আজ--১৮ জোষ্ঠ্য | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | শনিবার | গ্রীষ্মকাল|
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
- হতাশায় উপকূলীয় অঞ্চল
- আজ--১৮ইজ্যৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
- শনিবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ দুপুর সবাইকে......!!
মাঝে মাঝে প্রকৃতি আমাদের সঙ্গে এত বেশি বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখায় যে আমাদের মাঝে মাঝে অনেক বেশি দ্বিধায় পড়ে যেতে হয়। যদিও প্রকৃতি বছরের অন্যান্য সময় ঠিকঠাক থাকলেও বিশেষ করে এই জুন জুলাই অর্থাৎ গ্রীষ্মকাল এবং বর্ষাকাল এই দুটোর সময় প্রকৃতি সবসময়ই একটু অন্যরকম থাকে। এ সময়ে অনেক বেশি ঝড়-বৃষ্টি জলোচ্ছ্বাস ঘূর্ণিঝড় এসব কিছু হয়ে থাকে। আর এগুলোর কারণেই আমরা মানুষেরা মাঝে মাঝে অনেক বেশি বিপাকে পড়ে যাই। এতটা বেশি দিপাকে পড়ে যায় যে কখন আমাদের সঙ্গে প্রকৃতি কেমন আচরণ করবে সেটাই আমরা বুঝতে পারি না। কিছুদিন আগে পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাকি ছিল সবকিছু ঠিকঠাক বলতে প্রচন্ড গরম ছিল আর এই গরমের মধ্যে জনজীবন অনেকটাই অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল। পৃথিবীর মানুষ চাচ্ছিল হালকা বৃষ্টি বৃষ্টির জন্য অনেক জায়গায় প্রার্থনা করা হয়েছে। যার কারনে কোথাও কোথাও হয়তো বা বৃষ্টির দেখা মিলেছে আবার কোথাও বৃষ্টির দেখা খুব একটা মেলেনি।
সত্যি বলতে প্রকৃতি যখন অনেক বেশি গরম হয়ে ওঠে তখন আমরা মানুষেরা অনেকটাই কষ্টের মধ্যে দিন অতিবাহিত করি ঠিক তেমনি ভাবে যখন আবার অতিবৃষ্টি দেখা দেয় তখন আরো বেশি সমস্যায় পড়ে যেতে হয়। এই সকল সমস্যার ঊর্ধ্বেও আরও একটা সমস্যা আছে যখন ঘূর্ণিঝড় টর্নেডো বা জলোচ্ছ্বাস হয় এই সময়ে মানুষেরা সবথেকে বেশি কষ্টের মধ্যে দিন অতিবাহিত করে। কিছুদিন আগে অনেক বেশি গরম থাকার কারণে মানুষ গরমের কষ্ট করেছে আর এখন ঝড়-বৃষ্টি থাকার কারণে মানুষের মাথার উপর থেকে ঘর হারিয়ে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে এমন কিছু নিউজ অনলাইনে দেখি যে নিউজগুলো দেখলে সত্যিই নিজের কাছে অনেক বেশি খারাপ লাগে আর এই খারাপ লাগাটা কখনোই বর্ণনা করে কাউকে বোঝানো সম্ভব হয়ে ওঠেনা।
কিছু কিছু কষ্ট আছে যেই কষ্টগুলো শুধুমাত্র আমরা অনুভব করতে পারি কিন্তু সেই মানুষগুলোর জন্য কখনোই কিছু করতে পারি না। কারণ এত এত মানুষের দায়িত্ব নিজে গ্রহণ করা কখনোই সম্ভব নয়। আপনারা জানেন কয়েকদিন ধরেই উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষগুলো অনেক বেশি কষ্টে দিন অতিবাহিত করছে কারণ ঘূর্ণিঝড় এর কারণে অনেকের মাথার উপর থেকে হারিয়ে গিয়েছে টিনের চাল নেই কোন মাথা গোজার ঠাই।
এই মানুষগুলোর কথা একবার আপনি চিন্তা করুন এই মানুষগুলো হয়তোবা মধ্যবিত্তও নয় তারা খুবই নিম্নবিত্তমানের মানুষ তারা কাজকর্ম করে কিছু সঞ্চয় এর মধ্য দিয়ে ছোট্ট একটা নতুন ঘর তুলেছে। আর ঘূর্ণিঝড়ের কারণে যখন তার মাথা গোজার ঠাইটুকু ভেঙে পড়ে তখন সেই মানুষটা কতটা অসহায় হয়ে পড়ে সেই ব্যাপারটা আপনি একবার ভাবুন। মনে করুন আপনি অনেক কষ্ট করে একটা গাড়ি কিনলেন গাড়ি চালানোর সময় হঠাৎ করেই যদি সেই গাড়িটা ভেঙে যায় বা নষ্ট হয়ে যায় তখন আপনার কেমন লাগবে। অবশ্যই আপনার অনেক বেশি কষ্ট হবে ঠিক তেমনি ভাবে আমার এটাই মনে হয় উপকূলীয় অঞ্চলের ওই মানুষগুলো অনেকটাই কষ্ট পাচ্ছে এবং কষ্টের মধ্যেই দিন অতিবাহিত করছে। কিছু কিছু মানুষ আছে যে মানুষগুলো অন্যের জমি চাষাবাদ করে ছোট্ট একটা ঘর তুলেছে আর সেই ঘর যখন ভেঙে মাথার উপর পড়ে যায় তখন সেই মানুষটার নিঃশেষ হয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। আমি মনে করি সবাই সবার জায়গা থেকে কিছুটা সচেতন হওয়া উচিত কিছুটা সচেতন হয়ে এই মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানো উচিত।
যখন এই মানুষগুলোর পাশে কেউ গিয়ে দাঁড়াবে তখন হয়তোবা তার মুখে কিছুটা হলেও আনন্দের হাসি ফুটবে।নিজে একা সুখে শান্তিতে থাকার মাঝে সুখ-শান্তি খুঁজে পেলেও আসল সুখ শান্তি তো সেখানেই যেখানে একজন মানুষ আরেকজন মানুষের বিপদে-আপদে পাশে গিয়ে সাহায্য করবে। আমি মনে করি একজন মানুষের পাশে গিয়ে সাহায্য করার থেকে আনন্দ হয়তোবা এই পৃথিবীতে আর কিছুই নেই। উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষগুলোর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। তাদের এই বিপদের সময় তাদের পাশে থাকা উচিত এবং যতটা সম্ভব নিজের জায়গা থেকে আর্থিকভাবে তাদেরকে সাহায্য করা উচিত যাতে করে তারা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু আমরা মানুষেরা বড্ড বেমানান, আমরা অন্যের দুঃখ কষ্ট দেখলে নিজের মনের মধ্যে দুঃখ-কষ্ট অনুভব করি ঠিকই কিন্তু তাদের পাশে গিয়ে হয়তো বা দাঁড়াই না। এই ব্যাপারটা আসলেই মাঝে মাঝে আমার কাছে অনেক বেশি খারাপ লাগে।
যাইহোক আমি মনে করি সকলেই সকলের জায়গা থেকে যদি এই মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ায় তাহলে হয়তোবা এরা কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবে আর এই স্বস্তি তাদেরকে বেঁচে থাকার আশ্বাস জন্মাবে। মাঝে মাঝে প্রকৃতির এরকম বিরূপ প্রতিক্রিয়ার জন্য আমরা মানুষেরা অনেকটাই দুঃখে কষ্টের মাঝে দিন অতিবাহিত করি জানিনা কবে প্রকৃতি আমাদের সঙ্গে এরকম বিরূপ প্রতিক্রিয়া থেকে দূরে থাকবে তবে আমাদের সকলের উচিত সবাই সবার জায়গা থেকে সচেতন হওয়া। সবাই যদি সবার জায়গা থেকে সচেতন হয় তাহলে হয়তোবা খুব দ্রুতই প্রকৃতি আমাদের থেকে বিরূপ প্রতিক্রিয়া টা উঠিয়ে নেবে। এটাই ছিল আমার আজকের পোস্ট আশা করছি আমার এই সংক্ষিপ্ত পোস্ট আপনাদের অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আজ আর নয় এখানেই শেষ করছি, সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে....!!
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা
বিভাগ | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
বিষয় | হতাশায় উপকূলীয় অঞ্চল |
পোস্ট এর কারিগর | @jibon47 |
অবস্থান | [সংযুক্তি]source |
আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নেম @jibon47। আমি মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে অনেক বেশি ভালোবাসি। আব্বু আম্মু আর ছোট বোনকে নিয়েই আমার পরিবার। এই তিনজন মানুষকে কেন্দ্র করেই আমার পৃথিবী।একসাথে সবাইকে খুশি করা তো সম্ভব নয়, তারপরও আমি চেষ্টা করি পরিবারের সবাইকে খুশি রাখার। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে।আমি বর্তমানে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্ট থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং লেখাপড়া করছি। আমি গান গাইতে, কবিতা লিখতে, এবং ভাই ব্রাদারের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। সত্যি বলতে আমি প্রচন্ড রকমের অভিমানী, হতে পারে এটা আমার একটা বদ অভ্যাস। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব,"আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, পরিশ্রম সফলতার চাবিকাঠি।
@jibon47
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
উপকূলীয় মানুষদের ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী অবস্থা নিয়ে সুন্দর আলোচনা করেছেন ভাইয়া। আসলেই ঘূর্ণিঝড়ে অনেকেই তার সর্বোচ্চ হারিয়েছেন। মাথা গোজার ঠাই নেই অনেকের। ঘূর্ণিঝড়- জ্বলোচ্ছাস আসলেই নিদারুণ বিপদে পড়ে উপকূলের মানুষ। আমাদের একটি দুর্যোগ ও ত্রান মন্ত্রণালয় আছে।তারা হয়ত কিছু করছে কিন্তু আমাদের সবার উচিত সামর্থ অনুযায়ি নিজ নিজ অবস্থান থেকে কিছু করার। উপকূলের মানুষ কাটিয়ে উঠুক তাদের বিপদ। হতাশায় উপকূলীয় অঞ্চল শিরোনামে লেখাটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এবার ঘূর্ণিঝড় রেমাল উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করে দিয়ে গেছে। সত্যি উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষগুলো বড়ই অসহায়। আমাদের প্রত্যেকের উচিত তাদেরকে যেকোন ভাবে সাহায্য করা। উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের বাড়িঘর জমি জায়গা সবকিছুই নষ্ট হয়ে গেছে। আমাদের প্রত্যেকের উচিত নিজেদের সমর্থ্য অনুযায়ী উনাদের কে সাহায্য করা। আপনার পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের জীবন সম্পর্কে কিছু কথা লিখেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং প্রতিকূলতায় তাদের বেঁচে থাকতে হয় এবং জীবন যাপন করতে হয়। প্রত্যেক বছর আমাদের দেশে কম বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েই থাকে। আর উপকূলীয় অঞ্চলের এই মানুষগুলো একটা প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে না উঠতেই আরো একটা প্রাকৃতিক দুর্যোগ এসে তাদের সবকিছু কেড়ে নেয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর একদম নিঃস্ব হয়ে পড়ে তারা। আসলেই আমাদের যতটুকু সম্ভব তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit