কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি,পুকুরপাড়ের কাশফুলের ফটোগ্রাফি মোবাইলে ধারণ করে শেয়ার করার জন্য। আশা করব আমার ধারণা করা কাশফুলের ফটোগুলো আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
কাশফুল ফটোগ্রাফি
আমরা সকলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পছন্দ করি। প্রকৃতির মাঝে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ভালো লাগার অনেক দৃশ্য। আমরা গ্রামের মানুষ,গ্রামে গাছপালা পশুপাখি আর ফসলের মাঠ ফুল ফল সব কিছু মিলে খুব সুন্দর্য উপভোগ করে থাকে শীতল বাতাসে নিঃশ্বাস নেওয়ার মধ্য দিয়ে। আমরা জানি যারা শহরে বাস করেন তারা বসবাস করতে গিয়ে বোরিং হয়ে যান। চার দেয়ালের বন্দী জীবনের মধ্যে জীবনটা হয়ে ওঠে বিষন্ন। তাই সুযোগ পেলেই গ্রামের পরিবেশে ঘুরতে আসার চেষ্টা করে তারা। আর আমরা যারা গ্রামে বসবাস করি আমরা কিন্তু বোরিং হয় না। কারণ এমন প্রাকৃতিক পরিবেশের সৌন্দর্য যে কোন মুহূর্তে উপভোগ করতে পারি। কিছুদিন আগে পুকুরপাড়ে সবজি উত্তোলনের জন্য এবং পুকুরের জেলেরা মাছ ধরতে এসেছিল সে মাছ ধরা দেখার জন্য উপস্থিত হয়েছিলাম। কিন্তু তখনো চোখে বাঁধেনি কাশফুলের চিত্র। প্রাকৃতিক পরিবেশ আমাদের মাঝে যে কোন মুহূর্তে নতুন নতুন রূপ নিয়ে উপস্থিত হয়ে যায়। আর খুঁজে পাই অসাধারণ ভালোলাগার সৌন্দর্য। ঠিক তেমনি হঠাৎ গত কয়েকদিন আগে পুকুরে উপস্থিত হয়ে দেখা মিলল কাশফুলের। আসলে শরৎকাল আসলে পারে কাশফুলের দেখা মেলে, আকাশের সুন্দর মেঘের দেখা মেলে। তবে এখন ভাদ্র মাসের শেষ। অনুভব করার পূর্বেই যেন শরতের একটা মাস শেষ করে ফেললাম। এই মুহূর্তেই যেন স্বর্গের সুন্দর অনুভূতি খুঁজে পেয়েছি প্রকৃতির মাঝে। কাশফুল গুলো দেখার পর মনে হল এখন শরৎকাল।
আমি যখন ফটোগুলো ধারণ করেছিলাম তখন আকাশে প্রচন্ড রোদের কিরণ। সূর্য কিছুটা পশ্চিম দিকে। তাই পূর্ব দিক থেকে ফটো তেমন ভালোভাবে ধারণ করতে না পারলে উপভোগ করেছি মনের মত। কারণ ওই মুহূর্তে ঝিরিঝিরি বাতাস বয়ে চলছিল। গাছের ছায়ায় দাঁড়িয়ে উপভোগ করছিলাম প্রাকৃতিক পরিবেশের সৌন্দর্য, যেখানে সবুজ ফসলের মাঠ, পুকুরপাড়ের কলাবাগান। পুকুরে মাছের খাবার দেওয়ার। গাছে গাছে এবং কারেন্টের তারে পাখির উপস্থিতি। সবকিছুর মধ্য থেকে যখন ফটোগুলো ধারণ করছিলাম যেন মনের মধ্যে রং লেগে গেল। হয়তো এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে শহরের মানুষদের বেশ সাজা গুজা করা লাগে, তৈরি হওয়া লাগে এবং পথে ট্রাফিক জামের সম্মুখীন হওয়া লাগে। কিন্তু আমাদের এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে। ইচ্ছে হলেই পরিবারের কয়েকটা কাজকর্ম গুছিয়ে আধা ঘন্টার মধ্যেই রেডি হয়ে পুকুরে উপস্থিত হওয়া যায়। এছাড়াও হঠাৎ প্রয়োজন মনে করলেও বাড়ির কাজকর্ম দেখাশোনার জন্য যার তার উপর দায়িত্ব দিয়ে ১০ মিনিটের মধ্যে পুকুরপাড়ের এমন সুন্দর জায়গায় উপস্থিত হতে পারে। অর্থাৎ বলতে গেলে প্রাকৃতিক পরিবেশের এই অপরূপ সৌন্দর্য ক্যামেরাবন্দি করতে আমাদের কাছে পরিশ্রম করা লাগে না আশা করে থেমে থাকা লাগে।
আমরা জানি শরতের আকাশে সাদা সাদা মেঘ ভেসে বেড়ায়। আমি সেই মেঘের ফটো ধারণ করেছি, তবে আজকের মত কাশফুল আপনাদের মাঝে শেয়ার। পরবর্তীতে আকাশের সুন্দর মেঘের দৃশ্য আপনাদের মাঝে তুলে ধর। আরো চেষ্টা করব কাশফুল সহ আকাশের মেঘের চিত্র আপনাদের মাঝে শেয়ার। কারণ শরৎকাল আসলে পারে যেন নতুন পরিবেশ নিয়ে আসে আমাদের মাঝে। এইযে কাশফুলগুলো রয়েছে এর পাশেই রয়েছে কিছুটা ধানের জমি। লক্ষ্য করে দেখলাম মাত্র সেদিন ধান লাগানোর দৃশ্য আপনাদের মাঝে শেয়ার। ধান গুলো দেখতে সবুজের ছেয়ে গেছে। প্রত্যেকটা সময় যেন নতুন নতুন রূপ নিয়ে উপস্থিত হয়। তবে এই সময়টাতে আমি একটা জিনিস বেশি ফলো করে দেখলাম। পাশের বাঁশবাগানের পাতাগুলো ঘন। সেখানে কোন মরা পাতা বা হলুদ পাতা নেই। বাগানের কলাগাছগুলোর পাতাগুলো ঘন সবুজে ঢাকা। ফসলের মাঠ ঘন সবুজ। আশেপাশের গাছগুলো সব ঘন সবুজ হয়ে রয়েছে। আর তারে মাঝখানে সাদা সাদা এই ফুলগুলো সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে তুলেছে পরিবেশটাকে। আমাদের এই পুকুর পাড়ের আরো কিছুটা উত্তর পাশের লক্ষ্য করে দেখলাম অনেক কা। তবে সেই জায়গাটা একটু বন জঙ্গলে ঘেরা যার জন্য উপস্থিত হতে পারলাম না। সামনে কোন একদিন সময় করে সেখানে উপস্থিত হয়ে আপনাদের মাঝে ফটো ধারণ করে দেখানোর চেষ্টা। কারণ প্রাকৃতিক পরিবেশের এই সৌন্দর্যগুলো উপভোগ করতে আমি খুবই পছন্দ করি। তাই আমি প্রায় পোস্টে আপনাদের মাঝে এই সমস্ত সবুজে ঘেরা প্রকৃতির সৌন্দর্য শেয়ার করার চেষ্টা করে থাকি। যারা এখনো পর্যন্ত শরৎকালের এই সৌন্দর্য উপভোগ করেন নাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন নিকটস্থ কোনো স্থানে গিয়ে কাশফুল ও আকাশের সাদা সাদা মেঘের দৃশ্য একত্রে উপভোগ করার। কারণ এখানে বাংলার মা মাটির স্বাদ গ্রহণ করতে পারবেন শীতল বাতাস গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে।
ডিভাইস | Huawei P30 Pro-40mp |
---|---|
বিষয় | কাশফুল এর ফটোগ্রাফি |
লোকেশন | গাংনী- মেহেরপুর |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
অনেকদিন পরে আপনার মাধ্যমে কাশফুল দেখতে পেলাম এর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। আসলে কাশফুল দেখলেই যেন মনের মাঝে অন্য রকমের একটা দোলা দিয়ে যায়। এই কাশফুল এতটাই সুন্দর ভাবে পড়তে থাকে যা দেখে প্রত্যেকটা মানুষই মুগ্ধ হয়ে যায়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি কিন্তু ঠিক বলেছেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
শরতের কাশফুল এবং নীল আকাশ সবকিছুই অসাধারণ লাগে দেখতে। কাশফুলের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো। সত্যি মুগ্ধ হয়ে গেলাম আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার ফটোগ্রাফি এবং মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ ভালোলাগার সময় ছিল সেটা
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার ঢাকার বাসার পেছনের ফাকা যায়গায় অনেক কাশফুল ছিল একসময়। এখন সে জায়গায় ২০ টা ১০-তলার বিল্ডিং এর প্রজেক্টের কাজ চলছে। হারিয়ে গেছে কাশফুল গুলো!
আপনার ছবির মাধ্যমে কাশফুল গুলো দেখে অনেক ভাল লাগল।
ভাল থাকুন।
মাংশপেশী ক্ষয় একটা স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু একজন সুস্থ্য মানুষের ক্ষেত্রে এই ক্ষয়টা পূরণ হয়ে যায়। তবে সাধারণত দেখায় যায় যে, একটা পর্যায় পরে (মধ্য বয়সের পর) প্রতি ১ দশকে প্রায় ৪-৬ পাউন্ডের মত মাংসপেশী ক্ষয় হয়। এটাও দেখা গেছে যে, ৮০ বছরের বেশী বয়স্ক লোকদের মধ্যে ৫০ ভাগেরও বেশী মানুষের উল্লেখযোগ্য মাংশপেশী ক্ষয় থাকে। পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ এবং নিয়মিত ব্যায়াম করার মাধ্যমে এই মাংশপেশী ক্ষয় ঠেকানো যেতে পারে।
প্রতি কেজি ওজনের জন্যে একজন মানুষকে প্রতিদিন ০.৮ গ্রাম করে প্রোটিন গ্রহণ করা উচিত। সুতরাং একজন ৭৫ কেজি ওজনের মানুষের জন্যে প্রতিদিন অন্তত ৬০ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করা দরকার। এটা প্লান্ট সোর্স থেকেও হতে পারে আবার মাছ/মাংশের সোর্স থেকেও আসতে পারে। খেয়াল রাখতে হবে যে প্রোটিন যেন সববেলার খাবারের মধ্যেই কম-বেশী থাকে। একবারে পুরো প্রোটিন খেয়ে নিয়ে অন্য খাবারের সময় প্রোটিন ছাড়া খাবার গ্রহণ করার অভ্যাস করা যাবে না। প্রত্যেক ওয়াক্তের খাবারের ভিতরেই প্রোটিন রাখতে হবে। বাজারে বিভিন্ন প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট কিনতে পাওয়া যায়। এগুলো ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী। আরো জানতে চাইলে এই আর্টিকেলটা পড়তে পারেন (ইংরেজীতে)
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাইয়া খুব ভালো লাগলো আপনার পরামর্শ দেখে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি আপু শরৎকাল আসলেই কাশফুলের দেখা মেলে।অনেক দিন পর আপনার পোস্টে এতো সুন্দর কাশফুল দেখতে পেলাম। আমাদের এইদিকে কাশফুলের গাছ রয়েছে তবে এখনো ঠিক মত বের হয়নি ফুল গুলো। ধন্যবাদ আপু পোস্ট টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমি আবারো এই সপ্তাহে কাশফুল নিয়ে উপস্থিত হব
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
শরতের কাশফুল দেখে অনেক ভালো লাগে। আর আপনি এত সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফিগুলো করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে এই ধরনের দৃশ্যগুলো সামনাসামনি দেখতে বেশি ভালো লাগে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন একদম
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
প্রতিটা ঋতু তার আলাদা আলাদা রূপ নিয়ে হাজির হয়। যেমন শরৎকালে নদীর পাড়ে খালের পাড়ে সাদা কাশফুলে ভরে ওঠে চারিপাশ। এ যে কি মনোরম দৃশ্য। আহা! ফটোগ্রাফিগুলো এবং আপনার সুন্দর মুহূর্ত পড়ে বেশ ভালো লাগলো আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু এ সময় কাশফুলের দেখা মিলে সব জায়গায়
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit