কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম আমাদের প্রিয় খালাতো ডাক্তার হামজা ভাইয়ের বিবাহ উপলক্ষে আমার অনুভূতিমূলক পোস্ট উপস্থাপন করতে। ভাইয়ার বিয়ের কেনাকাটার বেশ কিছু পর্ব শেয়ার করেছি। আজকে সেই বিষয়ে লাস্ট পোস্ট নিয়ে এসেছি। আশা করবো আমার এই পোস্ট ভাল লাগবে। আর আজকের এই পোষ্টের মধ্য দিয়ে একবারে সমস্ত বিষয়ে একটু একটু করে জানতে পারবেন।
হামজা ভাইয়ার বিয়ের কেনাকাটার জন্য উনি আমাদের বাসায় আসলেন। যে সমস্ত জিনিসগুলো কিনতে হবে তার লিস্ট ওকে করা হয়। এরপর ভাইয়া ৭০ হাজার টাকা আমার ব্যাগে রাখেন। এরপর আমরা সবাই রেডি হয়ে বামুন্দি বাজারে চলে গেলাম। বামুন্দি বাজারে উপস্থিত হয়ে হামজা ভাইয়ের বন্ধুর এক কাপড়ের দোকানে উপস্থিত হয়। আর সেই দুকানকে কেন্দ্র করেই আমাদের কেনাকাটা। প্রথমে হামজা ভাই আর বন্ধুর দোকানে পাত্রীর জন্য বিয়ের শাড়ি, বিয়ের শাড়ি কিনতে গিয়ে বেশ অনেক সময় লেগে গেছিল এই বিষয়ে আমি আপনাদের মাঝে একটি পোস্ট শেয়ার করেছি পোস্টে। এই দোকান থেকে আরও পাত্রীর জন্য এক্সট্রা শাড়ি। পাত্রীর আম্মার জন্য একটা প্রিন্ট করা শাড়ি। পাত্রীর ভাবীর জন্য থ্রি পিস নেয়া হয়েছিল।
এরপর পর্যায় আসে হামজা ভাইয়ার বিয়ের জন্য মাথার মুকুট কেনার। হামজা ভাই আর বন্ধুর দোকানে টুপি ছিল না। তাই পাশের দোকান থেকে এই টুপিটা নিয়ে দেয়। আমরা ভাইয়া এর আগে জেনেছিল বিয়ের টুপির দাম টা একটু বেশি। আর সেই জায়গায় তাদের পরিচিত দোকান বলে কিছুটা কমে নিয়ে গিয়েছিল।
পাত্রের জন্য কসমেটিক সামগ্রিক কেনার মুহূর্তে আমি অন্য দোকানে উপস্থিত ছিলাম। তাই কসমেটিক সামগ্রী কি কি কেনা হয়েছিল ঠিক সেই মুহূর্তে আমার জানা ছিল না। কেনাকাটা টাকা দেওয়া শেষ এই মুহূর্তে আমি পাশের আর একটা দোকান থেকে আমার কেনাকাটা শেষ করে উপস্থিত হয়। এসে দেখলাম টাকা পরিশোধ করা হয়ে গেছে।
পাত্রীর জন্য স্যান্ডেল বা জুতা কেনা হয়েছিল তখন আমি উপস্থিত ছিলাম সাথে। যে দোকানটায় আমরা উপস্থিত হয়েছিলাম এই দোকানটায় ছোট বড় সকল শ্রেণীর ছেলে মেয়েদের সবকিছুই রয়েছে দেখলাম। তবে তার মধ্য থেকে নিউ মডেলের জুতা নেয়া হয়েছিল। পাশাপাশি দোকান হওয়ায় ভাইয়ার বন্ধুর দোকানের সেই ছেলেটা একের পর এক ম্যানেজ করে দিতে থাক ছিল।
এর পরের বিষয়টা ছিল ভাইয়ার নাগরা জুতা নেওয়ার বিষয়। সেম দোকান থেকেই দুজনার স্যান্ডেল জুতাগুলো নেয়া হয়েছিল। এজন্য আলাদা আলাদা ঘরে আর যাওয়ার প্রয়োজন হয়েছিল না আমাদের।
এরপর সবকিছু নিয়ে এসে হামজা ভাইয়ার বন্ধুর দোকানে রাখা হলো। হামজা ভাইয়াকে সেখানে সাজানো হলো। সবকিছু গায়ে ফিটফাট ঠিকঠাক আছে কিনা এটাও আমরা চেক করে নিয়েছিলাম।, যেন পরবর্তীতে ব্যাগ দিতে না আসতে হয়। এরপর সমস্ত জিনিসগুলো আলাদা আলাদা ভাবে রাখা হয়। এদিকে লিস্ট ধরে ধরে টিক ক্রস করা হয়, কোন কোন জিনিসগুলা নেওয়া হয়েছে। কোন কোন বিষয়ের জিনিসে কেমন খরচ হয়েছিল সেগুলো আলাদাভাবে হিসাব করা হলো। বাইরের দোকানগুলো থেকে যে সমস্ত জিনিসগুলা নিয়ে আসা হয়েছে সেগুলোর দাম সেখানেই দিয়ে আসা হয়েছে। আর এভাবেই একটা মুহূর্তের হিসাব-নিকাশ করা হয়। প্রথমে বাইরে থেকে সংরক্ষণ করার জিনিস গুলোর হিসাব আলাদা। পরবর্তীতে বন্ধুর দোকানের হিসাব।
সমস্ত হিসাব শেষ করে জিনিসগুলো আলাদা আলাদা প্যাকেট করে সাজিয়ে নেওয়া হল। যে যে ব্যক্তির জন্য যে জামা কাপড় সেটা আলাদা আলাদা করে রাখা হয়। আর এভাবে আলাদা প্যাকেট গুলো একত্রে নেয়া হয়। সাথে ভাইয়ার মাথার মুকুট গায়ের পাঞ্জাবি বা শেরওয়ানি আলাদাভাবে নেওয়া হয়। আর এভাবে সমস্ত জিনিসগুলো গোছগাছ করে নিয়ে এই দোকানের টাকা পরিশোধ করে আমরা দোকান থেকে বের হয়ে আসি। দোকানের থাকা দুইজন ছেলের মধ্যে পরিচিত ছেলেটা আমাদের রাস্তা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে গেল। তবে একটা কথা বলল আমরা যে সমস্ত জিনিস গুলো নিয়েছি এখানে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা কম লেগেছে। মূলত ভাই আর বন্ধুর দোকান বলে আর তাদের পরিচিত দোকান বলেই ম্যানেজ করা সম্ভব হয়েছে এত কমে। আর এভাবেই সমস্ত কেনাকাটার পর্ব শেষ করেছিলাম।
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
বিষয় | হামজা ভাইয়ের বিয়ে |
---|---|
What3words Location | Gangni-Meherpur |
মোবাইল | Infinix Hot 11s |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
ব্লগার | আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর নার্সিং কোর্স করে বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
বেশ ভালো লাগলো আপনার আজকের এই পোস্ট দেখে। অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন কেনাকাটার মুহূর্তগুলো। যেখানে প্রয়োজন এর সমস্ত জিনিসগুলো একের পর এক উপস্থাপন করেছেন। আর এর মধ্যে দিয়ে বেশ অনেক কিছু জানার সুযোগ হলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সুন্দর ভাবে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দেখতে দেখতে আপনি আপনার হামজা ভাইয়ের বিয়ের কেনাকাটা আর শেষ পর্ব আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। আপনার পোস্টটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনি অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে কেনাকাটার মুহূর্তটা উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ এবার বিয়ের মুহূর্ত শেয়ার করব
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বিয়ের মুহূর্তগুলো দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit