আজ - ১৪ মাঘ | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | শুক্রবার | শীতকালে |

আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।

তো চলুন শুরু করা যাক...!

শুভ দুপুর সবাইকে.....!!

আমরা বাঙালি। আমরা বিশ্বের বুকে নিজেদেরকে বাঙালি বলে পরিচয় দিয়ে গর্ববোধ করি। আর এই বাঙালি শব্দটার সাথে সব থেকে বেশি যে শব্দটার পরিচিত সেটা হচ্ছে মাছে ভাতে বাঙালিবাঙ্গালীদের খাদ্য তালিকায় অনেক ধরনের খাদ্য ফল-মূল থাকলেও তাদের খাদ্য তালিকায় সবথেকে বেশি পাওয়া যায় মাছ। মাছ না হলে বাঙ্গালীদের যেন খাওয়াটা অপূর্ণ থেকে যায়। আর এই অপূর্ণ থাকে আমরা পূর্ণতা দান করি শুধুমাত্র মাছ এর মাধ্যমে। বাঙ্গালীদের ডাল ভাতের সঙ্গে একটু মাছের চচ্চড়ি না খেলে হয়তো তাদের তৃপ্তি মিটে না। আর এজন্যই হয়তো আমাদের পূর্বপুরুষেরা আমাদেরকে সঠিক নামে বিচার করতে পেরেছে। আর এই সঠিকভাবে বিচার করার জন্যই তারা হয়তো আমাদের একটা পরিচয় সবার মাঝে তুলে ধরেছে। যেই পরিচয় তার মাধ্যমে অনেকেই আমাদের চিনতে পারবে বা বুঝতে পারবে যে এই লোকটা বাঙালি। সেই পরিচয়টা আর কিছুই নয়, সেই পরিচয় টা হল আমরা মাছে ভাতে বাঙালি
যাইহোক, খুব ছোটবেলা থেকেই আমার একটা অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। খাদ্য তালিকার মধ্যে মাছ না থাকলে বা ডিম না থাকলে আমার খাওয়াটা কোনদিনই পূর্ণতা পায় না। যদিও মাঝে মাঝে খাবারের কারণে বাসায় চিল্লাচিল্লি শুরু করি। আর এই চিল্লাচিল্লি টা তখনই সবথেকে বেশি হয় যখন মাছ অথবা ডিম কিছুই থাকে না হাহাহা 🤪 তবে মাঝে মাঝে আমার কাছে সবজি রান্না অনেক বেশি ভালো লাগে। যাই বলি না কেন মাছের সাথে কি আর সবজি রান্না যায় আপনারাই বলুন...? খাদ্য তালিকায় মাছ থাকা মানেই ভরপুর পেট পুরে খাওয়ার এক অন্যরকম অনুভূতি। আমি সবরকম মাছই খেতে পারি। তবে আমি এর আগে আপনাদের কে বলেছিলাম যে আমার কাছে সব থেকে প্রিয় মাছ হচ্ছে পাঙ্গাস মাছ। এই পাঙ্গাস মাছের উপর আমার খুব ছোটবেলা থেকেই একটা অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করে। যদিও আমাদের দেশে জাতীয় মাছ ইলিশ তবে ইলিশ মাছ আমার পছন্দ কিন্তু পাঙ্গাস মাছের থেকে বেশি নয়। আমি জানি আপনারা অনেকেই আমার এই কথাটা শুনে হাসাহাসি করবেন, তবে যাই বলুন না কেন বা হাসাহাসি করুন না কেন পাঙ্গাস মাছ আমার খুব প্রিয়। পাঙ্গাস মাছের পরে অন্যান্য যেগুলো আছে সেগুলো খেতে আমার ভীষণ রকমের ভালো লাগে। এই যেমন ধরুন আজকে সিলভার কাপ মাছ রান্না করা হয়েছে ।এই সিলভার কাপ মাছ ও আমার কাছে অনেক প্রিয়।
আমি ছোটবেলা থেকেই খাওয়া-দাওয়া নিয়ে একটু অন্যরকম স্বভাবের ছিলাম এখনো ঠিক তেমনি আছি। কোন কিছুতেই না করতে পারি না 😀আর মাছ রান্না হোক বা যে কোন জিনিসই রান্না হোক না কেন মুখে স্বাদ লেগে গেলে সেটা ভরপুর পেট পুরে খাই নিজের ইচ্ছামত। এখন অনেকেই আমাকে খাদক বলবে, তাতেও আমি কিছু মনে করব না কারণ, খাওয়া-দাওয়ার প্রতি এক অন্যরকম ভালোবাসা কাজ করে, আর এই ভালোবাসাটা সবার মাঝেই থাকে না হাহাহা 😃
যাইহোক অনেকটা সময় আপনাদের মাঝে বকবক করলাম এখন চলুন শুরু করি আমার আজকের রেসিপি টা। আলু বেগুন ও কুমড়ো বড়ি দিয়ে সিলভার কাপ মাছ রান্না।

প্রয়োজনীয় উপকরণাদি

• পেঁয়াজ
• রসুন
• কাঁচা মরিচ
• হলুদের গুড়া
• তেল
• লবণ
• মরিচের গুড়া

সর্বপ্রথমে আলু এবং বেগুন অনেক সুন্দরভাবে পরিষ্কার পানি দ্বারা দুই থেকে তিনবার ধুয়ে নিতে হবে। কারন এখনকার আলু নতুন আর এই নতুন আলুর সাথে বালি লেগে থাকে। তাই পরিষ্কার ভাবে ধুয়ে নিতে হবে

এরপর একটি কড়াই চুলার উপর দিয়ে প্রথমে একটু চাপ দিয়ে নিতে হবে। তারপর পরিমাণমতো তেল দিতে হবে। তেল দেওয়ার পরে পেঁয়াজ এবং মরিচ বাটা তার ওপর ছেড়ে দিতে হবে। পেঁয়াজ এবং মরিচ বাটা উপরে সামান্য পরিমাণে পরিমাপ মত হলুদের গুঁড়া ছিটিয়ে দিতে হবে।

এরপরে পেঁয়াজ বাটা এবং হলুদের গুড়ার উপর সামান্য পরিমাণ লবণ ছিটিয়ে দিতে হবে। তবে অবশ্যই লবণ দেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন পরিমাণের বেশি লবণ না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।

এরপরে সামান্য পরিমাণ মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দিতে হবে। এই মরিচের গুঁড়া দেওয়ার কারণ হচ্ছে তরকারির কালার টা অনেক সুন্দর লাল দেখার জন্য। সেই সাথে মরিচের গুড়া ঝাল একটু বেশিই থাকে।

এবার একটি চামচ দিয়ে সকল উপকরণ গুলি অনেক চমৎকার ভাবে নারানারি করতে হবে। এমন ভাবে নারানারি করতে হবে যেন প্রতিটি উপকরণ একে অপরের সাথে অনেক সুন্দর ভাবে মিশে যায়।

এবার সকল উপকরণ গুলির উপর আলু এবং বেগুন ছেড়ে দিতে হবে।

এবার একটি চামচ দিয়ে উপকরণগুলি সাথে আলু এবং বেগুন অনেক সুন্দর ভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। যেটা আপনারা উপরে ছবির মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছেন।

এবার কুমড়ো বড়ি এবং মাছ এই দুইটি জিনিস অনেক সুন্দর ভাবে তেল দিয়ে ভাজি করে নিতে হবে। কুমড়ো বড়ি এবং মাছ তেলের উপর দিয়ে সুন্দরভাবে ভাজি করে নিলে খেতে অনেক সুস্বাদু লাগবে।

এরপরে আলু এবং বেগুন এই দুটি সবজির সাথে কাঁচামরিচ কয়েকটা ছিটিয়ে দিতে হবে। এই কাঁচামরিচ যোগ করে দেওয়ার কারণে তরকারিতে আরো বেশি স্বাদ হবে।

কাঁচামরিচ ছেটানোর পরে চামচ দিয়ে তরকারি অনেক সুন্দরভাবে নারানারি করতে হবে।যেন কাঁচামরিচ তরকারির সাথে অনেক সুন্দর ভাবে মিশে যায়।

এবার কড়াই এর মধ্যে পানি ঢেলে দিতে হবে। এই পানি ঢেলে দেওয়ার কারণ হলো প্রতিটি উপকরণ যেন অনেক সুন্দর ভাবে সেদ্ধ হতে পারে।

এবার কুমড়ো বড়ি এবং মাছ কড়াই এর উপর ছেড়ে দিতে হবে। কড়াই এর উপর কুমড়ো বড়ি এবং মাছ ছেড়ে দেওয়ার পরে পরিমাণমতো তাপ দিতে হবে। পরিমাণমতো তাপ দেওয়ার পরে পানি যতটুকু পরিমাণ শুকানোর দরকার ঠিক ততটুকু পরিমাণ শুকিয়ে তরকারি চুলা থেকে নামিয়ে ফেলতে হবে

পরিবেশন

আর এভাবেই আমার আলু বেগুন ও কুমড়ো বড়ি দিয়ে সিলভার কাপ মাছ রান্নার রেসিপি শেষ হলো।

আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আমি আশা করিছি আপনারা সবাই আমার পোষ্ট উপভোগ করবেন এবং আপনারা সবাই আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন।

আমার পরিচয়

আমি জীবন মাহমুদ। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের অষ্টম পর্বের অধ্যায়ন রত আছি। আমি ছবি আঁকতে এবং ফটোগ্রাফি করতে ও মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান গাইতে খুবই ভালোবাসি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমাইট প্লাটফর্মে কাজ করতে।