কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি বাংলা নাটক রিভিউ নিয়ে। বৃন্দাবন দাস রচিত জনপ্রিয় এই নাটকের নাম আলতা সুন্দরী। এই নাটকে মোট ৬২ পর্ব। আজকে আমি উপস্থিত হলাম ৩২ তম পর্ব রিভিউ করে শেয়ার করতে। চলুন তাহলে শুরু করি।

গুলজার অনেক আগ্রহে চা রেডি করে বসে ছিল নতুন নায়িকার আশায়। দেখা গেছে নতুন নায়িকা নায়ক কে সাথে নিয়ে গুলজারের বাসায় এসে উপস্থিত হয়েছে এবং চা খাওয়া ও আনন্দ আড্ডা শুরু করেছে। ইতোমধ্যে গানের দলের ভিলেন আর হাসেম জোয়ারী এসে উপস্থিত হয়। তাদের মধ্যে বেশ অনেক কথা আছে সে আনন্দ চলতে থাকে। নায়িকা যখন গুলজার কে তুমি করে কথা বলতে বলে এতে গুলজার এর অনেক ভালো লাগে। এছাড়াও গোলজারের মনের মধ্যে ভালো লাগার সৃষ্টি হয় নতুন দলে অংশ নিতে পারবে জেনে। গুলজার এর অনেক দিনের শখ এই গানের দলে নায়ক হওয়ার। নায়িকার আগমনের পর থেকে তার মধ্যে ভালোলাগা আরো বেড়ে যায়। একদিকে লক্ষ্য করা যায় গানের দলের নায়িকা আলতা সুন্দরী ওরুপে নসেরের বিয়ে হয়ে গেছে। আর তার বিয়ের খবরটা আনন্দের সাথে গুজারের বাড়িতে দিতে আসে নায়ক মেসের। কিন্তু দেখা যায় আগে থেকেই গুলজারের বাড়িতে দোয়া নিয়ে গেছে তারা বিয়ে করে। আর এই বিষয়টা হাসেম জোয়ারীর যারা ছিল না। হাসেম জোয়ারী চাই দ্রুত গানের দলের ওস্তাদের সাথে আলোচনায় বসছে।

এখনো রহিম বাদশা আগের মত আলতা সুন্দরীকে ভালবাসে। সে এখনো তাকে কল্পনায় অনুভব করে। আলতা সুন্দরীর জন্য ছুটে চলে গ্রামে গ্রামে। সে মাসুমার কাছে কথা দিয়েছে আলতা সুন্দরী শ্বশুরবাড়ি ঘুরে এসে যদি দেখে সত্যি আলতা সুন্দরী বিয়ে হয়ে গেছে তাহলে এরপরে মাসুমাকে ভালোবাসবে সে। কিন্তু মন তার মানে না এখনো। সে অনুভবে ভালোবাসা আলতা সুন্দরী কে। যখনই শুনেছে আলতা সুন্দরীর বিয়ের সুকর মিষ্টি তাকে দেওয়া হচ্ছে, তখন সে অনেক কষ্ট পেয়েছে। প্রথমে মনে করেছিল মিষ্টিটা ফেলে দেবে। পরবর্তীতে সে আলতা সুন্দরীর ভালবাসার মিষ্টিটা ফেলে না দিয়ে হাতে রেখেছে।

এদিকে গুলজার গানের দলে অংশ নিতে পারবে কিনা এমন একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকায় দলের ভিলেনের সাথে আলোচনা করছিল। সে দলের ভিলেনের কাছে বেশি অনুরোধ ভাবে বলতে থাকে যেভাবে হোক যেন তাকে দলের মধ্যে নেয়া হয়। তবে মৃত্যুর হাত ভিলেন ধরেছিল এই বিষয়টা গুলজার এর কাছে বেশ খারাপ দেখিয়েছে। কারন সে অনুভব করে মিস রানীর হাত যে কোন মানুষের ধরতে পারবে না। একমাত্র গোলজার এর মত মান সম্মান বংশীওয়ালা মানুষেরা ধরতে পারে। তবে বিষয়টা ভিলেন কিছুটা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে।

এদিকে আলত সুন্দরী বিয়ে করে নিজের বাড়িতে বউকে নিয়ে গেছিল কিন্তু বাড়ির লোকজন সেভাবে গ্রহণ করেনি। তাই শ্বশুরবাড়িতে শাশুড়ির সাথে বেশ চুক্তি পরামর্শ করছিল। সবকিছুর মাঝখানে পারুলের মনের মধ্যে একটা বাধা রয়েছে তার স্বামীকে আর আলতা সুন্দরীর পাঠ করতে দিবে না। তার স্বামী যেন গানের দলে আর না যায় এতেই তার ভালো হয়। আরেকদিকে বিউটি চায়না তার ভাই গানের দলে যাক। বিউটি চাই তার ভাই গুলজার শ্বশুরবাড়ি থেকে বউকে ফিরে এনে আগের মত ঘর সংসার করুক। সে কেন বেহায়ার মতো গানের দলে ঢুকতে চাচ্ছে নতুন নায়িকা কে দেখে। এইজন্য ভাইয়ের প্রতি রাগ ও ক্ষোভ বিউটির মনের মধ্যে।

ওদিকে আলতা সুন্দরীর বিয়ে হয়ে গেছে গানের দলে কে নায়িকার পাঠ করবে এই নিয়ে বেশ আলোচনা সৃষ্টি হয়। গানের দলের সবাই অংশগ্রহণ করেছিল এই মিটিংয়ে। হাসেম জোয়ারে বারবার আলতা সুন্দরীকে বাদ দিয়ে নতুন নায়িকাকে গ্রহণ করার জোর দাবি করতে থাকে। কিন্তু গানের দলের ওস্তাদ নতুন নায়িকা দিয়ে আলতা সুন্দরী পাঠ করাতে রাজি নয়। কারণ নতুন নায়িকা সে মেয়ে মানুষ সে স্টেজে উঠলে জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। যে কোন মুহূর্তে এক্সিডেন্ট হতে পারে তাই সে মেয়ে মানুষকে নাচাতে রাজি নয়। আর এই বিষয় নিয়ে তুমুল গন্ডগোল হয়ে যায় গানের দলের ওস্তাদ ও হাসেম জোয়ারীর এর মধ্যে। এক পর্যায়ে নায়ক মেসের ওস্তাদের পক্ষ নিয়ে হাসেমকে অপমান করে। আর এভাবেই এই পর্বের সমাপ্তি আসে।

আমরা এই নাটকে লক্ষ্য করে দেখেছি গুলজারের মনের মধ্যে নতুন ভালো লাগার আবির্ভাব ঘটেছে নতুন নায়িকাকে দেখে। সে অনেক আগে থেকেই গানের দলে অংশগ্রহণ করতে চাই কিন্তু কোনোভাবেই পারে নাই। কিন্তু এখন গানের দলে সত্যিকারের মেয়েমানুষ নায়িকা হয়ে এসেছে দেখে তার আর দেরি সয়না। আরেক দিকে আলতা সুন্দরী অভিনেতা নসেরের বিয়ে হয়ে গেছে এই আনন্দে আত্মহারা গানের দলের নায়ক মেসের। সে বুঝতে পারছে এখন তার প্রেমিকা বিউটিকে পাওয়ার সুযোগ। কারণ বিউটি নায়ক মেসের কে পাত্তা দিত না। সে গানের দলের নায়িকা অভিনেতা নসেরকে ভালোবাসতো। এদিকে অভিনয়ের মধ্যে একঘেয়েমিতা সৃষ্টি করে দিয়েছে রহিম বাদশার পাগলামি। যেখানে অভিনয়ের ভুল প্রয়োগ লক্ষ্য করা যায় শুরুর দিক থেকে এ পর্যন্ত। কারণ রহিম বাদশা আলতা সুন্দরীকে পাওয়ার জন্য এখনো পর্যন্ত পাগলামি করে চলেছে যা দর্শকের কাছে অবাঞ্ছিত মনে হয়েছে। এদিকে গানের দলে হাসেম জোয়ারীর হস্তক্ষেপটা কিছুতেই মেনে নিতে পারে না দলের অন্যান্য সদস্যরা। এইজন্য বড় আকারে একটি গ্যাঞ্জাম হয়ে যায়। তাই সব মিলিয়ে আমরা বলতে পারি এই অভিনয়ের মধ্যে গুলজার এর অভিনয়টা ছিল বেশ দারুন এবং হাস্যকর। এছাড়াও নায়ক মেসেরের আনন্দটা নতুন দিক উন্মোচন করতে চলেছে। এখন দেখা যাক বিউটি কাকে ভালোবাসে। তবে সে ক্ষেত্রে বলতে পারি গুলজার এর অভিনয়টা বেশ দারুন ছিল এই পর্বে।

আমি মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের bidyut01 এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। এক পরিবার থেকে "আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে" চারজন সদস্য রয়েছি। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ভালোলাগা রেসিপি তৈরি, নাটক রিভিউ, ভিডিও ও ফটোগ্রাফি করা সহ ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে সদস্য হয়ে পোস্ট শেয়ার করার।