাদের মাঝে। তবে বৃদ্ধ মা বাবা কাছে থাকলে বোঝা যায় বয়স হলে তাদের কথাবার্তা এবং চলাফেরা সম্পন্ন অন্যরকম। এভাবে সেদিন আমি আমার মায়ের ওষুধগুলো কিনতে গেলাম। আজকে এই পোস্টে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। যদিও বর্তমান সময়ে ওষুধের দাম অনেকগুন বেড়ে গেল।

IMG-20250209-WA0049.jpg

IMG-20250209-WA0053.jpg

IMG-20250209-WA0042.jpg

IMG-20250209-WA0052.jpg

IMG-20250209-WA0041.jpg

আমার পরিচয়

IMG_20221006_094439.jpg

আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।

35FHZ8gBpndbrF88KC8i6DmfoqNdVfSnhzJshZCJksDJs27YpCCUjp1oaP6ko3mLJbQtLE76ZKc5r3aFXKh8EK2Xg2XbxHP97436Dksrat...K3RRDcGvdyC6bx3TE39Zctd2ho1pJ1hm9nj6RC6gfhhSEVDEf6zHmiqsgBwDTEDG8onxfxrWKe5ZMmiwAvtnX6XvsCqykCT5aFqMFBq2wcdKNs74j1RgTuza3g.png

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjde9gvbjDSDFUe2t87sHycAo9yh4cXNBQ2uKuZLC2jPzA8Qx5HRSqkJDxCm2F1P...XMCuWWrUK8WEzc1spvbtGymKcxp9cSaiY7YD7nmGv2yy3TJjQK1R5Bx6mMsJqHLdPZ4gBXB1M3ZGWR3ESWZxh8hd9tvb68pfdL8xHrioiqDnHuRUqd8FYt5aog.png

ধন্যবাদ সবাইকে

IMG-20240904-WA0000.jpg

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Screenshot_20250210_145348_com.android.chrome.jpg

Screenshot_20250210_144926_com.twitter.android.jpg

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

আপনার মা-বাবার জন্য সুস্থতা কামনা করছি ভাই।ডায়াবেটিস ১৪ পয়েন্ট তার মানে তো অনেক বেশি। আর সেজন্যই হয়তো বা ডাক্তার আপনার মাকে অনেক ঔষধ দিয়েছিলেন। আপনার সাথে আমিও সহমত প্রত্যেকটা সন্তানের মা বাবার প্রতি যথেষ্ট কর্তব্যশীল এবং দায়িত্ববান হওয়া দরকার। যাই হোক আপনার আজকের লাইফ স্টাইল পোস্টটি খুবই ভালো লাগলো আমার কাছে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

  ·  12 hours ago (edited)

হ্যাঁ ভাইয়া ডায়াবেটিস ১৪ পয়েন্ট তাহলে বেশি। তবে প্রত্যেক ছেলে মেয়ের দরকার বাবা সেবা করার। ভালো থাকবেন ভাইয়া।

সব সময় পিতা-মাতার প্রতি খেয়াল রাখবেন। পিতা-মাতা হচ্ছে প্রত্যেকটা সন্তানের অমূল্যবান সম্পদ। যে জিনিস দুনিয়া ছেড়ে বিদায় হয়ে গেলে আর ফিরে পাওয়া যায় না। আম্মার প্রতি অনেক যত্নবান হয়েছে দুই ভাই, এদিকে আপনাদের দোয়ায় আম্মা এখন সুস্থ আছেন। আব্বা অসুস্থ কালকে হসপিটালে নিয়ে যাব। আমি দোয়া করি আপনার পিতা-মাতার জন্য আপনিও দোয়া করবেন ভাই।

হ্যাঁ ভাইয়া ঠিক বলেছেন পিতা মাতা হচ্ছে প্রত্যেকটা সন্তানের অমূল্যবান সম্পদ। আপনার মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো।

ভাইয়া আপনার মা-বাবা দুজনই অসুস্থ তা জানি।দুজনের দেখাশোনা আপনারা দুজন করেন বিশেষ করে আপনি তাও জানি।আর এর জন্য মা-বাবার অনেক দোয়া আপনি পাবেন।দোয়া করি আল্লাহ দুজনকে সুস্থ রেখে নেক হায়াত দান করবেন।মেয়ের কান্নাকাটিতে মেয়েকে নিয়ে বাজারে যেতে হলো মায়ের জন্য ঔষধ কিনতে।তাই সাথে আপুও গেলো।সবকিছুর সাথে সাথে ঔষধের ও দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।সুন্দর মূহুর্ত শেয়ার করলেন। এজন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

হ্যাঁ আপু ওষুধ কিনতে যাওয়ার সময় মেয়ে কান্নাকাটি করার কারণে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ভালো থাকবেন আপু।

ভাইয়া প্রথমে আপনার বাবা-মায়ের জন্য অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা রইল। বর্তমান সময়ে ওষুধ এমন একটা জিনিস হয়ে গেছে যেটা আমাদের সুস্থ থাকার বড় অংশ নিয়ে নিয়েছে। আপনি আপনার বাবা মার জন্য ঔষধ আনতে যাবেন আপনি মেয়ে কান্না করে দিল যার জন্য। আসলে বাচ্চারা এমনি যাদের কাছে একটু বেশি ভালোবাসা পাবে তাদের সাথেই থাকতে চাইবে সব সময়। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

হ্যাঁ আপু ছোট বাচ্চারা যার কাছে বেশি ভালোবাসা পায় তার কাছে যায়। ভালো থাকবেন আপু সব সময়।

আপনার মা বাবা দুজনেই অসুস্থ সেটা জানি। তবে আপনার মায়ের তো দেখছি ডায়াবেটিস বেশ ভালোই বেড়ে গিয়েছে। উনার জন্য ঔষধ কিনেছেন,জেনে খুব ভালো লাগলো। ঔষধ কিনতে তো দেখছি মাইসুন এবং আকলিমা আপুকেও নিয়ে গিয়েছেন। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।