প্রতিযোগিতা-২৪ || ফেলা আসা জীবনের বন্ধুত্বের স্মৃতি ||১০%লাজুক খ্যাকের জন্য

in hive-129948 •  2 years ago 

আজ - ২৭ আশ্বিন | ১৪২৯ বঙ্গাব্দ | বুধবার | শরৎকাল |



আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।


আজ আমি আপনাদের মাঝে কমিউনিটিতে চলমান প্রতিযোগিতা,ফেলা আসা জীবনের বন্ধুত্বের স্মৃতি। আশা করছি আপনাদের সবার ভালো লাগবে।



  • কমিউনিটিতে চলমান প্রতিযোগিতা
  • আজ ২৭ শরৎকাল, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
  • বুধবার


প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সকল এডমিন এবং মডারেটরকে এতো সুন্দর একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি মানেই আমার কাছে অতি আবেগের একটি জায়গা।এই কমিউনিটিতে যোগদান করার পরে অনেক কিছু জেনেছি এবং শিখেছি,সেই সাথে নিজের মনের না বলা কথা গুলো নিজের মতো করে প্রকাশ করতে পেরেছি।প্রতিনিয়ত সুন্দর সুন্দর প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা আমাদের ফেলে আসা স্মৃতি কিছুক্ষণের জন্য হলেও জাগ্রত করতে পারছি।কিছু স্মৃতি মনে করে সেটা নিয়ে কিছুটা সময় ভাবা এ যেন এক অন্য রকম অনুভূতি। আর এই সবটাই সম্ভব হয়েছে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি জন্য।এ জন্য আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি ফাউন্ডার আমাদের সকলে প্রিয় @rme দাদা সহ সকল এডমিন এবং মডারেটরের কাছে চিরকৃতজ্ঞ।আশা করবো এ রকম সুন্দর সুন্দর প্রতিযোগিতা প্রতিনিয়ত আমাদের মাঝে তুলে ধরবেন।


তো চলুন শুরু করা যাক...!


শুভ সকাল সবাইকে.....!!


বন্ধুত্ব শব্দ টা শুনলেই মনের মধ্যে কোন রকম অনুভূতির জন্ম হয়। এই অনুভূতিটা হয়তো কখনো বলে বোঝানো যায় না। বন্ধুত্ব এই শব্দটা খুবই ছোট হলেও এর মহত্ব অনেক বেশি। আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা এই ছোট্ট শব্দের মাঝে কত কিছু লুকিয়ে আছে। বন্ধু বলতে কি শুধু আমরা ওই মানুষগুলোকেই বুঝি যে স্কুল কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় যাদের সঙ্গে আমরা লেখাপড়া করি তারাই বন্ধু...?? আমি মনে করি এগুলো আমাদের সহপাঠী বন্ধু শব্দটা অন্যরকম। ১০ বছরের একটা ছেলের সঙ্গে ৪০ বছরের একটা ছেলের বন্ধুত্ব হতেই পারে। বন্ধুত্ব কখনোই বয়স দিয়ে হয় না। আবার বন্ধুত্ব কখনো ধনী গরিব ভেদাভেদ করে না। বন্ধুত্ব সব সময় একটি সরলরেখার মত যেটা একটা নির্দিষ্ট জায়গা থেকে উৎপন্ন হয় এবং এটা কোথায় গিয়ে থামবে সেটা কেউ জানে না। ছোটবেলা থেকে আমরা যাদের সঙ্গে বড় হয়ে উঠি একই মাঠে খেলাধুলা করি এবং অনেকটা বড় হওয়ার পরে আমরা তাদের সঙ্গেই সময় অতিবাহিত করি। মূলত সময় অতিবাহিত করার পাশাপাশি আমরা একে অপরের খুব ভালো বন্ধু হয়ে উঠি। কিন্তু এই বন্ধুত্বের মর্যাদাটা হয়তো আমরা অনেকেই ধরে রাখতে পারি না। আবার অনেকেই এই মর্যাদাটা এত ভালোভাবে ধরে রাখেন যে তারা কখনোই এটা হারাতে চায় না। বন্ধুত্ব কখনো হয় না মলিন এটা সবসময়ই রঙিন থাকে। বন্ধুত্ব শব্দটার স্বর্ণের মত, স্বর্ণকে আপনি যতই ঘষাঘষি করবেন সে ততবেশি চকচকে হবে। ঠিক তেমনি ভাবে আপনি বন্ধুর যত্ন নিবেন বন্ধুত্ব তত বেশি শক্ত এবং মজবুত হবে। মূলত বন্ধুত্ব বলতে আমি এটাই বুঝি। যে যত বেশি বন্ধুর যত্ন নিতে পারবে তাদের বন্ধুত্ব ঠিক তত বেশি শক্ত হবে। শক্ত হতে হতে এমন একটা প্রাচীর তৈরি হবে যেটা ভাঙ্গা কখনোই সম্ভব নয়। সময় চলে যাবে মানুষ মারা যাবে কিন্তু তাদের বন্ধুত্বটা পৃথিবীর বুকে চিরদিনের জন্য থেকে যাবে।

IMG20221002200419-01.jpeg

কভার ফটো তৈরিতেঃ- @jibon47

এবার আমি আপনাদের মাঝে আমার জীবনে ফেলে আসা বন্ধুত্বের স্মৃতি নিয়ে কিছু কথা বলব। ব্যক্তিগতভাবে আমি খুব সহজেই মানুষের সঙ্গে মিশে যেতে পারি। মানুষের সঙ্গে কেমন ভাবে মিশে যায় সেটা আমি নিজেই জানিনা তবে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই মানুষকে আপন ভাবতে শুরু করি এবং খুব সহজেই একজন অপরিচিত মানুষ আমার আপন হয়ে যায়। দুজন দুজনার খুব কাছে চলে যাই যদি তারা তিনজন হয় তাতেও কোন সমস্যা নেই মানিয়ে নিতে পারি কোন এক ভাবে। তবে কারো সঙ্গে ওইভাবে কখনোই বন্ধুত্ব হয়ে ওঠেনি যেমন ভাবে বর্তমান সমাজে সবারই একজন অথবা দুজন বন্ধু থাকে যাদেরকে এই ভদ্র সমাজ নাম দিয়েছে বেস্ট ফ্রেন্ড। বেস্ট ফ্রেন্ড আমার জীবনে কখনোই হয়নি এখন পর্যন্ত আমার জীবনে বেস্ট ফ্রেন্ড নামক কোন মানুষ আসেনি। স্কুলে লেখাপড়া করেছি তারপরে ইনস্টিটিউটে লেখাপড়া করেছি তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে এটাই এখন পর্যন্ত কারো সঙ্গে সে রকম ভাবে মনের আদান-প্রদান হয়নি। ওই যে থাকে না মন খারাপের সময় বন্ধুকে ফোন দিয়ে আবোল তাবোল গল্প করার জন্য অথবা অযথাই কোনরকম কারণ ছাড়া ঘুরতে বের হওয়া বা পাশাপাশি হাঁটাহাঁটি করা হোক সেটা কোন উদ্দেশ্যে। কারো সঙ্গে সেরকম ভাবে এখন পর্যন্ত পরিচয় হতে পারেনি। তবে হ্যাঁ এখন হয়তো অনেকেই বলবে বন্ধু ছাড়া আবার জীবন চলে নাকি এতদূর পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন স্কুলে পড়েছেন ইনস্টিটিউটে পড়েছেন বন্ধুত্ব হয়নি এটা কোন কথা। আমার এই কথাগুলো হয়তো অনেকেই হেসে উড়িয়ে দেবে। কিন্তু এটাই বাস্তব। যখন স্কুল কলেজে পড়েছি তখন ক্লাসের প্রায় সকলের সঙ্গেই খুব ভালো পরিচয় ছিল সকলের সঙ্গে অনেক সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করতাম। সকলের সঙ্গে বসে আমিও আড্ডা দিতাম।এরকম বন্ধু অনেক পেয়েছি কিন্তু ভদ্র সমাজ বন্ধুত্বের একটা নাম দিয়েছে সেটা হচ্ছে বেস্ট ফ্রেন্ড। আমি মূলত এই বেস্ট ফ্রেন্ডের কথাই বলছি। বেস্ট ফ্রেন্ড কখনো হয়ে ওঠেনি।

people-4050698_640 (2).jpg

source


স্কুল লাইফের বন্ধুদের সঙ্গে অনেক সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছি। তাদের নিয়ে যদি লিখতে যাই তাহলে হয়তো অনেক কিছুই লিখতে পারব অনেক অনেক স্মৃতি তাদের সঙ্গে আছে। সেগুলো আর না বলি। মূলত ইনস্টিটিউট লাইফে এসে একদম শেষ পর্যায়ে একটা ঘটনা ঘটে গিয়েছে মূলত সেই ঘটনাটি আমি আপনাদের মাঝে তুলে ধরব সেটাই আমার জীবনের একটা স্মৃতি হয়ে থাকবে। স্মৃতিটা সত্যিই অনেক বেশি রোমাঞ্চকর ছিল এখনো মাঝে মাঝে মনে পড়ে বন্ধুর সঙ্গে সেই স্মৃতিটা। ইনস্টিউট লাইফে যখন প্রথম যাই তখন নতুন কোন বন্ধু ছিল না কাউকেই তেমন একটা চিনতাম না। যখন চতুর্থ পর্বে পড়ি তখন একটা ছেলের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। ছেলেটা ক্লাসে ভালোই পড়ালেখা করত কিন্তু হঠাৎ করেই কেন জানি লেখা পড়ার প্রতি অমনোযোগী হয়ে গেল আগের মতো আর ভালো রেজাল্ট করতে পারেনা। এরকম ভাবেই চলতে থাকে অনেকদিন তার সঙ্গে মাঝে মাঝে কলেজে ফিল্ডে বসে গল্প করতাম এরকম ভাবে গল্প করতে করতে খুব সহজেই আমাদের মাঝে একটা বন্ধুত্ব হয়। বন্ধুত্বটা আস্তে আস্তে এত গভীরে চলে যায় যেটা আমি হয়তো কখনোই ভাবতে পারিনি। বিষয়টা এমন হয়ে দাঁড়ায় যে আমি যদি ক্যাম্পাসে না যাই তাহলে সেও ক্যাম্পাসে আসেনা। আবার সে যদি ক্যাম্পাসে না আসে আমিও যায় না। যে আগে ক্লাস রুমে ঢুকবে সে পাশে একটা সিট রেখে দেবে বিষয়টা এমন হয়ে গিয়েছিল। যদি সে কখনো আগে আগে এ ক্লাসে যেত আমার জন্য তার পাশেই একটা সিট রেখে দিত আবার আমিও ঠিক তেমনটাই করতাম।

students-377789_640.jpg

source


দেখতে দেখতে আমাদের সপ্তম সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষা চলে আসলো। সব থেকে মজার ব্যাপার হচ্ছে এটাই যে আমার আর আমার বন্ধুর ছিট পরীক্ষার হলে একদম পাশাপাশি পড়েছে। এরকম দেখে আমরা দুজন অনেক বেশি খুশি হয়েছিলাম। প্রথম দিনের পরীক্ষাটা খুবই ভালো হয়েছিল এরপরে প্রায় ছুটি ছিল পাঁচ দিন। এর মাঝে ওর গার্লফ্রেন্ডের বিয়ে ঠিক হয়ে যায় এবং হঠাৎ করেই বিয়ে হয়ে যায়। অনেক বেশি ডিপ্রেশনে চলে যায় এমন একটা পর্যায়ে চলে যায় যে ওর পরীক্ষায় দেবে না এরকম সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে। লেখাপড়া তো কিছুই করেনি পরীক্ষার আগে আমরা যতই ক্লাসে লেখাপড়া করি না কেন পরীক্ষা যখন শুরু হয়ে যায় তখন যদি সেই পড়া গুলো রিভাইস দেওয়া না হয় তাহলে সেগুলো আর মনে থাকে না। ও পরীক্ষা দিতে আসবি না আমি ওকে জোর করে পরীক্ষার হল অব্দি নিয়ে আসি। সেদিন খুবই কঠিন একটা সাবজেক্ট পরীক্ষা ছিল,মেকানিক্যাল মেজারমেন্ট এন্ড মেট্রলজি। স্যার যখন খাতা এবং প্রশ্ন দিয়ে চলে যায় তখন সচরাচর আমরা সকলে লেখা শুরু করি আমি তখন ওর দিকে তাকিয়ে দেখি ও শুধুমাত্র কভার পেজের নাম বিষয় বিষয় কোড এগুলোর লিখে বসে আছে মনটা খুবই খারাপ। সত্যি বলতে ওর এরকম অবস্থা দেখে আমার নিজেরও অনেক বেশি খারাপ লাগছিল। যেহেতু তখন কোভিট-১৯ ছিল তাই আমাদের পরীক্ষাটা অর্ধেক মার্কের হয়েছিল। আমি খুব শীঘ্রই লেখা শুরু করলাম। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম শুধুমাত্র আমি পাস মার্কটা তুলতে পারলেই হলো। স্যার এ পর্যায়ে এসে সবার খাতা সিগনেচার করে চলে গেল আমি দ্রুত লেখা শুরু করলাম। ৯০ মার্কের পরীক্ষার মধ্যে ৪৫ মার্কের পরীক্ষা হচ্ছে। সেই হিসেবে আমাকে ৪৫ মার্কের এনসার করতে হবে। আমি নিজে প্রায় ৩০ থেকে ৩২ মার্কের এনসার করেছিলাম। এরপরে স্যারের চোখ ফাঁকি দিয়ে আমি খাতা ওলট-পালট করে নেই যেহেতু ও আমার পাশেই ছিল। ওর খাতাটা নিয়ে দেখি তেমন কিছু লেখেনি গুনে পাঁচ থেকে দশ মার্কের এনসার করেছে। আমার কথাটা আমি ওর কাছে দিয়ে ওর খাতাটা আমার কাছে নিয়ে আমি আবার লেখা শুরু করি। ওকে লিখতে গিয়ে এখন দেখি আমার থেকে ওর মার্কস বেশি হয়ে গিয়েছে ওকে আমি প্রায় ৩০ মার্কের মতো লিখে দিয়েছি। আর এর আগে ও দশ মার্কের আনসার করেছে মোট মিলিয়ে ওর প্রায় ৪০। পরীক্ষায় ফেল হওয়ার কোন সম্ভাবনাই নেই । দুজন পরীক্ষা দিয়ে মনের আনন্দে কলেজের ফিল্ডে গিয়ে বসলাম। সেদিন নিজের কাছে কোনো রকম ভালো লাগা কাজ করছিল কেমন ভালোলাগা কাজ করছিল সেটা হয়তো আমি বলে বোঝাতে পারবো না। আসলে সেই মুহূর্তটা এখনো মনে পড়লে শরীরের লোম দাঁড়িয়ে যায়।

sunset-1807524_640.webp

source


উপরের এই ঘটনা অবলম্বনে আমার সাথেও এমন একটি ঘটনাই ঘটে গিয়েছিল যেদিন সপ্তম পর্বের একদম শেষ পরীক্ষা ছিল। খুব ছোটবেলা থেকেই আমি ম্যাথমেটিক্স খুব ভয় পাই। বলতে পারেন ম্যাথ দেখলে আমার ভয় করে আমি তেমন একটা ভালো ম্যাথ পারিনা। সেদিনের পরীক্ষাটা ছিল ডিজাইন অফ মেশিন এলিমেন্টস। যেই সাবজেক্টটা ভর্তি শুধু ম্যাথ আর ম্যাথ। আমি আগে থেকেই বুঝে গিয়েছিলাম আমার পরীক্ষাটা আজকে খারাপ হবে কিন্তু পরীক্ষার হলে যাওয়ার পরে প্রশ্ন যখন হাতে পেলাম, তার আগ পর্যন্ত কখনোই ভাবি নি যে এমনটা হবে। আমার সেদিন হাতে গুনে নয় মার্ক কমন ছিল আমি নিশ্চিত ধরে নিয়েছিলাম যে আমি আজ ফের করবো। সিট পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে আমার সেই বন্ধু অনেকটাই আমার থেকে দূরে। কোনভাবেই ওর হেল্প নিতে পারবো না। ৮ থেকে ১০ মার্কের এনসার করে বসেছিলাম। তবে সব থেকে মজার ব্যাপার ছিল আমার সিট পড়েছিল দরজার পাশে। আমি আমার ওই বন্ধুকে কিছুই বলিনি যে আমি লিখিনি বা আমার প্রশ্ন কমন আসেনি। সে হঠাৎ করে বাহিরে যাওয়ার কথা বলে স্যারের থেকে অনুমতি নিয়ে বাহিরে যায় বাহির থেকে আসার পরে হঠাৎ করেই স্যারকে অন্যদিকে গল্প করতে দেখে ও আমার প্রশ্নটা ওর হাতে নিয়ে নেয় এবং ওর প্রশ্নটা আমার টেবিলের উপর রেখে চলে যায়। আমি অনেকটাই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। প্রশ্নটা উল্টাতেই আমি রীতিমতো অবাক। আমি দেখি প্রশ্নের উপরে প্রায় তিনটা অংক করে দিয়েছে প্রতিটা অংকের মার্ক ছিল আট। সেদিন যে কতটা খুশি হয়েছিলাম বলে বোঝাতে পারবো না। ও সেদিন আমার হেল্প করেছিল বলেই আমি সপ্তম পর্ব পাশ করে বেরিয়ে আসতে পেরেছি।

hand-782688__480.webp

source

যদি আমার এই বন্ধুটা সেদিন আমাকে সাহায্য না করতো হয়তো পরবর্তীতে আমাকে রেফার্ড পরীক্ষা দিয়ে পাস করতে হতো। তার এই ঋণ আমি কখনোই শোধ করতে পারব না। হয়তো এটাই বন্ধুত্ব। এক বন্ধু আরেক বন্ধুর বিপদে এগিয়ে আসবে এটাই স্বাভাবিক। তখন থেকেই তার সঙ্গে আমার বন্ধুত্বটা আরও বেশি গভীর হয়। এখন হয়তো দুজন দুই প্রান্তে প্রতিদিনের মতো আর দেখা হয়ে ওঠেনা। কিন্তু আমি প্রতিটা মুহূর্তে তাকে খুব মিস করি। মাঝে মাঝে হয়তো মেসেঞ্জারে কথা হয় অথবা ভিডিও কল দিয়ে দুজন অনেকটা সময় খোশ গল্পে মেতে উঠি। মন চাইলেই হয়তো দুজন আর দেখা করতে পারিনা তবে তাকে আমি মনে রাখবো সব সময়। এটাই ছিল আমার ফেলে আসা জীবনে বন্ধুত্বের স্মৃতি। যেই স্মৃতিটা আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আশা করছি এই গল্পটি আপনাদের খুবই ভালো লেগেছে।




আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আমি আশা করিছি আপনারা সবাই আমার পোষ্ট উপভোগ করবেন এবং আপনারা সবাই আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন

পোষ্টের বিবরণ
বিভাগকমিউনিটিতে চলমান প্রতিযোগিতা
ডিভাইজRealme 6i
বিষয়ফেলা আসা জীবনের বন্ধুত্বের স্মৃতি।
পোষ্টের কারিগর@jibon47

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

প্রথমে আপনাকে এত সুন্দর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই। আপনার পুরো পোস্টটি পড়ে সত্যি খুব ভালো লাগলো। আসলে পেলে আসা অনুভূতিগুলো পড়ে আমারও অনেক স্মৃতির কথা মনে পড়ে গেল। এত দুর্দান্ত পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ‌‌‌‌।

আমার এই পোস্ট করে আপনার জীবনের স্মৃতি মনে পড়ে গিয়েছে এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। কিছুটা সময়ের জন্য হলেও আপনাকে অতীতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছি। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

অনেক ভাল লাগল ভাই।অজান্তেই একজন বেস্টফ্রেন্ড বানিয়ে ফেলেছেন।বন্ধুত্ব এরকমই হয়।কিছু বলতে হয়না মুখ দেখলেই বুঝে ফেলে।শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।

যে প্রকৃত বন্ধু সে আপনার মুখ দেখলেই বুঝতে পারবে যে আপনি কতটা সুখে আছেন না দুঃখের মধ্যে জীবন অতিবাহিত করছেন। আমি মনে করি এটাই প্রকৃত বন্ধুর বৈশিষ্ট্য প্রকৃত বন্ধু সে জন যে মুখের দিকে তাকিয়েই অবস্থা বুঝতে পারবে।

আপনার স্কুল জীবনের বন্ধুত্বের গল্পটা পড়ে খুব ভালো লাগলো। কোভিট-১৯ এর কারণে পরীক্ষা অর্ধেক নাম্বার হওয়াতে খুব তাড়াহুড়া করে আপনি পরীক্ষা প্রশ্ন উত্তর দিতে লাগবে। আপনার বন্ধুর হেল্প না কলরে পরবর্তী আপনি রেফার্ড পরীক্ষা দিতে হতো। সত্যি স্কুল জীবনের বন্ধুত্বের কথা লেখে শেষ করা যাবে না। আপনি অনেক সুন্দর করে জীবনের বন্ধুত্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।

সেদিন আমার এই বন্ধু যদি আমার উপকার না করতো তাহলে হয়তো খুবই খারাপ অবস্থার মধ্যে জীবন অতিবাহিত করতে পারতাম। তবে শুকরিয়া আদায় করছি বন্ধু আমাকে সত্যিই অনেক বেশি উপকার করেছিল তার এই উপকার আমি কখনোই ভুলবো না।

ঠিক বলেছেন ভাই আপনি বন্ধু শব্দটা শুনলেই মনের মাঝে অন্যরকম একটা অনুভূতি জন্মায় তা কখনো বলে বোঝানো যাবে না। আপনার বন্ধুর সাথে প্রশ্ন পাল্টানোর বিষয়টি সত্যি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে এমন বন্ধুত্ব প্রকৃত বন্ধু। সত্যি হয়তো আর কখনো স্কুল জীবনের বন্ধুত্ব ফিরে পাওয়া যাবে না।

বন্ধু শব্দটি খুবই ছোট হলো এর মুহূর্ত অনেক বেশি প্রকৃত বন্ধু হতে হলে অবশ্যই অপরজনের মন বুঝতে হবে। আপনার গঠনমূলক মন্তব্য পেয়ে খুবই ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।