আজ - ০৬ চৈত্র | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | রবিবার | বসন্তকাল |

আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।

তো চলুন শুরু করা যাক...!

শুভ সন্ধ্যা সবাইকে.....!!

বেশ কিছুদিন হল বেগুন ভাজি খাওয়া হয়না। তবে অনেকদিন বাদে বেগুন ভাজি খেয়ে খুবই ভালো লাগলো। যদিও ছোটবেলায় তেমন বেগুন খেতে চাইতাম না, কিন্তু এখন বেগুন বেশ ভালই লাগে। বিশেষ করে আমার কাছে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই গরম ভাতের সঙ্গে শুকনো মরিচ দিয়ে বেগুন ভর্তা খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। তবে সত্যি বলতে এখন পর্যন্ত কোনো তরকারির মধ্যে যদি বেগুন দেওয়া হয় আমি সেই বেগুন খুব কমই খাই, কেন জানি খেতেই ইচ্ছে করে না।
আবার ছোট মাছ চচ্চড়ি রান্না করার সময় যদি আলু এবং বেগুন দেওয়া হয় তাহলে সেই বেগুন খেতে খুবই ভালো লাগে। এককথায় বলতে পারেন মোটামুটি ভাবে এখন বেগুন ক্ষেতে তেমন একটা খারাপ লাগে না। তাই আজকে ভাবলাম আপনাদের মাঝে বেগুন দিয়ে অন্য রকম একটা রেসিপি শেয়ার করব। বেগুন ভাজি টা আমার কাছে অনেক বেশি সুস্বাধু লাগে তাই সময় করে আপনাদের মাঝে আজকে বেগুন ভাজি রেসিপি নিয়ে উপস্থিত হলাম। তাহলে চলুন বেশি কথা না বাড়িয়ে বেগুন ভাজি রান্নার রেসিপি টি শুরু করি।

• পেঁয়াজ
• রসুন
• মরিচ
• হলুদের গুড়া
• তেল
• লবণ

সর্বপ্রথমে বেগুন গুলো অনেক সুন্দর ভাবে ধুয়ে নিতে হবে। তারপরে বেগুনগুলো ফালি ফালি করে চিকন আকারে কেটে নিতে হবে। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে বেগুন ফালিফালি করার সময় যেন মোটা হয়ে না যায়।

এরপরে মরিচ এবং পেঁয়াজ এই দুটি উপকরণ একটা পাত্রের মধ্যে রেখে হাতের আংগুল দিয়ে চটকিয়ে নিতে হবে।

এরপরে উপকরণগুলোর উপরে পরিমাণমতো লবণ ছিটিয়ে দিতে হবে, তবে লবণ ছিটানো সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে লবণের পরিমাণ যেন বেশি না হয়ে যায়।

এরপরে পরিমাণমতো হলুদের গুঁড়া ছিটিয়ে দিতে হবে। একইভাবে খেয়াল রাখতে হবে যেন হলুদের গুড়ার পরিমাণ বেশি না হয়ে যায়।

সকল উপকরণ একত্রে যোগ করার পরে, হাতের আংগুল দিয়ে অনেক চমৎকার ভাবে চটকিয়ে নিতে হবে যেন প্রতিটি উপকরণ একে অপরের সাথে সুন্দরভাবে মিশে যায়।

প্রতিটি উপকরণ একে অপরের সাথে মিশিয়ে যাওয়ার পরে, বেগুন গুলো তার উপরে ছেড়ে দিতে হবে। সেই সাথে উপকরণ গুলো সাথে বেগুনগুলো খুবই সুন্দর ভাবে নারানারি করে মিশিয়ে দিতে হবে। এমন ভাবে মিশিয়ে দিতে হবে যেন উপকরণ গুলো এবং বেগুন একত্রে ভালোভাবে মিশে যায়।

এরপরে কড়াই এর উপর পরিমান মত তেল ঢেলে নিয়ে বেগুন গুলো তেলের উপরে ছেড়ে দিতে হবে। কিছুটা সময় তেলের ওপরে বেগুনের এক পাশ রেখে দিতে হবে।

এক পাশ ভাজি শেষ হয়ে গেলে, এবার চামচ দিয়ে বেগুন গুলো উল্টিয়ে দিতে হবে। এভাবে কিছুটা সময় রেখে দিতে হবে। কিছুটা সময় রেখে দেওয়ার পরই বেগুন অনেক চমৎকার ভাবে ভাজি হয়ে যাবে, তখন বেগুন চুলা থেকে নামিয়ে ফেলতে হবে।

এবার ভাজি করা বেগুনগুলো একটি পাত্রে রেখে দিতে হবে।

বেগুন ভাজি পর্ব শেষ হয়ে গেলে এবার প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলো কড়াই এর উপর পরিমান মত তেল ঢেলে দিয়ে উপকরণগুলো খুবই সুন্দর ভাবে ভাজি করে নিতে হবে। উপকরণ গুলো ভালভাবে ভাজি হয়ে যাওয়ার পরে বেগুন কড়াই এর উপর ছেড়ে দিয়ে একটু ভাজি করতে হবে যেন উপকরণগুলোর সাথে ভাজি করা বেগুনগুলো মিশে যায়। ভাজি করা বেগুনগুলো উপকরণগুলি সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে খেলে চুলা থেকে বেগুন নামিয়ে ফেলতে হবে।

বেশ কিছুদিন বাদে আমি এরকম একটি বেগুন রেসিপি তৈরি করেছিলাম। আর এই বেগুন ভাজি রেসিপি টা আমার কাছে অনেক বেশি ভাল লেগেছিল খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। আমরা সকলে মিলে রেসিপিটি উপভোগ করেছিলাম। মাঝে মাঝে এরকম ইউনিক ধরনের রেসিপি খেতে সবারই অনেক বেশি ভালো লাগে বলে আমি মনে করি।
আপনারাও চাইলে এরকমভাবে বাসায় বেগুন ভাজির এই রেসিপিটি তৈরি করে খেতে পারেন খুবই সুস্বাদু লাগে।
আর যদি আপনাদের তৈরি করার মন-মানসিকতা না থাকে তাহলে চাইলে আমাদের বাড়িতে চলে আসতে পারেন। নিজের হাতে বেগুন ভাজি করে আপনাদের খাওয়াবো।

আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আমি আশা করিছি আপনারা সবাই আমার পোষ্ট উপভোগ করবেন এবং আপনারা সবাই আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন